ঢাকা, রবিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৫

Ekushey Television Ltd.

মঙ্গলে ৪০ বছর আগেই মিলেছিল প্রাণের প্রমাণ: নাসার বিজ্ঞানী

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৯:৫৪, ১৬ অক্টোবর ২০১৯ | আপডেট: ০৯:৫৫, ১৬ অক্টোবর ২০১৯

Ekushey Television Ltd.

মঙ্গলে ১৯৭৬ সালে একটি বাইকিং ল্যান্ডার পাঠিয়েছিল নাসা। সেইসময় প্রিন্সিপ্যাল ইনভেস্টিগেটর ছিলেন গিলবার্ট ভি লেভিন নামে এক বিজ্ঞানী। তিনিই সম্প্রতি একটি মার্কিন জার্নালে ওই অভিযান সংক্রান্ত একটি আর্টিকল লেখেন। সেখানেই তিনি লিখেছেন, লাল গ্রহে প্রাণের প্রমাণ পাওয়া গিয়েছিল তখনই।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ওই পরীক্ষার নাম ছিল ‘লেবেলড রিলিজ।’ মূল মঙ্গলের মাটি পরীক্ষা করার জন্যই পাঠানো হয়েছিল ওই ল্যান্ডার। তখনই নাকি সব প্রশ্নের উত্তর মোটামুটিভাবে পাওয়া গিয়েছিল বলে দাবি করেছেন নাসার এই প্রাক্তন বিজ্ঞানী।

জানা গেছে, ওই পরীক্ষায় মঙ্গলের মাটিতে কিছু পৌষ্টিক উপাদান পাওয়া গিয়েছিল। বিজ্ঞানীদের মতে, যদি মঙ্গলে প্রাণ থাকত তাহলে তারা খাবার খেয়ে বায়বীয় পদার্থ বর্জন করত, যা তাদের পরিপাকক্রিয়ার প্রমাণ দিত। সেই প্রমাণ নাকি তখন ওই ল্যান্ডারের রেডিওঅ্যাকটিভ মনিটরে পাওয়া গিয়েছে বলে জানিয়েছেন ওই বিজ্ঞানী।

তার দাবি, ওই মাটি নিয়ে নাসা দ্বিতীয়বার পরীক্ষা করে দেখেছিল। দু’বারই নাকি প্রাণের প্রমাণই উঠে এসেছিল। কিন্তু নাসা ওই পরীক্ষার ফলাফলের প্রতিলিপি তাদের ল্যাবরেটরিতে বের করতে পারেনি। তাই সঠিক ফলাফল সামনে আসেনি শেষমেশ।

লেভিন ওই আর্টিকলে পরিস্কার উল্লেখ করেছেন যে, ল্যান্ডারটি আদতে আসল প্রাণের প্রমাণ না পেলেও প্রাণের মতো কিছুর হদিস পেয়েছিল। কিন্তু পরবর্তীকালে নাসা আর কখনও প্রাণ পরীক্ষা করার কোনও যন্ত্র মঙ্গলে পাঠায়নি বলে উল্লেখ করেছেন তিনি।

তবে কয়েক দশক বাদে আরও উল্লেখযোগ্য কিছু চিহ্ন পাওয়া গিয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি। নাসার ‘কিউরিওসিটি’ অরগ্যানিক জিনিসের চিহ্ন পেয়েছে মঙ্গলে। এমনকি একসময় লবণহ্রদ ছিল বলেও প্রমাণ উঠে এসেছে নাসার হাতে।

গহ্বরের গায়ে লবণের পুরু ওই আস্তরণ দেখেই গবেষকরা মনে করছেন, মঙ্গলে প্রাণের অস্তিত্বের প্রমাণ দিচ্ছে ওই লবণের আস্তরণ। বিজ্ঞানীরা জানান, পৃথিবীর সঙ্গে মঙ্গলের জলবায়ু বৈচিত্রের বিশেষ ফারাক নেই। তাই পৃথিবীর মতোই লবণ জলের হ্রদ শুকিয়েছে মঙ্গলেও। কীভাবে তা পরিবর্তিত হয়েছে, তা জানতেই গবেষণার জন্য গেল ক্রেটারকে বেছে নেওয়া হয়েছিল।

নাসার ‘মার্স ২০২০’ রোভার লঞ্চ করবে আগামী গ্রীষ্মে। আর মঙ্গলে পৌঁছাবে ২০২১-এর ফে্বরুয়ারিতে। তাতে এমন একটি যন্ত্র থাকবে যাতে অতীতে থাকা প্রাণের অস্তিত্বের প্রমাণ উঠে আসবে।


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি