ভারতে নিষিদ্ধ ৩২৮ ধরণের ঔষধ
প্রকাশিত : ১৮:৪৫, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৮
৩২৮ ধরণের ঔষধ নিষিদ্ধ করেছে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার। দেশীয় ও বিদেশী ফার্মাসিউটিক্যাল প্রতিষ্ঠানের এসব ঔষধ নিষিদ্ধের ফলে সেগুলো আর ভারতে উৎপাদন বা বিদেশ থেকে ভারতে আমদানি করা যাবে না। স্বাস্থ্যকর্মীরা এমন উদ্যোগকে সাধুবাদ জানালেও ঔষধ ব্যবসায়ীরা বলছেন এর ফলে বাৎসরিক ক্ষতি হবে ২২২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।
২০১৬ সালে সর্বপ্রথম এসব ঔষদের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিলো ভারতের ঔষধ প্রশাসন। এরপর ঔষধ প্রস্তুতকারক ও আমদানিকারকেরা শরণাপন্ন হন আদালতের। সর্বশেষ গত বুধবার দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এসব ঔষধকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে চূড়ান্ত আদেশ জারি করে।
মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানায়, “ফিক্সড ডোজ কম্বিনেশনের এসব ঔষধে যেসব উপাদান আছে তা থাকার কোন যথার্থতা পাওয়া যায়নি। এছাড়াও মানব দেহের জন্য এসব উপাদান ক্ষতিকারক”।
বিবৃতির জারির পর থেকে এসব ঔষধ “বিক্রির জন্য উৎপাদন এবং মানুষের ব্যবহারের জন্য বিক্রি এবং সরবরাহ নিষিদ্ধ” করা হয়।
এই নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে ভারতের ঔষধ উৎপাদক অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট দিপনাথ রয় চৌধুরী বলেন, প্রশাসনের এমন সিদ্ধান্তে নেতিবাচক প্রভাব পরবে বাজারে। এতে বাৎসরিক ক্ষতি হবে ২২২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার অথবা ১৬ বিলিয়ন ভারতীয় রুপি। আর এমন সিদ্ধান্তে ক্ষতির মুখে পরবে ক্ষুদ্র ও বৃহৎ ঔষধ প্রস্তুতকারকেরা।
গ্রাহকদের বিভিন্ন রকম রোগের চিকিৎসায় প্রায়ই কম্বিনেশন ঔষধ সেবনের পরামর্শ দেন চিকিৎসকেরা। এর ফলে একাধিক ধরণের ঔষধ সেবনের পরিবর্তে এক ধরণের ঔষধ সেবন করলেই হয়। তবে স্বাস্থ্যকর্মীরা অনেক সময়ই এমন ঔষদের বিপক্ষে মত দিয়ে আসছেন।
বিশেষ করে অ্যান্টিবায়োটিক কম্বিনেশন ঔষধ সেবনের ফলে শরীরে অ্যান্টিবায়োটিকের প্রতিরোধক তৈরি হয় বলে দাবি ছিলো স্বাস্থ্যকর্মীদের। তাই কেন্দ্রীয় সরকারের এমন সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানিয়েছেন অনেক স্বাস্থ্যকর্মীই।
অল ইন্ডিয়া ড্রাগ অ্যাকশন নেটওয়ার্কের মালিনি আইসোলা সরকারের এমন পদক্ষেপকে ‘গভীর সমস্যার সমাধান’ বলে মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, “ভারতের জনগণকে দীর্ঘদিন যাবত ঝুঁকিপূর্ণ ঔষধের গ্রাহক বানিয়ে রাখা হয়েছিলো”।
সূত্রঃ ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস
//এস এইচ এস//