ভিন্ন মতের নামে দেশবিরোধিতা সহ্য করা হবে না: শেখ পরশ
প্রকাশিত : ১৬:৫৩, ২৭ নভেম্বর ২০২৩
বিএনপি-জামাত কর্তৃক পুলিশ হত্যা, কাকরাইল মসজিদ ও রাজারবাগ পুলিশ লাইন্স হাসপাতালে অগ্নিসংযোগ, প্রধান বিচারপতির বাসভবনে ও দেশপ্রেমিক সাংবাদিকদের ওপর হামলা ও অবৈধ অবরোধের প্রতিবাদে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের অন্তর্গত সংসদীয় আসন ভিত্তিক অবস্থান কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।
উক্ত অবস্থান কর্মসূচির অংশ হিসেবে আজ ২৭ নভেম্বর, দুপুর ১২ টায়, ঢাকা-৬ আসনের নারিন্দা খোকা মাঠে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- শেখ ফজলে শামস্ পরশ, চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ। সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- মোহাম্মদ সাইদ খোকন, কার্যনির্বাহী সদস্য, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। সভাপতিত্ব করেন-ঢাকা মহানগর যুবলীগ দক্ষিণের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাইন উদ্দিন রানা, সঞ্চালনা করেন-ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক এইচ এম রেজাউল করিম রেজা।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস্ পরশ বলেন, গত এক মাস ধরে একটা অবৈধ দলের অবৈধ কর্মসূচি চলছে। কিন্তু আপনারা কি দেখছেন। তারা এক দিকে অবৈধ অবরোধ দিচ্ছে অন্যদিকে রাস্তায় ট্রাফিক জ্যামের সৃষ্টি হয়েছে। এতে বোঝা যায় তাদের অবৈধ অবরোধ কর্মসূচি এদেশের জনগণ সম্পূর্ণরূপে প্রত্যাখান করেছে। আমার একটি প্রশ্ন, এই হরতাল বা অবরোধের মানেটা কি? এই কর্মসূচির মাধ্যমে আসলেই কি সরকারের পতন ঘটানো সম্ভব? এটা কি কোন প্রতিবাদের প্রতীকি ভাষা? তাহলে জনগণের সম্পৃক্ততা কোথায়? জনগণের সম্পৃক্ততা ছাড়া এই কর্মসূচি অর্থহীন। আর যদি তারা সরকারের পতনই না ঘটাতে পারে তাহলে জনগণের দুর্ভোগ সৃষ্টি করে লাভ কি? এ ধরণের প্রশ্ন সাধারণ মানুষের সৃষ্টি হয়েছে।
তিনি বলেন, বিএনপি-জামাতের উদ্দেশ্য ছিল নির্বাচনকে বানচাল করা। যে কোনভাবে সরকারের পতন ঘটিয়ে একটি অনির্বাচিত সরকারকে গদিতে বসানো। এই দুই উদ্দেশ্য তাদের সফল হতে পারে নাই আমাদের যুবলীগের নেতা-কর্মীদের জন্য। এই সকল অপশক্তি যারা দেশবিরোধী, যারা এই দেশের অস্তিত্বকে বিশ্বাস করে না, যারা এখনও পাকিস্তানী ভাবধারার বাংলাদেশ সৃষ্টি করতে চায়, যারা মৌলবাদের পৃষ্ঠপোষক, যারা আমাদের সনাতন ভাই-বোনদের ওপর অত্যাচার করেছে এবং করার সুযোগ খোঁজে তাদেরকে যুবলীগের নেতা-কর্মীরা রাজপথে বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে প্রতিহত করেছেন। আপনাদের কারণেই এই দেশবিরোধী অপশিক্ত ইঁদুরের গর্তে ঢুকে গিয়েছে। এই ইঁদুরের গর্ত থেকে বের হয়ে তারা দু একটি বাসে আগুন দিচ্ছে, ককটেল মারছে।
তিনি আরও বলেন, জনগণের সম্পদ নষ্ট করে জনগণের সমর্থন অর্জন করা যায় না। এই কৌশল কোন দিন কাজে দিবে না। আপনারা জানেন আমরা দাবি তুলেছি এই সন্ত্রাসী বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠনকে নিষিদ্ধ করে তাদের রাজনীতি নিষিদ্ধ করা। কারণ আমাদের যুক্তি একটাই, এই দেশে কোন দেশবিরোধী, স্বাধীনতাবিরোধী, যারা এই দেশেল অস্তিত্বকে বিশ্বাস করে না তাদের তো রাজনীতি করার অধিকার নাই। এই দেশে আওয়ামী বিরোধী মতবাদ থাকতে পারে এবং ভিন্নমত গণতন্ত্রের অলংকার। আমরা বিশ্বাস করি একটি প্রগতিশীল, উদার মনার রাজনৈতিক দল সৃষ্টি হবে। যারা আওয়ামী বিরোধী হতে পারে, ভিন্নমতের হতে পারে কিন্তু দেশবিরোধী কোন শক্তি আমরা চাই না। ভিন্ন মতের নামে দেশবিরোধীতা সহ্য করা হবে না। এই দেশকে যারা মৌলবাদী দেশ বানাতে চায় এবং এই দেশের যারা ক্ষতি করতে চায় তাদেরকে এই যুবসমাজই প্রতিহত করবে।
সম্মানিত অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সদস্য মোহাম্মদ সাইদ খোকন বলেন, সারাদেশে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থীকে বিজয়ী করার লক্ষ্যে যুবলীগ ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করবে বলে আমি বিশ্বাস করি। কারণ যুবলীগই পারবে সকল অপশিক্তকে প্রতিহত করে নৌকাকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দিতে।
এছাড়াও ঢাকা মহানগর যুবলীগ উত্তরের অন্তর্গত ঢাকা-১১ সংসদীয় আসনে সুবাস্তু টাওয়ার, উত্তর বাড্ডা, ঢাকা-১২ সংসদীয় আসনে যুবলীগ চত্বর, ফার্মগেইট, ঢাকা-১৩ সংসদীয় আসনে শ্যামলী, ঢাকা-১৫ সংসদীয় আসনে মিরপুর-১০ গোল চত্বর, ঢাকা-১৬ সংসদীয় আসনে মিরপুর-১১ বাস স্ট্যান্ড ও ঢাকা-১৮ সংসদীয় আসনে আজমপুর, উত্তরায় এবং ঢাকা মহানগর যুবলীগ দক্ষিণের অন্তর্গত ঢাকা-২ সংসদীয় আসনে ৫৭নং ওয়ার্ড, কামরাঙ্গীরচর লোহার ব্রীজ, ঢাকা-৪ সংসদীয় আসনে শ্যামপুর ইকো পার্কের সামনে, ঢাকা-৫ সংসদীয় আসনে শনিরআখড়া দনিয়া কলেজের সামনে, ঢাকা-৭ সংসদীয় আসনে চকবাজার মোড়, ঢাকা-৮ সংসদীয় আসনে ২৩, বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে ও ঢাকা-৯ সংসদীয় আসনে কমলাপুর স্কুল এন্ড কলেজ বৌদ্ধ মন্দির সংলগ্নে ও ঢাকা-১০ সংসদীয় আসনে ধানম-ি-৩২ নম্বরে সংসদীয় আসন ভিত্তিক অবস্থান কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মোঃ হাবিবুর রহমান পবন, ইঞ্জিনিয়ার মৃনাল কান্তি জোদ্দার, মোঃ তাজউদ্দিন আহমেদ, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক বিশ্বাস মুতিউর রহমান বাদশা, মুহাম্মদ বদিউল আলম, সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী মোঃ মাজহারুল ইসলাম, ডা. হেলাল উদ্দিন, মোঃ সাইফুর রহমান সোহাগ, জহির উদ্দিন খসরু, প্রচার সম্পাদক জয়দেব নন্দী, দপ্তর সম্পাদক মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান মাসুদ, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক মোঃ সাদ্দাম হোসেন পাভেল, শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক মোঃ আব্দুল হাই, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক মাওলানা খলিলুর রহমান সরদার, উপ-দপ্তর সম্পাদক মোঃ দেলোয়ার হোসেন শাহজাদা, উপ-গ্রন্থনা ও প্রকাশনা সম্পাদক অ্যাড. শেখ নবীরুজ্জামান বাবু, উপ-স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক ডা. মোঃ মাহফুজার রহমান উজ্জ্বল, উপ-ধর্ম সম্পাদক হরে কৃষ্ণ বৈদ্যসহ কেন্দ্রীয় মহানগর ও বিভিন্ন ওয়ার্ড যুবলীগের নেতৃবৃন্দ।
কেআই//
আরও পড়ুন