মজুদদারের বিরুদ্ধে যাবজ্জীবন দণ্ডের বিধান আসছে: খাদ্যমন্ত্রী
প্রকাশিত : ২১:০৫, ২০ জুন ২০২৪
খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, কেউ যাতে অতিরিক্ত মজুদ করে সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে না পারে সেজন্য মজুদদারের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ শাস্তি যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের বিধান রেখে নতুন আইন হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ সাইলোর বিএমআরই (সংস্কার কাজ) শেষে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন তিনি।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার আরও বলেন, আশুগঞ্জ খাদ্য মন্ত্রণালয়ের একটি গুরুত্বপূর্ণ জায়গা। আশুগঞ্জের এই সাইলো নতুন করে গড়তে খরচ হতো ৭০০/৮০০ কোটি টাকা। তবে এটি শুধু আধুনিকায়নে খরচ হয়েছে ৪৫ কোটি টাকা। এতে ১০০ বছরেও এই সাইলোর কিছু হবেনা।
তিনি বলেন, সাইলোর মতো খাদ্য ভান্ডার ছিলো বলেই করোনা এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের মত বড় সমস্যা অতিক্রম করতে পেরেছি। বড় বড় সংস্থাগুলো বলেছিল দেশে দুর্ভিক্ষ হবে। আর সেই তালিকায় বাংলাদেশের নামও ছিল। কিন্তু আমরা জনগণকে বুঝতে দেই নাই। আমরা জানি, পেট ঠান্ডা থাকলে মাথা ঠান্ডা থাকবে। আর সেই পেট ঠান্ডা রাখার ব্যবস্থাটা করে রাখা হয়েছিল।
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, এক সময় বাংলাদেশে যখন ৭ কোটি মানুষ ছিল তখন অনেকেই বাঁসি ভাত খেয়ে জীবন পার করেছে। গন্ধযুক্ত আটার রুটি খেয়েছে। কিন্তু এখন ধনীরা রুটি খায়, আর গরীবেরা তিন বেলা ভাত খায়। ধনীরা রুটি খায় ডায়াবেটিসের ভয়ে, আর গরীবেরা ভাত খায় শক্তির জন্য। তবে দুঃখের বিষয় সেই চালের পুষ্টি রাখা হচ্ছেনা। চালকে পলিস করে করে পুষ্টি নষ্ট করে দেয়া হচ্ছে। সেখান থেকেও আমাদেরকে ফিরে আসতে হবে।
মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে এখন খাদ্যের কোনো কমতি নেই। তবে খাদ্যের পুষ্টির সমস্যা আছে। নিরাপদ খাদ্য পেতে সমস্যা হচ্ছে। তাই খাদ্যে যেনো কেউ ভেজাল না দেয় সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।
তিনি বলেন, কৃষক বাঁচলে দেশ বাঁচবে প্রধানমন্ত্রী সেদিকেই এগুচ্ছেন এবং সেই নির্দেশনা দিচ্ছেন। তাই আমাদের নিজ নিজ জায়গা থেকে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। তাহলে আমরা এই বাংলাদেশকে ২০৪১ সাল নয়, ২০৩১ সালের মধ্যেই সোনার বাংলা হিসেবে গড়ে তুলতে পারবো।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন স্থানীয় সংসদ সদস্য মোঃ মঈন উদ্দিন মঈন, খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ ইসমাইল হোসেন এনডিসি, খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোঃ শাখাওয়াত হোসেন, অতিরিক্ত মহা পরিচালক আবদুল্লাহ আল- মামুন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন, আশুগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ জিয়াউল করিম খান সাজু ও আশুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার শ্যামল চন্দ্র বসাক।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সাইলোর অধিক্ষক সিরাজুস সালেকিন।
উল্লেখ্য, প্রায় ৪৭ কোটি টাকা ব্যয়ে দেশের অন্যতম গম সংরক্ষণের জন্য ৫০ হাজার মেট্টিক টন ধারণ ক্ষমতার আশুগঞ্জ সাইলোর বিএমআরই (সংস্কার কাজ) করা হয়েছে।
এএইচ
আরও পড়ুন