মাড়ির ব্যথা? দূর করুন ঘরোয়া উপায়ে
প্রকাশিত : ১১:৫৪, ১০ ডিসেম্বর ২০২২
মাড়ির ব্যথা যে কী কষ্টকর তা ভূক্তভোগীরাই একমাত্র জানেন। একেবারেই সহ্য করা যায় না এই ব্যথা। খাওয়া, কথা বলায় খুবই সমস্যা হয়। অনেকেই নিজে থেকে পেইন কিলার খেয়ে ব্যথা সারানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু, চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া কখনই কোনও ওষুধ খাওয়া ঠিক নয়। এতে হিতে বিপরীত হতে পারে।
মাড়ির ব্যথা কমাতে আপনি ঘরোয়া টোটকার সাহায্য নিতে পারেন। এই টোটকা সেই প্রাচীন কাল থেকে চলে আসছে এবং তা কাজ করে ম্যাজিকের মতো!
চলুন জেনে আসা যাক...
> মুখের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে উষ্ণ লবণ পানিতে মুখ ধোওয়ার রীতি যুগ যুগ ধরে চলে আসছে। আধুনিক গবেষণা অনুসারে, এটি দ্রুত মুখের ক্ষত নিরাময় করতে পারে। এক গ্লাস গরম পানিতে এক চা চামচ লবণ দিন। যতক্ষণনা পর্যন্ত লবণ গলছে ততক্ষণ চামচ দিয়ে নাড়তে থাকুন। এবার মুখে কিছুটা লবণ পানি নিয়ে কিছুক্ষণ মুখের মধ্যে নাড়াচাড়া করুন। তারপর ফেলে দিন। ব্যথা ও ফোলাভাব না সারা পর্যন্ত প্রতিদিন দু'বার করে এটি করুন।
> ঠাণ্ডা সেঁক দিলে মাড়ির ব্যথা কমতে পারে। যে কোনও ব্যথা নিরাময়ের জন্য কোল্ড কম্প্রেসের ব্যবহার প্রাচীনকাল থেকেই চলে আসছে। মুখের অস্ত্রোপচারের পরে দাঁতের ডাক্তাররাও ঠাণ্ডা সেঁক দিতে পরামর্শ দেন। কয়েক টুকরো বরফ পরিষ্কার কাপড়ে মুড়িয়ে ব্যথার উপর কিছুক্ষণ ধরে রাখুন। দিনে দু-তিনবার এটি করুন যতক্ষণ না ব্যথা কমে।
> হলুদ এবং লবঙ্গ মাড়ির ব্যথা উপশমের জন্য ব্যবহার করতে পারেন। হলুদে অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি এবং অ্যান্টি-মাইক্রোবিয়াল গুণ রয়েছে, যা দাঁত ও মাড়ি ভালো রাখতে পারে। লবঙ্গে অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল গুণ রয়েছে, যা মাড়ির রোগ সারাতে দারুণ কার্যকর। গুঁড়া হলুদ বা গুঁড়া লবঙ্গ কয়েক ফোঁটা গরম পানির সঙ্গে মিশিয়ে নিন। আপনার মাড়িতে এই পেস্টটি লাগিয়ে ৫ মিনিট রেখে দিন। এর পর হালকা গরম পানিতে মুখ ধুয়ে ফেলুন।
> গ্রিন টি মাড়ি ভালো রাখতে কার্যকর। এতে প্রদাহ বিরোধী এবং অ্যান্টি-মাইক্রোবিয়াল বৈশিষ্ট্য রয়েছে। মাড়ির ব্যথা দ্রুত উপশমের জন্য টি ব্যাগ ব্যবহার করতে পারেন। কিছুক্ষণ গরম পানিতে টি ব্যাগ ভিজিয়ে রাখুন। এবার ব্যবহৃত টি ব্যাগটি পানি থেকে তুলে একটি পরিষ্কার পাত্রে হালকা ঠাণ্ডা হতে দিন। এটি সরাসরি আপনার আক্রান্ত মাড়িতে লাগিয়ে রাখুন ৫ মিনিট। এই প্রক্রিয়াটি দিনে দু'বার করতে পারেন।
মাড়ির ব্যথা প্রতিরোধের উপায়
মাড়ির ব্যথা ও ফোলা কমাতে এই টিপসগুলি অবশ্যই মেনে চলুন...
> দিনে দু'বার আপনার দাঁত ব্রাশ করুন।
> নরম ব্রাশ ব্যবহার করুন।
> কিছু খাওয়া বা পান করার পরে ভালোভাবে মুখ ধুয়ে ফেলুন।
> তামাক চিবানো এবং ধূমপান এড়িয়ে চলুন।
> দৈনন্দিন ডায়েটে দইয়ের মতো প্রোবায়োটিক এবং প্রদাহ-বিরোধী বৈশিষ্ট্যযুক্ত খাবার, যেমন - আদা এবং হলুদ অবশ্যই রাখুন।
সূত্র: বোল্ডস্কাই
এমএম/