ঢাকা, রবিবার   ২৪ নভেম্বর ২০২৪

মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্রে নানা অনিয়ম (ভিডিও)

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১২:০৮, ২৩ নভেম্বর ২০২০

অনুমোদন থাকা মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্রগুলোতে নানা অনিয়ম-অসঙ্গতি থাকলেও চোখ এড়িয়ে যাচ্ছে মাদক দ্রব্য নিরাময় অধিদপ্তরের। তাদের পরিদর্শন রিপোর্ট বলছে, সব কিছুই চলছে ঠিকঠাক। আর তাই তো শর্ত পূরণ না করেই কাজ চালিয়ে যাচ্ছে নিরাময় কেন্দ্রগুলো। যদিও বিষয়টি খতিয়ে দেখার কথা জানান মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক। আর মানসিক হাসপাতাল পরিদর্শনে জনবল সংকটের কথা বলছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

রাজধানীর মোহাম্মদপুরের হুমায়ুন রোডে ‘ঠিকানা সাইক্রিয়াটিক অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডিকশন ক্লিনিক ও নবাব সিরাজউদ্দৌলা মানসিক ও মাদকাসক্ত হাসপাতালটি স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের অনুমোদন নিয়েই চলছে। বসিলার জীবনের আলো ও দ্বীনের আলোরও আছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের লাইসেন্স। 

একুশের ক্যামেরায় ধরা পড়ে শয্যার তুলনায় অতিরিক্ত রোগী ভর্তির চিত্র। সার্বক্ষণিক চিকিৎসক ও নার্স না থাকাসহ আছে আরও অনেক অসঙ্গতি। অথচ মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের পরিদর্শন কর্মকর্তাদের চেখে এর কিছুই পড়েনি। পরিদর্শন রিপোর্টে এসবের কিছুই উল্লেখ নেই।

জীবনের আলো মাদকশক্তি চিকিৎসা ও সহায়তা কেন্দ্রের পরিচালক মো. রেজা আনছারি বলেন, প্রতিমাসেই আমাদের কাগজপত্র জমা দিতে হয়। এবছর নভেম্বরের ১২ তারিখ কর্মকর্তারা পরিদর্শন করে গেছেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক জানান, পরিদর্শন কর্মকর্তাদের গাফিলতি থাকলে ব্যবস্থা নেয়া হবে। 

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোহাম্মদ আহসানুল জব্বার বলেন, বেড থাকার কথা ছিল, ডাক্তার থাকার কথা ছিল, ওয়ার্ডবয় ও সাইক্লোজিস্ট থাকার কথা ছিল। এগুলো যদি না থাকে তাহলে তারা অন্যায় করেছে এবং আমাদের যিনি তদন্তে গিয়েছেন তারও অন্যায় হয়েছে। এ ব্যাপারে আমি ব্যবস্থা নিবো।

এদিকে অনুমোদিত বেসরকারি মানসিক হাসপাতালেও নেই নজরদারি। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বলছে, কাজটি করার মতো জনবল নেই।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (হাসপাতাল ও ক্লিনিক) ডা. মো. ফরিদ হোসেন মিঞা বলেন, প্রত্যেকটা ক্লিনিক পরিদর্শন করতে হলে আমাদের অনেক জনবলের প্রয়োজন। কিন্তু সেই হিসেবে জনবল খুবই কম। আমাদের এখানে মাত্র দু’জন মেডিক্যাল অফিসার, দু’জন উপপরিচালক, একজন সহকারী পরিচালক আর আমি হলাম ডাইরেক্টর। এই হলো আমার সুভারভাইস করার কর্মকর্তার সংখ্যা। 
 
যেসব বেসরকারি মানসিক হাসপাতাল সুযোগের অপব্যবহার করছে তাদের বিরুদ্ধে শক্ত অবস্থানের কথা জানালো স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

এএইচ/এসএ/
 


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি