ভালোবাসা দিবসে স্টার সিনেপ্লেক্সে ‘আলিটা’
প্রকাশিত : ১৯:৩৯, ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৯
আগামীকাল ১৪ ফেব্রুয়ারি ভালোবাসা দিবসে দর্শকদের জন্য বিশেষ উপহার হিসেবে স্টার সিনেপ্লেক্স মুক্তি দিচ্ছে হলিউডের কাঙ্খিত সিনেমা ‘আলিটা: ব্যাটল অ্যাঞ্জেল’। আন্তর্জাতিক মুক্তির দিনেই দেশের দর্শকরা ছবিটি দেখতে পাবেন ঢাকার বসুন্ধরা সিটি শপিং মল এবং সীমান্ত সম্ভারস্থ স্টার সিনেপ্লেক্সে। ছবিটি নিয়ে ইতোমধ্যেই ব্যাপক কৌতুহল লক্ষ্য করা যায় দর্শকদের। ট্রেলার প্রকাশের পর রীতিমত হুমড়ি খেয়ে পড়ে দর্শক। প্রিমিয়ারের পর বোদ্ধা-সমালোচকরাও বেশ ইতিবাচক মন্তব্য করেছেন।
‘ফ্রম ডাস্ক টিল ডন’, ‘প্লানেট টেরর’, ‘ম্যাচেটি’, ‘সিন সিটি: আ ডেম টু কিল ফর’-এর মতো সিনেমা নির্মাণ করে নিজেকে অনেক আগেই ভিশনারি পরিচালক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করে ফেলেছেন রবার্ট রদ্রিগেজ। এবার তিনি নিয়ে আসছেন ‘আলিটা: ব্যাটল অ্যাঞ্জেল’। এ ছবিতে তিনি যুক্ত হয়েছেন সর্বকালের সেরা নির্মাতাদের একজন জেমস ক্যামেরনের সঙ্গে। এ সিনেমায় ক্যামেরন সহ-লেখক ও প্রযোজক হিসেবে আছেন। জাপানি কমিক ‘কন’ বা ‘ম্যাংগা’ অবলম্বনে তৈরি হচ্ছে ‘আলিটা’। জাপানি ম্যাংগার জনপ্রিয় শিল্পী উকিতো কিশিরোর ব্যাটল অ্যাঞ্জেল আলিটা থেকে তৈরি হয়েছে রদ্রিগেজের সাইবারপাংক সিনেমা।
‘আলিটা: ব্যাটল অ্যাঞ্জেল’ ছবির কাহিনীর সময়কাল ষড়বিংশ শতক। এর ৩০০ বছর আগে দুনিয়ার প্রযুক্তির ‘পতন’ হয়েছিল। সেই পতনের প্রেক্ষিতে সৃষ্ট যুদ্ধে পৃথিবীর সভ্যতা অন্ধকার যুগে ফিরে যায়। টিকে ছিল কেবল একটা হাই-টেক শহর, যেটা আকাশে ভেসে থাকে। আর বাকি দুনিয়া ধ্বংস হওয়া দুনিয়াকে নতুন করে গড়তে কাজ করছিল। রদ্রিগেজের কথায়, ‘ছবিতে দর্শকরা অতীতে গিয়ে ভবিষ্যেক দেখতে পাবেন।’
ট্রেলারে দর্শকরা আকাশে যে দৈত্যাকার স্থাপনাটি দেখতে পান, সেটা হচ্ছে মানুষের তৈরি একটি শহর, যার নাম ‘সালেম’। এটা যুদ্ধের পর টিকে থাকা একমাত্র ভাসমান শহর। রদ্রিগেজ বলেন, ‘সালেম শহরটি ৩০০ বছর আগের অবস্থার মতোই টিকে আছে। পৃথিবীর মানুষ সেখানে পৌঁছতে পারে না। এমনকি সেখানে কী হচ্ছে, সেটাও তারা দেখতে পায় না। ৩০০ বছর আগে দুনিয়া থেকে সালেমে পৌঁছানোর জন্য লিফট ছিল, কিন্তু যুদ্ধের ফলে সেটা ভেঙে যায়।’ সালেমের কোনো মানুষ যদি দুনিয়ায় যেত, তাহলে সে আর নিজ শহরে ফিরতে পারত না। সালেমের মানুষ তাকে গ্রহণ করত না। কারণ তারা দুনিয়ার সঙ্গে যুক্ত কিছু তাদের উন্নত জীবনে যুক্ত করতে চায় না। সালেম শহরের ঠিক নিচেই এ লোহার শহরের কেন্দ্র। এখানে সালেম শহরের সব আবর্জনা রাখা হয়। দুনিয়া থেকে সালেমে যাওয়ার যে লিফট ছিল, সেখানেই এ ডাম্পিং গ্রাউন্ড তৈরি করা হয়। এখানেই ছবির মূল চরিত্র আলিটার মস্তিষ্ক ও হাড় খুঁজে পান তার এক সময়ের কেয়ারটেকার ও বিজ্ঞানী ড. ইডো। আলিটার মস্তিষ্ক তখনো জীবন্ত। সমস্যা সমাধানের উপায় খুঁজে বেড়ায় আলিটা ও তার বন্ধুরা। শেষ পর্যন্ত কি তারা সফল হয়? দেখার জন্য অপেক্ষা করা যাক ১৪ ফেব্রূয়ারি পর্যন্ত।
আরকে//