ঢাকা, সোমবার   ১০ মার্চ ২০২৫

Ekushey Television Ltd.

মাগুরায় শিশু ধর্ষণ: মধ্যরাতে আদালতে তোলা হলো ৪ আসামিকে, রিমান্ড মঞ্জুর

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১০:২৫, ১০ মার্চ ২০২৫ | আপডেট: ১০:২৭, ১০ মার্চ ২০২৫

Ekushey Television Ltd.

মাগুরায় বোনের বাড়িতে বেড়াতে যাওয়া আট বছরের শিশুকে ধর্ষণের ঘটনায় আসামিদের রবিবার (৯ মার্চ) দিনের বেলা আদালতে হাজির করতে পারেনি পুলিশ। পরিস্থিতি বিবেচনায় গভীর রাতে তাদের আদালতে তুলে রিমান্ড আবেদনের শুনানি করা হয়েছে।

শুনানিতে মূল অভিযুক্ত ভুক্তভোগীর বোনের শ্বশুরের সাত, স্বামী, শাশুড়ি ও ভাশুরের পাঁচ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়েছে। মাগুরার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আবদুল মতিন এ আদেশ দেন।

আদালত সূত্র ও পুলিশ জানিয়েছে, রবিবার সকাল থেকে প্রায় দিনভর মাগুরা শহরে শিশু ধর্ষণে জড়িত ব্যক্তিদের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে মৃত্যুদণ্ডের দাবিতে নানা কর্মসূচি পালিত হয়েছে। বেলা ১১টা থেকে আড়াইটা পর্যন্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের মূল ফটক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন আন্দোলনকারীরা। এরপর সেখান থেকে সরে গিয়ে বিকাল ৫টা পর্যন্ত ভায়না মোড় মহাসড়ক অবরোধ করেন তারা। সন্ধ্যার পর শহরে আবার মশাল মিছিল করেন আন্দোলনকারীরা। এমন পরিস্থিতিতে আসামিদের নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কা থাকায় তাদের আদালতে হাজির করতে পারেনি পুলিশ।

এ জন্য গতকাল রোববার (১০ মার্চ) দিবাগত রাত ১২টার পর শুরু হয় রিমান্ড শুনানি। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আসামিদের সাত দিন করে রিমান্ড আবেদন করেন। এ সময় আসামিদের পক্ষে কোনও আইনজীবী শুনানিতে অংশ নেননি। আদালতে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দিলে নিজেদের নির্দোষ দাবি করেন আসামিরা। রিমান্ড না দেওয়ারও দাবি করেন তারা।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তার পক্ষ থেকে জানানো হয়, ভুক্তভোগী শিশু অচেতন থাকায় জবানবন্দি নেওয়া যায়নি। ফলে আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদ করা জরুরি। উভয়পক্ষের যুক্তিতর্ক শেষে মামলার মূল অভিযুক্তকে সাত দিন এবং অন্য তিন আসামিকে পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন বিচারক।

মাগুরা শহরতলির বোনের বাড়ি বেড়াতে গিয়ে গত বৃহস্পতিবার দুপুরে শিশুটি ধর্ষণের শিকার হয় বলে পরিবারের অভিযোগ। শিশুটি বর্তমানে রাজধানীর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচে) চিকিৎসাধীন রয়েছে।

গত শনিবার (৮ মার্চ) শিশুটির মা বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মাগুরা সদর থানায় মামলা করেন। এতে শিশুটির বোনের স্বামী, শ্বশুর, শাশুড়ি ও ভাশুরকে আসামি করা হয়েছে। তারা আগে থেকেই পুলিশের হেফাজতে ছিলেন। ওই মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে বোনের স্বামী, শাশুড়ি ও ভাশুরকে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়।

এসএস//


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি