ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ২৮ নভেম্বর ২০২৪

ভারতীয় গরু না আসলে, দেশীয় খামারিদের জন্য সম্ভাবনার দুয়ার খুলবে

প্রকাশিত : ১০:৩৩, ১ সেপ্টেম্বর ২০১৬ | আপডেট: ১০:৪২, ১ সেপ্টেম্বর ২০১৬

ঈদুল আজহায় ভারতীয় গরু না আসলে, দেশীয় খামারিদের জন্য সম্ভাবনার দুয়ার খুলে যাবে । বাজারে কোরবানীর পশুর দাম কিছু বাড়তি হলেও, এতে সাধারণ খামারীদের লাভের পাশাপাশি, গবাদি পশু লালনপালনে তাদের আগ্রহও বাড়বে বলে মত বিশ্লেষকদের। তাদের মতে, ক্ষুদ্র খামারগুলোতে ব্যাংক ঋণ সুবিধাসহ প্রনোদনা দেয়া হলে গবাদী পশুর চাহিদা মেটাতে ভারত-নির্ভরতা এড়ানো সম্ভব। ঐতিহ্য অনুযায়ি, গৃহস্থ পরিবারে অবিচ্ছেদ্য অংশ ছিল গবাদী পশুপালন। চারণভুমি কমতে থাকা, লালনপালন ব্যয় বৃদ্ধি এবং চাহিদার অভাবে গৃহস্থালি পর্যায়ে এর প্রতি যেমন আগ্রহ কমছে, একই কারণে খামারীরাও পশুপালনে উৎসাহ হারাতে যাচ্ছিলেন। বছর দু'য়েক আগেও ঈদুল আজহায় ভারত থেকে আসা গরুর আধিপত্যে পথে বসার উপক্রম হয় দেশের প্রায় ৭০ থেকে ৮০ হাজার খামারীর। তবে, চিত্রটা গত দু’বছর কিছুটা পাল্টাচ্ছে। ভারতীয় গরু কম আসায় কদর বেড়েছে দেশীয় গরুর। ফলে খামারীরাও গবাদি পশু পালনে আগ্রহী হয়ে উঠছেন বলে জানান, এই বিশ্লেষক। সরকারী প্রনোদনা দেওয়া হলে গবাদী পশু পালনের মধ্য দিয়ে দেশীয় চাহিদা মিটিয়ে হালাল মাংসের রপ্তানীযোগ্য বাজার তৈরি যথেষ্ট সম্ভাবনা রয়েছে বলে মত এই গবেষকের। ভালো জাতের পশুর চাহিদা ব্যাপক। এই পরিমান পশু সরবরাহের সক্ষমতাও আছে দেশীয় খামারীদের। তাই বাণিজ্যিকভাবে এসব উৎপাদনে এখন সহযোগিতা প্রয়োজন বলে জানান, বিশ্লেষক ও খামারীরা । প্রাণীসম্পদ অধিদপ্তরের মতে, প্রতিবছর প্রায় পাঁচ কোটি গবাদী পশু উৎপাদন সম্ভব, যা দেশীয় চাহিদা পূরণ করে রপ্তানীযোগ্য বাজার তৈরিতে সক্ষম।
Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি