ভ্যাট আরোপে রেলওয়েকে এনবিআরের চিঠি
প্রকাশিত : ১৬:৪১, ১ অক্টোবর ২০১৭ | আপডেট: ২১:৪১, ১ অক্টোবর ২০১৭
রেলের মাধ্যমে বহনকৃত পণ্যের উপর মূল্য সংযোজন কর (মূসক) বা ভ্যাট আরোপের সম্ভাব্যতা যাছাইয়ে রেলওয়েকে একটি চিঠি দেওয়া হয়েছে। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) সম্প্রতি এ চিঠি দিয়েছে। চিঠিতে পেট্রোলিয়ামজাতীয় পণ্যের ক্ষেত্রে ৪ দশমিক ৫ ও অন্যান্য পণ্যে ১০ শতাংশ হারে ভ্যাট আরোপের প্রস্তাব করা হয়েছে। রাজস্ব আয় বাড়াতে এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে এনবিআর সূত্রে জানা গেছে।
এনবিআরের পাঠানো ওই চিঠিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ রেলওয়ের শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ট্রেন সার্ভিস, ইজারাদার, নির্মাণ সংস্থা, জোগানদার, বিজ্ঞাপনী সংস্থার সেবার বিপরীতে ভ্যাট এনবিআরের কোষাগারে জমা হয়। তবে ট্রেনে পণ্য পরিবহনে কোনো ভ্যাট প্রদান করা হয় না। ট্রেনে সরকার কর্তৃক নির্ধারিত হারে ভাড়া আদায় করা হলেও তা মূসকসহ নির্ধারণের কথা বলা হয়েছে ওই চিঠিতে। বিষয়টি নিয়ে রেলপথ মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ রেলওয়ে ও রেলওয়ে ভবনের সমন্বিত সিদ্ধান্তও জানতে চাওয়া হয়েছে।
এনবিআরের কাস্টমস এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট সৈয়দ গোলাম কিবরিয়া বলেন, ভ্যাট আরোপের বিষয়ে প্রয়োজনীয় সম্ভাব্যতা যাচাইয়ে এরই মধ্যে বাংলাদেশ রেলওয়ে চট্টগ্রাম কার্যালয়ের ঠিকানায় চিঠি পাঠানো হয়েছে।
জানা গেছে, সাধারণ যাত্রীদের ভাড়া ভ্যাটমুক্ত হলেও মূসক আইনে পণ্য পরিবহনের উপর ভ্যাট দেয়ার নিয়ম আছে। রেলওয়ের পণ্য পরিবহনে এখন পর্যন্ত এ ভ্যাট আদায় করা হয় না। রেলে বুকিংয়ের মাধ্যমে পণ্য পরিবহন, পেট্রোলিয়ামজাত পণ্য পরিবহন ও কনটেইনারে পণ্য পরিবহন ভ্যাটযোগ্য বলে মনে করছে এনবিআর। তবে রেলে ভাড়ার হার সরকার কর্তৃক নির্ধারিত হওয়ায় এখানে সাধারণ আইন প্রয়োগ করা যায় না। ফলে এর আইনি দিক বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নিতে রেলওয়েকে চিঠি দেয়া হয়েছে। রেলের ভাড়ার বিপরীতে ভ্যাট পরিশোধ করলে তা কীভাবে সমন্বয় হবে, সে বিষয়েও সিদ্ধান্ত নিতে বলা হয়েছে রেলওয়েকে।
আরকে/ডব্লিউএন
আরও পড়ুন