ঢাকা, শনিবার   ২৩ নভেম্বর ২০২৪

ভালো নির্বাচন করতে হলে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার প্রয়োজন: এম সাখাওয়াত

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ২০:৩৯, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | আপডেট: ২০:৪৩, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের বস্ত্র ও পাট এবং নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা, সাবেক নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন বলেন, যত ভালো কমিশন গঠন হোক, ভালো নির্বাচন করতে হলে একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার প্রয়োজন।

আজ শনিবার ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশনাল আয়োজিত ‘বাংলাদেশে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও নির্বাচন কমিশনারদের নিয়োগ’ বিষয়ে পলিসি ডায়ালগে তিনি এসব কথা বলেন।

এম সাখাওয়াত হোসেন বলেন, ‘পুলিশকে মানবিক না করে দানব বানানো হয়েছে। তাদের হাতে ৭.৬২ এমএম রাইফেল দেওয়া হয়েছে। এটা তদন্ত করব বলেছি, কিন্তু এ নিয়ে আমাকে উদ্ধৃত করা হয়েছে। পুলিশের হাতে কারা দিয়েছে, সেটা তদন্ত করা দরকার। আমি তদন্ত করতে বলেছি, কেন দেওয়া হলো। উৎস জানি না, তা বলিনি।’

অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠিত নির্বাচন কমিশন সংস্কার কমিটির প্রধান ও সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেন, দায়মুক্তির বিধান যুক্ত করে ২০২২ সালে প্রণীত আইনে যাকে খুশি তাকে নিয়োগ দেওয়া সম্ভব। এর আগের নির্বাচন কমিশন পোস্ট অফিসের ভূমিকা পালন করেছে। নির্বাচন কমিশন পোস্ট অফিস নয়, সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান। তাঁরা সংবিধান লঙ্ঘন করেছেন।

রাজনৈতিক ঐকমত্য ও স্বচ্ছতার ভিত্তিতে ইসি গঠনে তার কমিটি প্রস্তাব করবে বলে জানান তিনি।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান বলেলেন, বর্তমানে রাজনৈতিক দলগুলো মোটামুটি ঐকমত্যে আছে। রাষ্ট্র সংস্কার একদিনে হয় না। এর জন্য সময় প্রয়োজন। রাজনৈতিক সংস্কৃতি ধীরে ধীরে পরিবর্তিত হবে।

বিএনপির আন্তর্জাতিকবিষয়ক সহকারী সম্পাদক রুমিন ফারহানা বলেন, সার্চ কমিটি ও ইসি গঠনের জন্য রাজনৈতিক দলের কাছ থেকে নাম নিতে হবে। কারণ রাজনৈতিক দলগুলো সবচেয়ে বড় স্টেকহোল্ডার।

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মতিউর রহমান আকন্দ বলেন, বিচার বিভাগকে কোনো অবস্থাতেই নির্বাচন কমিশন গঠনে যুক্ত করা ‍উচিত হবে না। সাংবাদিক, শিক্ষাবিদ, রাজনৈতিক দল, সুশীল সমাজ ও ছাত্র প্রতিনিধির সমন্বয়ে সার্চ কমিটি গঠনের প্রস্তাব করেন তিনি।

জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য শামীম হায়দার পাটোয়ারী বলেন, সবার আগে প্রয়োজন বিদ্যমান আইনটি (ইসি নিয়োগ আইন) বাতিল করা। এমনভাবে কমিশন গঠন প্রক্রিয়া প্রণয়ন করতে হবে যাতে কোনো সরকার তা নিয়ন্ত্রণ করতে না পারে।

প্রফেসর ড. রওনক জাহানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন—ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশনালের চিফ অব পার্টি ডানা এল. ওল্ডস। অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকী, গণঅধিকার পরিষদের একাংশের সভাপতি নুরুল হক নূর, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রেসিডিয়াম সদস্য প্রফেসর আশরাফ আলী আকন্দ, সুপ্রিম কোর্টের সাবেক রেজিস্ট্রার ইকতেদার আহমেদ, জাতীয় নাগরিক কমিটির সদস্য আরিফুল ইসলাম আদিব। ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশনালের মুখ্য পরিচালক ড. আব্দুল আলিম, প্রথম আলোর যুগ্ম সম্পাদক সোহরাব হাসান, জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলনের (এনডিএম) চেয়ারম্যান ববি হাজ্জাজ, এবি পার্টির যুগ্ম সদস্যসচিব ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ, ডেমোক্রেসিওয়াচের নির্বাহী পরিচালক তালেয়া রেহমান, ফেমার প্রেসিডেন্ট মুনিরা খান, খান ফাউন্ডেশনের প্রধান নির্বাহী রোকসানা খন্দকার প্রমুখ।

কেআই//


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি