ভালোবাসার সপ্তাহ শুরু, আজ ‘রোজ ডে’
প্রকাশিত : ১০:৫৪, ৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৩
প্রকৃতিতে বইছে বসন্তের হাওয়া। ফুল ফুটুক আর নাই ফুটুক আর কয়েকদিন পরেই বসন্ত। এরই মধ্যে শুরু হয়ে গেলো ভালোবাসার সপ্তাহ। আজ মঙ্গলবার (৭ ফেব্রুয়ারি) রোজ ডে। প্রিয়জনের হাতে একটি কিংবা একগুচ্ছ গোলাপ দেওয়ার দিন আজ।
ফেব্রুয়ারি মানেই প্রেমের মাস। গোটা মাস জুড়েই চলে প্রেমের উদযাপন। আর তার মধ্যেই সবচেয়ে জনপ্রিয় দিন ১৪ ফেব্রুয়ারি ‘ভ্যালেন্টাইন’স ডে। আর বাকি মাত্র এক সপ্তাহ। তবে তার আগে আজ থেকেই শুরু হয়ে গিয়েছে ভ্যালেন্টাইন’স উইক।
প্রেমের কবিতা, গল্পে বার বার ঘুরে ফিরে এসেছে রক্ত গোলাপের কথা। সৌন্দর্য, ভালোবাসার প্রতীক লাল গোলাপ। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে প্রেমের ধরণ বদলে গেলেও প্রেম নিবেদনের ভাষা হিসেবে লাল গোলাপের আবেদন চিরন্তন।
যদিও প্রিয়জনের প্রতি ভালোবাসা প্রকাশের এ নিদর্শন লাল গোলাপ ছাড়াও হলুদ, সাদা ও গোলাপি সহ নানা রঙেরই হয়ে থাকে। তবে যে রঙের গোলাপই দেওয়া হোক না কেন ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ একই।
শুধু লাল গোলাপ নয়, মনের ভাষা বোঝাতে পারে গোলাপি গোলাপও। ভালোবাসা, কৃতজ্ঞতা, স্বীকৃতির প্রতীক গোলাপি গোলাপ। প্রিয় বন্ধু, নির্ভরযোগ্য সঙ্গীকে ‘থ্যাঙ্ক ইউ’ বলতে পারেন গোলাপি গোলাপ দিয়ে।
সাদা ফুল আমরা সাধারণত শোকজ্ঞাপনে ব্যবহার করলেও সাদা গোলাপের গুরুত্ব অনেক গভীর। বিয়ের সময় কনের হাতে দেওয়া হয় একগুচ্ছ সাদা গোলাপ। এই ফুল নতুন জীবন শুরুর প্রতীক। আধ্যাত্মিকতারও প্রতীক সাদা গোলাপ। মৃতহেদ, কবরের উপর সাদা গোলাপ রাখার অর্থ তাঁকে মিস করা। তবে শুধু মৃত ব্যক্তিকে নয়, কাউকে মিস করলে আপনি তাঁকেও সাদা গোলাপ পাঠিয়ে জানাতে পারেন মনের ভাষা।
প্যাশন বোঝাতে আমরা লাল রং ব্যবহার করে থাকি। তবে আসলে কিন্তু কমলা গোলাপ আবেগ, উত্সাহ, উদ্দীপনার প্রতীক। সহযোদ্ধাকে উদ্বুদ্ধ করতে ব্যবহার করা হয় কমলা গোলাপ। কমলা গোলাপ উপহার দিয়ে বোঝাতে পারেন, আপনি পাশে আছেন।
জীবনের সবচেয়ে মূল্যবান সম্পর্কের প্রতীক হলুদ গোলাপ। হলুদ গোলাপ বন্ধুত্বের প্রতীক। আনন্দ, সুস্বাস্থ্য বোঝাতেও হলুদ গোলাপ ব্যবহার করা হয়। আপনার জীবনে তাঁর মূল্য বোঝাতে প্রিয়বন্ধুকে দিতে পারেন একগুচ্ছ হলুদ গোলাপ।
পার্পল রং রয়্যালিটির প্রতীক। পার্পল গোলাপের ভাষা তাই ম্যাজেস্টি। রানিকে সম্মান জানাতে দেওয়া হয় পার্পল গোলাপ।
পিচ গোলাপ, এই রঙের গোলাপ আরোগ্যের প্রতীক। সততা, আন্তরিকতা, সহমর্মিতা বোঝাতে উপহার দিন পিচ গোলাপ।
রোজ ডে’র ইতিহাস ঘেটে জানা যায়, এই দিবসটির নামকরণ করেছেন রানি আলেকজান্দ্রা। তার ৫০তম বিবাহবার্ষিকীতে লন্ডনে এলে সেখানকার অধিবাসীরা হাজার হাজার গোলাপ দিয়ে তাকে অভ্যর্থনা জানায়। এতো গোলাপ দেখে তিনি অবাক হয়ে যান। তখনই তিনি সিদ্ধান্ত নেন গোলাপ বিক্রি করে সেই টাকা দিয়ে দরিদ্র, অসুস্থ মানুষের জন্য সেবা ও ভালোবাসার হাত বাড়িয়ে দেবেন। এভাবেই গোলাপ দিয়ে মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে পালন হয় ‘রোজ ডে’। সেখান থেকেই প্রিয়জনকে খুশি করতে গোলাপ দেওয়ার প্রচলন হয়।
এসএ/