মাগুরার শিশু ধর্ষণ মামলার বিচার ১৮০ দিনের মধ্যে শেষ করার নির্দেশ
প্রকাশিত : ১৪:৫৬, ৯ মার্চ ২০২৫

মাগুরায় আট বছরের শিশু ধর্ষণ মামলার বিচার বিরতি ছাড়া ১৮০ দিনের মধ্যে শেষ করার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালকে এই নির্দেশনা বাস্তবায়ন করতে বলা হয়েছে।
আজ রোববার বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর সমন্বয়ে গঠিত একটি হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
একইসঙ্গে শিশুটির ছবি পত্রিকা, অনলাইন পোর্টাল এবং সকল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে অপসারণেরও নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। বিটিআরসি কর্তপক্ষকে ২৪ ঘন্টার মধ্যে এই নির্দেশ বাস্তবায়ন করতে বলা হয়েছে।
পাশাপাশি ধর্ষণের শিকার শিশুটি ও তার ১৪ বছরের বোনকে দেখভালের জন্য সমাজ সেবা অফিসার নিয়োগ ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার নির্দেশ দিয়েছেন উচ্চ আদালত।
আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার হামিদুল মিসবাহ, ব্যারিস্টার মাহসিব হোসাইন, ব্যারিস্টার মিথুন রায় চৌধুরী। আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তানিম খান।
মাগুরায় ধর্ষণের শিকার শিশুটিকে নিয়ে পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন আদালতের নজরে আনেন ব্যারিস্টার মাহসিব হোসাইন। পরে আদালতের নির্দেশে ব্যারিস্টার হামিদুল মিসবাহ, ব্যারিস্টার মাহসিব হোসাইন এ বিষয়ে রিট করেন।
এদিকে মাগুরায় বোনের বাড়িতে বেড়াতে যাওয়া আট বছরের শিশুকে ধর্ষণের ঘটনায় মামলা করেছেন শিশুটির মা। মামলার এজাহারে তিনি অভিযোগ করেন, মেয়ের স্বামীর সহায়তায় তার বাবা (শ্বশুর) শিশুটিকে ধর্ষণ করেন। বিষয়টি মেয়ের শাশুড়ি ও ভাশুর জানতেন। তারা ঘটনা ধামাচাপা দিতে শিশুটিকে হত্যাচেষ্টা চালান।
শনিবার সকালে বড় বোন ও বাবাকে দিয়ে মাগুরা সদর থানায় এজাহার পাঠান শিশুটির মা। সেই অনুযায়ী বেলা তিনটার দিকে মামলা রেকর্ড হয়। মামলায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৯ (৪) এর ক/৩০ ধারায় ধর্ষণ ও ধর্ষণের মাধ্যমে আহত করার অভিযোগ করা হয়।
মামলায় শিশুটির বোনের স্বামী, শ্বশুর, শাশুড়ি ও ভাশুরকে আসামি করা হয়েছে। তারা আগে থেকেই পুলিশের হেফাজতে ছিলেন।
এএইচ
আরও পড়ুন