ঢাকা, শনিবার   ২৩ নভেম্বর ২০২৪

মাতারবাড়িসহ ছয় প্রকল্পে ১.৫৯ বিলিয়ন ডলার দিচ্ছে জাপান

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৭:৫৫, ২ জুলাই ২০১৭ | আপডেট: ২২:২৫, ২ জুলাই ২০১৭

স্থগিত মাতারবাড়ি বিদ্যুৎকেন্দ্রসহ ছয় অবকাঠামো প্রকল্পে বাংলাদেশকে প্রায় তের হাজার কোটি টাকা টাকা ঋণ দিচ্ছে জাপান।

গত ২৯ জুন বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে জাপানের ১৭৮ দশমিক ২২৩ বিলিয়ন ইয়েন ঋণের (১ দশমিক ৫৯ বিলিয়ন ডলার) এই চুক্তি স্বাক্ষরিত হয় বলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে জাপানের আন্তর্জাতিক সহযোগিতা সংস্থা- জাইকা।  

স্বল্প সুদের এই ঋণ পরিশোধে বাংলাদেশ সময় পাবে ৩০ বছর।  রেয়াতকাল ধরা হয়েছে ১০ বছর; অর্থাৎ চুক্তির প্রথম দশ বছর পর থেকে ঋণের কিস্তি পরিশোধ শুরু হবে।

জাইকার সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, “সস্তা শ্রম ও প্রচুর জনশক্তির কারণে বিদেশি বিভিন্ন কোম্পানির মত জাপানি প্রতিষ্ঠানগুলোও বাংলাদেশের প্রতি আকৃষ্ট হচ্ছে। সেই সঙ্গে বড় বাজার বাংলাদেশকে আগামী দিনের একটি সম্ভবনাময় শিল্প কেন্দ্র ও বিনিয়োগ গন্তব্যে পরিণত করেছে।” 

ছয় প্রকল্প

১। ঢাকার শাহজালাল বিমানবন্দর সম্প্রসারণ প্রকল্প (১): ছয় কোটি ৮৩ লাখ ডলার।

২। কাঁচপুর, মেঘনা, গোমতী দ্বিতীয় সেতু নির্মাণ ও বর্তমান সেতু সংস্কার প্রকল্প (২): চার কোটি ৬৯ লাখ ডলার।

৩।  ঢাকা মাস র‌্যাপিড ট্রানজিট প্রকল্প (লাইন ওয়ান):  চার কোটি ৯৮ মিলিয়ন ডলার

৪।  মহেশখালীর মাতারবাড়িতে আল্ট্রা সুপার ক্রিটিক্যাল কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্প (৩): ৯ কোটি ৫৪ লাখ ডলার।

৫। ঢাকায় ভূগর্ভস্থ বিদ্যুৎ উপকেন্দ্র নির্মাণ: ১ কোটি ৮২ লাখ ডলার।

৬। ছোট আকারে পানিসম্পদ উন্নয়ন প্রকল্প: ১০ কোটি ৫৫ লাখ ডলার।

গতবছর জুন মাসে জাইকা মাতারবাড়ি বিদ্যুৎ প্রকল্পের একটি ফেইজে ৩৩ কোটি ৬৬ লাখ ডলার দেওয়ার চুক্তি করলেও ১ জুলাই গুলশানে জঙ্গি হামলার পর দরপত্র প্রক্রিয়া স্থগিত করা হয়।

জাইকার এবারের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, মাতারবাড়ি প্রকল্পের প্রাথমিক ক্রয়ের জন্য চলতি জুলাই মাসেই টেন্ডার প্রক্রিয়া শুরু শুরু হবে।

মাতারবাড়ি কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের জন্য ২০১৪ সালে ৩৬ হাজার কোটি টাকার একটি প্রকল্প অনুমোদন করে সরকার। সে সময় সরকারের তরফ থেকে জানানো হয়, এই প্রকল্পে ২৯ হাজার কোটি টাকা দেবে জাইকা।

১২০০ মেগাওয়াট ক্ষমতার এই আল্ট্রাসুপার ক্রিটিক্যাল কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের কাজ ২০২৩ সালের অক্টোবরে শেষ হবে আশা করছে সরকার।

ডব্লিউএন


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি