ভারত থেকে এলো আরও ২ লাখ ৩১ হাজার ডিম
প্রকাশিত : ১৬:৩০, ৩০ অক্টোবর ২০২৪
যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে সাড়ে ৭ টাকা দরের আরও দুই লাখ ৩১ হাজার ৮৪০ পিস মুরগির ডিম আমদানি করা হয়েছে। এ নিয়ে গত বছরের ৫ নভেম্বর থেকে চলতি বছরের ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত ছয় চালানে ১২ লাখ ২১ হাজার ১৫০ পিস মুরগীর ডিম আমদানি হলো।
মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) রাতে ৬ষ্ঠ চালানের ২ লাখ ৩১ হাজার ৮৪০ পিস ডিম বেনাপোল বন্দরে প্রবেশ করেছে। আগামী মাসের মধ্যে সরকারের প্রথম ঘোষণার ৫০ লাখ ডিমের আরও ৩৮ লাখ ডিম আমদানি করার কথা আছে।
আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান হাইড্রোল্যান্ড সল্যুশন সূত্র জানায়, ভারত থেকে প্রতি পিস ডিম কেনা হয়েছে ৫ টাকা ১৬ পয়সা দরে। প্রতিটা ডিমের আমদানি শুল্ক ৭৮ পয়সা। বন্দরের ভাড়া, পরিবহন, ব্যাংক এলসি, এক্সপোর্টারের খরচ মিলিয়ে একটি ডিমের দাম পড়ছে সাড়ে সাত টাকার একটু বেশি।
ডিমের চালানটি খালাসের জন্য বুধবার (৩০ অক্টোবর) কাস্টম হাউসে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দাখিল করেছেন সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট রাতুল এন্টারপ্রাইজ। আজই খালাস করে ঢাকা নিয়ে যাওয়া হবে বলে জানান সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট প্রতিনিধি জিয়া উদ্দিন।
আমদানি করা ডিম এখন ২৫ শতাংশের পরিবর্তে ৫ শতাংশ শুল্ককর দিয়ে ছাড়পত্র হবে। যা আগামী ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত এই শুল্ক সুবিধা পাবেন আমদানিকারকরা। ডিমের সরবরাহ বৃদ্ধি ও বাজারে দাম কমাতে গত ১৭ অক্টোবর এক আদেশে শুল্ক কমিয়ে দেয় জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।
এদিকে ভারত থেকে আমদানি করে আনা ও বিভিন্ন পোল্ট্রি ফার্মের ডিম বাজারে পর্যাপ্ত থাকলেও তার কোনো প্রভাব পড়েনি যশোরের বিভিন্ন বাজারে। ডিমের দামই কমছে না। ১১ টাকা ৮৬ পয়সা খুচরা বাজারে সরকার দাম নির্ধারণ করে দিলেও বুধবার বেনাপোলসহ আশেপাশের বাজারে বাদামি রঙের ডিম ১৪ টাকা, দেশি ডিম ২২ টাকা করে প্রতি পিস বিক্রি হচ্ছে।
সাদা ডিমের কোন সরবরাহ নেই বলে জানান ডিম বিক্রিতেরা। তারা জানান, আমরা যেভাবে ডিম কিনছি সেভাবেই বিক্রি করছি। আমরা ডিম কিনছি ১২ টাকা ৮০ পয়সা। সেখানে আমরা বর্তমান ১৪ টাকায় বিক্রি করছি।
বেনাপোল কাস্টমস হাউসের ডেপুটি কমিশনার অথেলো চৌধুরী জানান, কম শুল্কে গত ২১ অক্টোবর ২ লাখ ৩১ হাজার ৮৪০ পিস ডিম খালাস দেওয়া হয়েছিল এবং আজ ২ লাখ ৩১ হাজার ৮৪০ পিস ডিম খালাস দেওয়া হচ্ছে। আমদানিকারকের ডিমের চালান খালাসে সব ধরণের সহযোগিতা করা হচ্ছে।
এএইচ
আরও পড়ুন