ঢাকা, শনিবার   ২৩ নভেম্বর ২০২৪

মানুষ সচেতন না হলে সাইবার অপপ্রচার প্রতিরোধ সম্ভব নয়

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৯:৫০, ২১ জুলাই ২০২০

রাষ্ট্র, সরকার, প্রশাসন, রাজনৈতিক দল, সাংস্কৃতিক কর্মকান্ড ও ধর্ম নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অপপ্রচার চলছে হরহামেশাই। মামলা ও সাধারণ ডায়েরি দায়ের হলেও অপপ্রচারকারীদের বেশিরভাগই ধরা-ছোঁয়ার বাইরে থেকে যাচ্ছে।

মানুষ সচেতন না হলে সাইবার প্লাটফর্মে অপপ্রচার প্রতিরোধ সম্ভব নয় বলে মনে করছে পুলিশ। সাইবার ক্রাইম নিয়ে আদিত্য মামুনের তিন পর্বের ধারাবাহিকের আজ থাকছে শেষ পর্ব। 

সরকার ও রাষ্ট্র প্রধান, পুলিশ-প্রশাসন, মন্ত্রী-এমপিদের নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অপপ্রচার চালাচ্ছেন মুক্তাদির রশিদ আদর। নওগাঁর মহাদেবপুর থানায় পুলিশই তার বিরুদ্ধে সাধারণ ডায়েরি করেছে। 

রাষ্ট্রদ্রোহ মামলার অনুমতি চেয়ে আবেদনও করা হয়েছে। মুক্তাদিরকে ধরতে অভিযান চালালেও তাকে ধরা যায়নি। তারপরও তার অপপ্রচার রোধ করা যায়নি। এখন ভিন্ন নামে অপকর্মটি করে বেড়াচ্ছে মুক্তাদির রশিদ আদর।

এই অপরাধীর মতো আরও অনেকেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তৎপর। করোনা মহামারিতে তাদের তৎপরতা থেমে নেই বরং বেড়েছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নারীকে নিয়েই সবচে বেশি অপপ্রচার। উদ্দেশ্য সামাজিকভাবে হেয় করা।

মিথ্যা ও ভুল তথ্য ছড়িয়ে দেশকে অস্থিতিশীল করার অপচেষ্টাও থেমে নেই। কুসংস্কারের পক্ষে অবস্থান নিয়ে বিজ্ঞানের বিরুদ্ধেও চলছে অপপ্রচার। পুলিশ বলছে, অভিযোগ পেলেই ব্যবস্থা নেয়া হয়। 

সিআইডির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সাইবার পুলিশ) কামরুল আহসান জানান, যারা নিজের আইডি থেকে এবং ফেক আইডি থেকে গুজব ছড়াচেছ তাদেরকে সনাক্ত করে আটক করা হচ্ছে।

নিয়ন্ত্রণহীনভাবে অপপ্রচার চললেও পুলিশের দাবি তৎপর আছে তারা। 

পুলিশ সদর দফতরের এআইজি সোহেল রানা জানান  সমাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের অনেক কিছুই তাৎক্ষনিক ভাবে তাদের নজরে আসে না। তিনি আরও জানান সাধারণ মানুষ সচেতন না হলে গুজব রটনাকারীদের নির্মূল করা সহজ হবে না 

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারে সর্তকতার পাশাপাশি অপরাধীদের ব্যপারে সজাগ থাকারও পরামর্শ তাদের।

নিউজটি ভিডিওতে দেখুন-

 

এসইউএ/এসি

 


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি