ভাঙা কুঁড়েঘরের পাঠাগার দেখাচ্ছে আলোর পথ (ভিডিও)
প্রকাশিত : ১৫:২৮, ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৩
আদর্শ সমাজ গঠন করতে বই পড়া আন্দোলনকে বেগবান করতে লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলার নিভৃত পল্লীর সারপুকুর যুব ফোরাম পাঠাগারটি ভূমিকা রাখছে।
২০১৪ সালে পাঠাগারটি মাত্র ১০টি বই নিয়ে যাত্রা শুরু করলেও এখন বইয়ের সংখ্যা দশ হাজার ছাড়িয়েছে। পাঠাগারটি পরিনত হয়েছে শিক্ষিতজনের মিলন মেলায়। গ্রামের কলেজছাত্র জামাল হোসেন পাঠাগারটির প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালক।
পাঠাগারের ঘরটি জীর্ণশীর্ণ হলেও এটি শিক্ষিত মানুষের প্রিয় স্থান। বই পড়ার টানে প্রতিদিন দূর-দূরান্ত থেকে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা এখানে আসেন বই পড়তে। শুধু শিক্ষার্থীই নয় এখানে আসেন শিক্ষক, কৃষক ও শিক্ষানুরাগী মানুষ। পাঠাগারে রয়েছে শিক্ষা, সাহিত্য, ইতিহাস, বিজ্ঞান, রম্য, কৃষি-ব্যবসাসহ সকল ধরনের বই।
এই পাঠাগারে রয়েছে ১৫ শতাধিক সদস্য। সদস্যরা শুধু বই পড়া আন্দোলনেই জড়িত নন, তারা বিভিন্ন সামাজিক কাজও করছেন। বাল্যবিয়ে ও মাদকের বিরুদ্ধে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে সাধারণ মানুষকে সচেতন করছেন পাঠাগারের সদস্যরা। সমাজে অতিদরিদ্র অসহায় ও দুখি মানুষ সাধ্যমতো সহায়তাও করছেন।
কলেজছাত্র জামাল হোসেন নিরলসভাবে কাজ করছেন পাঠাগারটির উন্নতির জন্য। গ্রামে বই পড়া আন্দোলনকে বেগবান ও সামাজিক কাজকর্ম করায় ইতোমধ্যে কয়েকটি জাতীয় পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন তিনি।
পাঠাগারটি আধুনিক করার স্বপ্ন দেখেন তিনি।
এএইচএস
আরও পড়ুন