ভ্রমণে গিয়ে দেখলেন ব্যাগে কিলবিল করছে কাঁকড়া বিছা! তারপর…
প্রকাশিত : ১৭:০৬, ৩১ জুলাই ২০২২
কাঁকড়া, বিছা কামড়ালে কতখানি বিপদ? সোনার কেল্লার সার্কিট হাউজে মন্দার বোসের ষড়যন্ত্র থেক রক্ষা পাওয়ার পর তোপসেকে বুঝিয়েছিলেন ফেলুদা। গ্লাসবন্দি ভয়ানক বিছার হুলটিকে দেখিয়ে বাঙালির প্রিয় প্রদশ মিটার জানিয়েছিলেন, ছোটদের কামড়ালে অবধারিত মৃত্যু। প্রাপ্তবয়স্করা আধমরা। তেমন ১৮টি বিছে যদি একসঙ্গে আপানার উপর হামলে পড়ে?
বিষয়টা কল্পনা করাও কঠিন। সম্প্রতি অস্ট্রিয়ায় এক পর্যটক সেই পরিস্থিতিতেই পড়েন। কিছুদিন আগে ক্রোয়েশিয়ায় বেড়াতে গিয়েছিলেন ওই মহিলা। শনিবার বাড়ি ফেরেন। ঘরে ফিরে জামাকাপড়, জিনিসপত্র বের করার জন্য ভ্রমণসঙ্গী ব্যাগটি খুলতেই আঁতকে ওঠেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই মহিলা দেখেন, স্যুটকেস ভরতি কাঁকড়া বিছা কিলবিল করছে।
প্রাথমিক ধাক্কা সামলে, ব্যাগ থেকে নিরাপদ দূরত্বে গিয়ে স্থানীয় প্রশাসনকে ফোন করেন মহিলা। এরপর তার বাড়িতে হাজির হয় বন দপ্তরের একটি দল। যারা প্রাণী উদ্ধার করে থাকে। ওই দলটির পক্ষ থেকে জানানো হয়, শনিবার দুপুরে এক মহিলা অভিযোগ করেন, তিনি ক্রোয়েশিয়ায় ঘুরতে গিয়েছিলেন। ফিরে এসে দেখেন তার লাগজে ভরতি কাঁকড়া বিছা। যার মধ্যে একটি মা কাঁকড়া, বাকিগুলি তার সন্তান।
উদ্ধারের সময়েই দেখা যায়, ছোট-বড় মিলিয়ে স্যুটকেসে কাঁকড়া বিছার সংখ্যা ১৮টি। প্রাথমিকভাবে তাদের অস্ট্রিয়ার প্রাণী সংরক্ষণ কেন্দ্রে রাখা হয়। তবে বন দপ্তরের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এই কাঁকড়া বিছাগুলি যে প্রজাতির তা মূলত ক্রোয়োশিয়াতে মেলে। ফলে এগুলিকে ক্রোয়েশিয়াতে ফেরত পাঠানো হবে। কিন্তু মহিলার ব্যাগে কী করে অতগুলি কাঁকড়া বিছা ঢুকে পড়ল? বনকর্মীদের বক্তব্য, ক্রোয়েশিয়ায় ঘুরে বেড়ানোর সময় কোনওভাবে কয়েকটি কাঁকড়া বিছে ওই ব্যাগে ঢুকে পড়ে। পরে সেগুলি লাগেজের ভেতরেই বংশ বিস্তার করে। ফলেই পরিমাণ বেড়ে যায়।
উল্লেখ্য, ক্রোয়েশিয়া, অস্ট্রিয়ার মতো দেশে কাঁকড়া বিছার উপদ্রব রয়েছে। তবে আশার কথা, স্থানীয় অঞ্চলে ২০০০ প্রজাতির কাঁকড়া বিছা মিললেও তার মধ্যে ৩০ থেকে ৪০ রকমের কাঁকড়া বিছের কামড়ে মানুষের মৃত্যু হতে পারে। অর্থাৎ কেবল সেগুলই বিষাক্ত। বাকিগুলি গোবেচারা।
সূত্র: সংবাদ প্রতিদিন
এসবি/