ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ২৮ নভেম্বর ২০২৪

মহামারি সত্ত্বেও সচল দেশের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড (ভিডিও)

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১২:৫১, ৩ নভেম্বর ২০২০

বৈশ্বিক করোনা মহামারি সত্ত্বেও সচল দেশের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড। যার ইতিবাচক প্রভাব পড়েছে রাজস্ব আদায়ে। অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় রাজস্ব আদায় বেড়েছে। অর্থনীতিবিদ ও ব্যবসায়ীরা বলছেন, করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও রাজস্ব আদায়ে প্রবৃদ্ধির ধারা খুবই তাৎপর্যপূর্ণ।

করোনা মহামারিতে এখনও বিপর্যস্ত বিশ্ব অর্থনীতি। তবে ব্যবসা-বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড সচল হওয়ায় করোনার ধাক্কা দ্রুতই সামলে উঠছে বাংলাদেশ। রেমিট্যান্সে উচ্চ প্রবৃদ্ধি, গতিশীল বৈদেশিক বাণিজ্য, চলতি হিসাবেও বড় ধরনের উদ্বৃত্ত। এমন সব ইতিবাচক খবরের মাঝে সুসংবাদ দিচ্ছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড- এনবিআরও।

গত জুলাই-সেপ্টেম্বর তিন মাসে রাজস্ব আদায় হয়েছে ৪৯ হাজার ৯৯০ কোটি টাকা। আগের বছরের একই সময়ে রাজস্ব এসেছিল ৪৮ হাজার ১৭ কোটি টাকা। প্রবৃদ্ধি ৪ শতাংশের কিছু বেশি। 

ব্যবসায়ী নেতারা বলছেন, ব্যবসা-বাণিজ্যে গতিশীলতা ধরে রাখা সম্ভব হলে সরকারের রাজস্ব আয় আরও বাড়তে পারে। 

বিজিএমইএ পরিচালক আসিফ ইব্রাহিম বলেন, এটি পজেটিভ সাইন। যদিও প্যান্ডেমিকের মধ্যে আমরা ছিলাম। সেটা হয়তো রেভিনিউ কালেকশনকে এফেক্ট করে নাই। যখন আমরা কালেকশনকে আগে সেট করবো কিংবা কালেকশনের জন্য পেসেন্স নেবো। ওই কনসিডারেশনটাও যদি আগামী অর্থবছরে নেই তাহলে আমার মনে সবার জন্য ভাল হবে।

অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে আমদানি শুল্ক, ভ্যাট ও আয়কর তিন খাত থেকেই রাজস্ব আদায় বেড়েছে। এনবিআরের তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, এ সময়ে আমদানি শুল্ক থেকে আদায় হয়েছে ১৫ হাজার ৯৫৯ কোটি টাকা। আর ভ্যাট থেকে ১৮ হাজার ১১১ কোটি ও আয়কর থেকে এসেছে ১৫ হাজার ৯২০ কোটি টাকা।

অর্থনীতিবিদরা বলছেন, অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড গতিশীল হওয়াতেই রাজস্ব আদায় বাড়ছে। এ ধারা অব্যাহত রাখতে এনবিআরকে আরও তৎপর হতে হবে। 

পিআরআই নির্বাহী পরিচালক ড. আহসান এইচ মনসুর বলেন, রাজস্ব আহরণে আমরা দেখতে পাচ্ছি ৪ শতাংশের বেশি প্রবৃদ্ধি হয়েছে এ প্রান্তিকে। এতো দিন পর্যন্ত আমাদের রাজস্ব ঋণাত্মক ছিল বা আগের লেবেলের তুলনায় কম ছিল। সে কারণে এটাকে পজেটিভ হিসেবে চিহ্নিত করা যেতে পারে। রাজস্ব একটু গতিশীলতা পেয়ে পজেটিভে আছে কিন্তু যে রেটে আছে তাতে আমি মনে করি আগামী কোয়ার্টারে হয়তো ৬-৭ শতাংশ পেতে পারি। আমাদের যে লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৪০ শতাংশের বেশি তাহলে আমাদের শর্ট পরবে ৩০ শতাংশের মতো।

এদিকে, বাংলাদেশি পণ্যের প্রধান বাজার ইউরোপে ফের ভয়াবহ রূপ নিচ্ছে করোনা। এমন পরিস্থিতিতে দীর্ঘস্থায়ী ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে বৈদেশিক বাণিজ্য। যার প্রভাব রাজস্ব আদায়েও পড়তে পারে বলে শঙ্কা অর্থনীতিবিদ ও ব্যবসায়ীদের। 

ড. আহসান এইচ মনসুর বলেন, কোভিডের সেকেন্ড ধাক্কা বিশ্বে শুরু হয়ে গেছে এবং বাংলাদেশে এটার প্রভাব পড়বে।

এএইচ/এমবি


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি