ঢাকা, সোমবার   ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪

মানবাধিকার কমিশনকে সহায়তায় শক্তিশালী গণমাধ্যম জরুরি

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৪:৪৬, ২৪ জানুয়ারি ২০২৩ | আপডেট: ১৫:১৪, ২৪ জানুয়ারি ২০২৩

মানবাধিকার কমিশন একটি স্বাধীন সংস্থা হিসেবে মানবাধিকার রক্ষায় স্বোচ্চার থাকে এবং ওয়াচ ডগ হিসেবে কাজ করে বলে জানিয়েছেন মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান কামাল উদ্দিন আহমেদ। 

মঙ্গলবার (২৪ জানুয়ারি) প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও ঢাকায় জাতীয় মানবাধিকার কমিশন আয়োজিত মানবাধিকার সুরক্ষায় গণমানুষের প্রত্যাশা : গণমাধ্যম ও জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সমন্বিত প্রয়াস' শীর্ষক এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।

এ সময় গণমানুষের প্রত্যাশা ঠিক কতটা পূরণ হয়েছে, তার মূল্যায়ন জরুরি বলেও জানান তিনি। বলেন, "শক্তিশালী গণমাধ্যম থাকতে হবে, মানবাধিকার কমিশন কে সহায়তা করার জন্য।"

এ সময় মানবাধিকার কমিশন ও গণমাধ্যমকে এক সাথে কাজ করার আহ্বানও জানান তিনি। বলেন, "শুধু অলঙ্কারিক কমিশন হিসেবে থাকতে চায় না মানবাধিকার কমিশন। " 

এ সময় মানবাধিকার কমিশনের সার্বক্ষণিক সদস্য আরমান আশিক বলেন, "বর্তমান কমিশন গণমানুষের সমস্যা ও অভিযোগ নিয়ে মানবাধিকার সুরক্ষায় কাজ করে যাচ্ছে। কমিশন গণমাধ্যমের তথ্য থেকেও অভিযোগ আমলে নেয়। "

সেমিনারে একুশে টেলিভিশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "মানবাধিকার কমিশনের কাজটা কী, এটা কমিশনকে ওয়াকিবহাল হতে হবে। আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে বা পরে ধর্মীয় সংখ্যালঘুর মাঝে যে আতংকের পরিস্থিতি বিরাজ করে, সেটা দূর করায় সক্রিয় ভূমিকা পালন করতে হবে। নিরাপত্তা, সংঘাত যাতে না হয়, সেগুলো তুলে আনবার প্রয়োজন আছে। বেঁচে থাকার সম্মানজনক অধিকার রক্ষায় ঝাঁপিয়ে পড়ার কোনো বিকল্প নেই। তথ্য সন্ত্রাস থামাতে হবে। রক্ষক যাতে ভক্ষক হয়ে না ওঠে, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।" 

দৈনিক প্রথম আলোর জোষ্ঠ্য সাংবাদিক সোহরাব হোসেন বলেন, "আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে হয়রানি বিষয়ে মানবাধিকার কমিশন কতটা স্বোচ্চার? বৈষম্যমুক্ত সমাজ প্রতিষ্ঠার অঙ্গীকার কতটা পালন করতে পারছে? মানবাধিকার কমিশন আরো সক্রিয় হোক।" 

ইউএনবি'র সম্পাদক ফরিদ হোসেন বলেন, "কমিশন তৎপর থাকলে, অন্য কোনো দেশ র‌্যাবের উপর নিষেধাজ্ঞা দিতে পারত না। কাগুজে বাঘ আমরা দেখতে চাই না। বৈষম্য ঘোচাতে হবে। সমালোচনা শোনার মত সৎ সাহস থাকতে হবে।"

যার যত বেশি ক্ষমতা তার মানবাধিকার লংঘনের প্রবণতা বেশি উল্লেখ করে জ ই মামুন বলেন, "কমিশন অন্তত ভয় পাবে না, এটাই প্রত্যাশা করে দেশবাসী। প্রকৃত দৃষ্টান্ত স্থাপন করে, কাগুজে বাঘের তকমা থেকে বের হয়ে আসতে হবে। অন্য কমিশনের মতো গতানুগতিক কমিশন কেউ প্রত্যাশা করে না।" 

জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন বলেন, "সারা পৃথিবীতে মানবাধিকার লংঘনের ঘটনা অব্যাহত ভাবে ঘটে যাচ্ছে। কমিশন কে প্রকৃতপক্ষে মানুষের জন্যই কাজ করতে হবে।"

অর্থনীতিবিদ ও কলামিস্ট কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ বলেন, "নিজের স্বার্থে ক্ষমতাবানরা অন্যের মানবাধিকার লংঘন করে। সবাইকে পেছনে ফেলে এগিয়ে যেতে চায়, বলে এই দৌড় বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি।" 

এসবি/ 


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি