ভোটে সহিংসতা না করার প্রতিশ্রুতি দুই প্রার্থীর
প্রকাশিত : ০৮:৫৫, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৩
আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে রাজশাহী-৪ (বাগমারা) আসনে উত্তেজনা বিরাজ করছিল। তবে প্রশাসনের হস্তক্ষেপে এই আসনের প্রতিদ্বন্দ্বী দুই প্রার্থী হাতে হাত রেখে আর সহিংসতা করবেন না বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
সোমবার বিকালে হঠাৎ করে রাজশাহী-৪ (বাগমারা) আসনে ঝটিকা সফর করেন রিটার্নিং অফিসার ও জেলা প্রশাসক শামীম আহমেদ এবং পুলিশ সুপার সাইফুল ইসলাম। পরে তারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার দপ্তরে স্বতন্ত্র প্রার্থী ও বর্তমান সংসদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার এনামুল হক (কাঁচি), আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী আবুল কালাম আজাদ (নৌকা) ও বিএনএম প্রার্থী সাইফুল ইসলাম রায়হানের (নোঙ্গর প্রতীক) সাথে বৈঠক করেন।
এ সময় তারা নির্বাচনী এলাকার আইন শৃঙ্খলা বিষয়ে আলোচনা করেছেন। ওই বৈঠকে নির্বাচন কেন্দ্র করে যেসব ঘটনা ঘটেছে সে বিষয় নিয়ে দুই প্রার্থীর সাথে খোলামেলা আলোচনা করেন জেলা প্রশাসক শামীম আহমেদ ও পুলিশ সুপার সাইফুল ইসলাম। নির্বাচনের মাঠে আর কোন সহিংসতা না ঘটে সে ব্যাপারে সংযত হতে উভয় প্রার্থীর প্রতি আহবান জানান তারা।
বৈঠকে শেষে দুই প্রার্থী হাতে হাত রেখে সহিংসতা করবেন না বলে প্রতিশ্রুতি দেন। এ সময় তারা দুজনে কুলাকুলিও করেন।
এদিকে, হঠাৎ করে জেলা প্রশাসক শামীম আহমেদ ও পুলিশ সুপার সাইফুল ইসলামের এই ঝটিকা সফর নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে কিছুটা স্বস্তির আশ্বাস ফেলছে। বিগত কয়েক দিন ধরে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বর্তমান সাংসদ স্বতন্ত্র প্রার্থী ইঞ্জিনিয়ার এনামুল হক ও আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী আবুল কালাম আজাদ প্রার্থীর মধ্যে একাধিক সহিংসতার ঘটনা ঘটে। এ নিয়ে ভোটারদের মাঝে আতঙ্ক ঝড়িয়ে পড়ে।
বৈঠক শেষে রিটার্নিং অফিসার ও জেলা প্রশাসক শামীম আহমেদ স্থানীয় সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন। এ সময় তিনি নির্বাচনের বস্তুনিষ্ঠ ও সঠিক তথ্য দিয়ে সহযোগীতা করার আহবান জানান। এছাড়া নির্বাচনের দিন স্থানীয় সাংবাদিকরা যাতে সংবাদ সংগ্রহ ও পরিবেশনের জন্য সহজে পাস পায় সে বিষয়ে ব্যবস্থা নিবেন বলেও সাংবাদিকদের আশ্বস্ত করেন।
ভোটের প্রচার প্রচারণা শুরুর পর থেকে বাগমারায় এখন পর্যন্ত স্বতন্ত্র প্রার্থীর কাঁচি প্রতীকের ২৩টি নির্বাচনী অফিস ভাঙচুর করে নৌকার প্রার্থীর কর্মীরা। এছাড়া উপজেলার ২৫ স্থানে কাঁচি প্রতীকের কর্মীরা সশস্ত্র হামলার শিকার হয়। এসব হামলায় আহত হয়েছেন কাঁচি প্রতীকের ৪৫ জন নেতাকর্মী।
এসব ঘটনায় এখন পর্যন্ত সাতটি মামলা হয়েছে। আর গ্রেপ্তার হয়েছে পাঁচজন।
এএইচ
আরও পড়ুন