ভালোসার দিনে কিছু কথা
প্রকাশিত : ১০:১০, ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৮
১৪ ফেব্রুয়ারি দিনটাকে ভালোবাসার দিবস হিসেবে উদযাপিত করা হয়। সারা বিশ্বে এই দিবস পালন করা হয়। ঋতুরাজ বসন্তের আভাস কাটতে না কাটতেই এসে যায় ভালোবাসার দিনটি। ‘ভালোবাসার দিন’ কথাটা শুনলেই যেন মনে হয় ৩৬৫ দিনের মধ্যে শুধু একদিনই সবাই সবার প্রতি ভালোবাসা আপ্লুত হয়।
বলা হয়ে থাকে, ১৪ ফেব্রুয়ারি দিনটি শুধু তরুণ-তরুণীদের জন্য। তাদের লুকিয়ে থাকা অনুভূতিগুলো না কি এই দিন প্রকাশ করার সুযোগ পায়। তাই এই দিনকে বিশেষভাবে ঘোষণা করা হয়েছে। আসলে কি তাই? না কি এই দিনটার পিছনে অন্য কোন রহস্য রয়েছে।
উনবিংশ শতাব্দী থেকেই পালিত হয়ে আসছে এই দিবসটি। মানুষ এক সময় ভালোবাসা দিবস সম্পর্কে জানত না, তখন ভালোবাসার অভাবও ছিল না। কিন্তু বর্তমান চারিদিকে ভালোবাসার অভাব। তাই এ দিনটি পালন করে ভালোবাসার কথা মনে করিয়ে দেওয়া হয়। তবে মানুষের মনে এ কেমন ভালোবাসা যে, ভালোবাসার কথা মনে করিয়ে দেওয়ার জন্য একটা নির্দিষ্ট দিন রাখতে হয়!
এই দিবস শুধু তরুণ-তরুণীদের জন্য নয়। ভালোবাসা মূলত সবার জন্য। প্রকৃতির প্রতি ভালোবাসা, বাবা-মায়ের প্রতি সন্তানের ভালোবাসা, বন্ধুর প্রতি ভালোবাসা, ছেলে-মেয়েদের প্রতি ভালোবাসা। ভালোবাসা থাকবে এক অপরের প্রতি। শুধু মানবের প্রতি ভালোবাসা থাকলেই হবে না থাকতে হবে পশু-পাখির প্রতি ভালোবাসা। সবচেয়ে বড় হচ্ছে দেশপ্রেম। দেশের প্রতি ভালোবাসা না জন্মালে তার যেকোন ভালোবাসাই ব্যর্থ। আর ভালোবাসা শুধু নির্দিষ্ট করা একদিনের জন্য নয়, ভালোবাসা হবে প্রতিদিনের জন্য, প্রতিটি মুহূর্তের জন্য।
ভালোবাসার সম্পর্কে কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বলেছেন, ‘ভালোবাসার জন্য যার পতন হয়, বিধাতার কাছে সে আকাশের তারার মত উজ্জ্বল’। ভালো লাগা এমন একটা জিনিস যা একবার শুরু হলে সবকিছু ভালো লাগতে থাকে।
ভালোবাসা কথাটা অনেকের কাছেই হালকা মনে হয়। তাদের কাছে ভালোবাসা আজ আছে কাল নেই। কিন্তু সত্যিকারের ভালোবাসা কষ্ট দেওয়ার জন্য নয়, সত্যিকার ভালোবাসলে কষ্ট পেতে হয়। তবে আর কিছু মানুষ ভালোবাসা নিয়ে অভিনয় করে, যে কারণ ভেঙে যায় সত্যিকার ভালোবাসার হৃদয়। শুরু হয় ভালোবাসার প্রতি অবিশ্বাস। যা বর্তমান যুগটাই এক অভিনব প্রমাণ। এখন শুধু মুখে মুখেই ভালোবাসা, যে ভালোবাসায় কোন হৃদয় নেই।
তবে যেটাই বলি না কেন এই দিনটা যেন তরুণ-তরুণদের ভালোবাসা দিয়েই পরিপূর্ণ হয়। ভোরের সূর্যদয়ের রং দিয়ে শুরু হয় তাদের ভালোবাসার দিনটি। তাইতো বিশ্বের সব প্রেমিক ভোরের সুর্যের ছড়িযে দেওয়া আলোর কাছ থেকে ভালোবাসা সংগ্রহ করে। এরপর একসঙ্গে দেখা করে চলে প্রকৃতি থেকে নেওয়া ভালোবাসার লুকানো কথার আদান-প্রদান। তার সঙ্গে চলে গিফট দেওয়ার পর্ব।
ভালোবাসার মানুষটিকে তার সবচেয়ে প্রিয় জিনিসটা দিতে পারলে যেন মনে প্রশান্তি লাগে। প্রিয় মানুষটিকে ফুল, গ্রিটিংস কার্ড, চকলেট ও অলংকারসহ নানা উপহার দেওয়া এবং একান্ত সময় কাটানোর রীতি। পৃথিবীর সব মহান মানুষরাই ভালোবাসার জয়গান গেয়েছেন।
কেএনই্উ/এসএইচ/