মাদক আসক্ত পথশিশুরা
প্রকাশিত : ১১:০২, ৫ এপ্রিল ২০১৬ | আপডেট: ১১:০২, ৫ এপ্রিল ২০১৬
গাঁজা, হেরোইন, সিগারেটসহ সহজলভ্য মাদক ড্যান্ডিতে আসক্ত হয়ে পড়েছে পথশিশুরা। অনেকে আবার জড়িয়ে পড়ছে মাদক ব্যবসার সঙ্গে। ট্রেন-বাস-লঞ্চ টার্মিনালসহ ফুটপাত-অলিগলিতে প্রকাশ্যেই নিচ্ছে মাদক। পুনর্বাসনে তেমন উদ্যোগ না থাকায়, নানা রোগও ছড়াচ্ছে এরা।
সবাই বাড়ি ফেরে, ফেরে না শুধু এসব পথশিশু। কমলাপুর রেল স্টেশনে দিনে ভিক্ষা বা চুরি ছিনতাইয়ের মত অপরাধ তাদের রুটিন কাজ। আর রাতে প্লাটফর্মই তাদের আশ্রয়।
অনাদর, অবহেলা, বঞ্চনা ছাড়া এদের জীবনে প্রাপ্তি বলে তেমন কিছুই থাকে না। এই পথের সম্ভাবনাময় ফুলগুলো ক্ষুধার তাড়নায় ধীরে ধীরে হারিয়ে ফেলে মানবিকবোধ। প্রায় সবাই জড়িয়ে পড়ে মাদক সেবন ও মাদক ব্যবসায়। এখান থেকেই আসে থাকা-খাওয়ার যোগান।
রাজধানীজুড়েই পথশিশুদের এমন চিত্র। সদরঘাটে দেখা মেলে ড্যান্ডি মাদকে আসক্ত পারভিনকে। ৪ বছর বয়সেই যৌন নির্যাতনের শিকার হয় মেয়েটি। সেই থেকে সঙ্গী হলো দুঃখ আর হতাশা; পেশা হলো ভিক্ষাবৃত্তি।
বাংলাদেশ শিশু অধিকার ফোরাম জানিয়েছে, পথশিশুদের ৮৫ ভাগই বিভিন্নভাবে মাদক সেবন করে। কেবল রাজধানীতেই রয়েছে কমপক্ষে ২২৯টি স্পট যেখানে মাদক সেবন করে ৯-১৮ বছর বয়সী শিশুরা। আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র বলছে, এদের বড় অংশ এইডসে আক্রান্ত।
খাবার জোগাতে এরা ফুল বিক্রি করে, ময়লা কুড়ায়, ইট ভাঙে, রিকশা চালায়, ভিক্ষা করে। এসব পথশিশুকে দিয়ে নেতারা মিছিলের দৈর্ঘ্য বাড়ান, হরতালে পিকেটিংসহ জ্বালাও-পোড়াও আন্দোলনে এগিয়ে দেন। গডফাদারেরা চুরি, ছিনতাই, মাদক পাচারসহ বিভিন্ন অপরাধে ব্যবহার করেন। কিন্তু, এসব পথের ফুলকলিকে পুনর্বাসন, কর্মসংস্থান কিংবা সঠিক কাউন্সিলিং করে আর দশটা স্বাভাবিক জীবনের ফেরাতে ক’জন এগিয়ে এসেছেন, তা কি আঙুলের হিসেবেই থাকবে এই সময়েও?
আরও পড়ুন