ঢাকা, সোমবার   ২১ এপ্রিল ২০২৫

Ekushey Television Ltd.

ভিভিআইপি এলাকার চোরও ভিআইপি (ভিডিও)

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৪:৫০, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২১

Ekushey Television Ltd.

ভিভিআইপি এলাকা গুলশান-বনানী-বারিধারায় সুবিধাজনক সময়ে চুরি করে, ব্যতিক্রমী এক চোরের দল। বাসা ফাঁকা থাকলে করে রান্নাবান্না, চলে নিশিযাপন। 

আচার আচরণে অন্য চোরদের চেয়ে অনেকটাই আলাদা এই ভিআইপি চোর চক্রের সদস্যরা। চুরির ধরণও ভিন্ন। বিদেশি নাগরিকদের ফ্ল্যাট থেকে শুরু করে, অনেকসময় কড়া নিরাপত্তার ফাঁক গলে তারা ঢুকে পরে দূতাবাসেও। এদের মূল টার্গেট ফাঁকা বাড়ি। 

গুলশান থানার ওসি আমিনুল ইসলাম জানান, বাবু নামের একজন আছে যে সন্ধ্যার পর বাইক নিয়ে ঘুরে বেড়ায় এবং পর্যবেক্ষণ করে কোন বাসার লাইট অফ থাকে। এরপর বাসার পেছন থেকে গ্রিল কেটে ঢোকে এবং চুরি করে পালিয়ে যায়। অনেকসময় দীর্ঘদিন বাসা তালাবদ্ধ আছে এটা বুঝতে পারলে রাত্রিযাপনও করে তারা। এই চক্রের একেজনের চুরির ধরন একে রকম। কেউ শুধু অফিসে ঢুকে ল্যাপটপ চুরি করে। আর চুরির কোনো উপায় বের করতে না পারলে, রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকা গাড়ির যন্ত্রাংশও চুরি করে কেউ কেউ।  

গুলশান নিকেতন সোসাইটির সাবেক সভাপতি সামছুল আরেফিন চৌধুরী বলেন, শুরুর দিকে ইটালিয়ান এক নাগরিকের বাড়িতে চোর ঢুকেছিলো, তবে সেই মুহূর্তে ভদ্রমহিলা চিৎকার করায় চোর পারিয়ে যায়। পরে সিসি ক্যামেরার কল্যাণে সে ধার পড়ে।  

নিরাপত্তার কারণে ভিভিআইপি এলাকার ফ্ল্যাটে ঢোকা বেশ কঠিন। তাই মাঝেমধ্যেই চুরির ধরন পাল্টায় এই চোরের দল। আর চুরির পর মূল্যবান জিনিসপত্র বিক্রি করে দেয় চোর সিন্ডিকেটের কাছে।

ভিআইপি এলাকার চোরদের অন্যতম মাসুম, বাবু, জীবন, গাফফার, হারুন আর মিজান। গুলশান বিভাগের বিদায়ী ডিসি জানান, প্রত্যেকের কৌশল ভিন্ন ছিলো, প্রতিটি কৌশল পর্যালোচনা করে এই চোরদের ধরেছেন তারা। আর গ্যাং লিডাররা আটক হওয়ায় আপাতত চুরিও বন্ধ হয়েছে। 
দেখুন ভিডিও :

এসবি/ এসএ/


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি