দি ডক্টরস্
ভিটামিন ‘ডি’ এবং আমাদের স্বাস্থ্য (ভিডিও)
প্রকাশিত : ১৬:৩৬, ২০ জানুয়ারি ২০১৮ | আপডেট: ১৬:৩৭, ২০ জানুয়ারি ২০১৮
আমরা জানি আমাদের শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় অনেকগুলো ভিটামিন রয়েছে। এ বি সি ডি ই কে। এর মধ্যে একেকটি ভিটামিনের প্রয়োজনীয়তা একেক রকম। আজ আমাদের আলোচনার বিষয় ভিটামিন ‘ডি’। এই ভিটামিন ডি’র ঘাটতি হলে দেহে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা হয়।
একুশে টেলিভিশনের (ইটিভি) ‘দি ডক্টরস্’ অনুষ্ঠানে আজকের আলোচনার বিষয় ‘ভিটামিন ডি এবং আমাদের স্বাস্থ্য’। বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছেন- অধ্যাপক ডা. কাজী তারিকুল ইসলাম (মেডিসিন বিভাগ পপুলার মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল)।
অনুষ্ঠানটি উপস্থাপনা করেছেন- ডা. তাজনুভা জাবীন। অনুষ্ঠানটি শুনে প্রতিবেদন তৈরি করেছেন- সোহাগ আশরাফ
প্রশ্ন : আমরা কেনো ভিটামিন ডি কে এতো বেশি গুরুত্ব দিচ্ছি?
উত্তর : এর মধ্যে অনেকগুলো বিষয় আছে। তবে আমি দুই তিনটি বিষয় হাইলাইট করতে চাই। আমাদের কাছে অনেক সময়ই গায়ে হাত পায়ে ব্যাথা বা বিষন্নতা নিয়ে রোগীরা আসতো। কিন্তু আমরা চিকিৎসা দেওয়ার পরেও দেখা যেতো সে পুরোপুরি সুস্থ্য হচ্ছে না। তারা এক ডাক্তার থেকে অন্য ডাক্তারের স্মরণাপন্ন হতেন। বহুদিন ধরেই জানা ছিলো না যে-গায়ে হাত পায়ে ব্যাথা বা অন্য বিষন্নতা নিয়ে যে রোগীরা আসছেন তাদের মধ্যে ভিটামিন ডি এর অভাব রয়েছে। এই ব্যাথাগুলো অনেক সময় হাড়ে আবার অনেক সময় মাংসেও হয়ে থাকে।
প্রশ্ন : ব্যাথা বা বিষন্নতা ছাড়া আর কি কি উপসর্গ নিয়ে রোগীরা আসেন?
উত্তর : একটা উদাহরন দিয়ে বলতে পারি। একজন এক্সিকিউটিভ তিনি বাড়িতে, গাড়িতে, অফিসে এসির মধ্যে থাকছেন। কখনও তিনি রোদে যাওয়ার সুযোগ পান না। তিনি হয়তো খাবারের মাধ্যমে অনেক ভিটামিন ডি খান। কিন্তু উনি যখন ব্যাথা নিয়ে আসেন তখন প্যারাসিট্যামল দিয়ে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়। কিন্তু গভীরে গেলে দেখা যাবে ভিন্ন কারণ। এরকম অনেক রোগী আমরা পেয়েছি। দেখা গেছে তাদের রক্তে ভিটামিন ডি এর মাত্রা অনেক কম।
প্রশ্ন : রক্তের মাত্রা কিভাবে নির্ণয় করেন?
উত্তর : এটা নির্ণয় করা হয় রক্ত পরীক্ষার মাধ্যমে। এতে করে রক্তে ভিটামিন ডি এর লেভেল দেখা যায়। ল্যাবরেটরি ভেদে দুই হাজার টাকায় এই পরীক্ষা করা যায়। তবে এটা তখনই করবেন যখন আপনার সন্দেহ হবে।
প্রশ্ন : আমরা শরীরে কিভাবে ভিটামিন ডি তৈরি করতে পারি?
উত্তর : ভিটামিন ডি আমাদের দেহের চামড়াতে তৈরি হয়। ৭০ ভাগ ভিটামিন ডি তৈরি হয় চামড়ায়। আর ৩০ ভাগ তৈরি হয় খাবারের মাধ্যমে। আমি যদি অনেক বেশি ভিটামিন ডি যুক্ত খাবার খাইও তা কিন্তু কোন কাজে লাগবে না। মনে রাখতে হবে- আমরা যেনো প্রতিদিন কোন না কোন সময় সকাল ১০টা থেকে দুপুর ৩টা এর মধ্যে অবশ্যই ২০ মিনিট সূর্যের তাপ গ্রহণ করি। মজা বিষয় হচ্ছে এতে করে শরীরে ভিটামিন ডি তৈরি হবে। এবং এতে কোন অর্থেরও প্রয়োজন হবে না।
প্রশ্ন : কোন কোন খাবারে সাধারণত ভিটামিন ডি পাওয়া যায়?
উত্তর : আমি চারটি খাবারের নাম বলছি। যেগুলো আমরা সব সময়ই খেয়ে থাকি। হয়তো পরিমান কম বেশি হতে পারে। এগুলো হচ্ছে- মাছ, মাংস, ডিম, দুধ। তবে দুধের উপকরণ থেকে আসছে বাটার, মাখন, চিজ। আবার গম বা ভুট্টা খাওয়া যেতে পারে। তবে এগুলোর ক্ষেত্রে বাইরের খোসা বাদে খেলে হবে না। সাধারণত এ খাবারগুলো পরিমিত খেলে ঘারতি হবে না।
বিস্তারিত আরও জানতে ভিডিও ক্লিক করুন :
এসএ/