ঢাকা, রবিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৫

Ekushey Television Ltd.

ভূমিকম্পে কাঁপল ভারত, ঢাকাতেও অনুভূত

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৯:০৬, ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

Ekushey Television Ltd.

ভূমিকম্পে কেঁপে উঠেছে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের রাজধানী কলকাতা ও পার্শ্ববর্তী রাজ্য ওড়িশা। এই ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাতেও।

মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) সাত সকালে আঘাত হানা এই ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল রিখটার স্কেলে ৫ দশমিক ১। বাংলাদেশের কাছাকাছি অঞ্চলে আঘাত হানা এই ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে রাজধানী ঢাকাতেও। 
পৃথক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভূমিকম্প ও আগ্নেয়গিরি বিষয়ক ওয়েবসাইট ভলকানো ডিসকভারি এবং সংবাদমাধ্যম লাইভ মিন্ট।

লাইভ মিন্ট বলছে, মঙ্গলবার সকালে কলকাতায় রিখটার স্কেলে ৫.১ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল ছিল বঙ্গোপসাগর এবং ভূপৃষ্ঠের ৯১ কিলোমিটার গভীরে। কলকাতার কাছে ভূমিকম্পের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে ভারতের জাতীয় ভূকম্পন কেন্দ্র ন্যাশনাল সেন্টার ফর সিসমোলজি।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম বলছে, মঙ্গলবার স্থানীয় সময় সকাল ৬টা ১০ মিনিটের দিকে এই ভূমিকম্প অনুভূত হয়। মাত্র কয়েক সেকেন্ড স্থায়ী হয় এই ভূমিকম্প। কলকাতা, হাওড়া, পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা ছাড়াও আশেপাশে কয়েকটি এলাকায় এই কম্পন অনুভূত হয়।

ন্যাশনাল সেন্টার ফর সিসমোলজির তথ্য অনুসারে, রিখটার স্কেলে এর মাত্রা ছিলো ৫.১। বঙ্গোপসাগরে এই ভূমিকম্পর উৎস। ভূপৃষ্ঠ থেকে ৯১ কিলোমিটার গভীরে ছিল এর উৎস। এছাড়া এই ভূমিকম্পের উৎসস্থল ছিল ওডিশার পারাদ্বীপ থেকে প্রায় ২২০ কিলোমিটার দূরে। 

দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলার পাশাপাশি এই কম্পন অনুভূত হয়েছে বাংলাদেশ এবং ওডিশাতেও।

এখন পর্যন্ত ভূমিকম্পের কারণে ক্ষয়ক্ষতির বিস্তারিত কিছু জানা যায়নি।

এদিনই ভারতের আরেক রাজ্য হিমাচল প্রদেশের মান্ডি এলাকায় ৩.৭ মাত্রা ভূমিকম্প হয়েছে বলেও জানা গেছে। সোমবার রাতে, মণিপুরের উরখুল এলাকায় মাটি থেকে ১০ কিলোমিটার গভীরে ৩.২ মাত্রার ভূমিকম্প হয় বলেও জানিয়েছে ন্যাশনাল সেন্টার ফর সিসমোলজি।

অন্যদিকে, ভলকানো ডিসকভারি বলছে, মঙ্গলবার সকালে ভারত থেকে ২১৬ কিমি (১৩৪ মাইল) দূরে বঙ্গোপসাগরে শক্তিশালী ৫.৩ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। ভূমিকম্পের গভীরতা ছিল ১০ কিমি (৬ মাইল) এবং তা এই এলাকায় ব্যাপকভাবে অনুভূত হয়েছে। ভূমিকম্পের অগভীর গভীরতার কারণে এটি উপকেন্দ্রের কাছাকাছি অনুরূপ মাত্রার গভীর ভূমিকম্পের চেয়ে বেশি শক্তিশালীভাবে অনুভূত হয়েছে।

ভূমিকম্প ও আগ্নেয়গিরি বিষয়ক এই ওয়েবসাইটটি বলছে, ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থলের সবচেয়ে কাছের বড় শহর হচ্ছে পারাদ্বীপ। ৮৬ হাজার বাসিন্দার ভারতীয় এই শহরটি ভূমিকেন্দ্রের উত্তর-পশ্চিমে ২৩০ কিমি (১৪৩ মাইল) দূরত্বে অবস্থিত। সেখানকার লোকেরা সম্ভবত দুর্বল কম্পন অনুভব করেছে।

এছাড়া ভূমিকম্পের কেন্দ্র থেকে ৫২৬ কিমি (৩২৭ মাইল) দূরে বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায় ভূমিকম্পটি সম্ভবত খুব দুর্বল কম্পনের মতো অনুভূত হয়েছে বলেও জানিয়েছে ভলকানো ডিসকভারি।

এএইচ


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি