মামলাকে ‘হাস্যকর’ বললেন শাকিব খান
প্রকাশিত : ২০:১৬, ৪ নভেম্বর ২০১৭ | আপডেট: ১০:২৯, ৭ নভেম্বর ২০১৭

একজন চিত্রনায়ক হিসেবে তিনি শুধু সিনেমার সংলাপ বলেছেন। তাতে কার ফোন নাম্বার ছিল সেটার জন্য দায়ভার প্রযোজক, পরিচালক আর স্ক্রিপ্ট রাইটারের উপর বর্তায় বলে জানালেন চিত্রনায়ক শাকিব খান।
‘রাজনীতি’ চলচ্চিত্রে মোবাইল নাম্বার ব্যবহার করার অভিযোগে চিত্রনায়ক শাকিব খানের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন হবিগঞ্জের বানিয়াচংয়ের অটোরিকশাচালক এজাজুল মিয়া। প্রতারণার অভিযোগে দায়ের করা এ মামলায় ৫০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ চাওয়া হয়েছে। গত ২৯ অক্টোবর এজাজুল মিয়ার করা এই মামলায় ‘রাজনীতি’ সিনেমার পরিচালক বুলবুল বিশ্বাস, প্রযোজক আশফাক আহমেদকেও অভিযুক্ত করা হয়। এ মামলাকে শাকিব খান ‘হাস্যকর’ বলে মন্তব্য করেছেন।
তিনি বলেন, ‘একজন শিল্পী হিসেবে আমি শুধু আমার সংলাপ বলেছি। সেটা কার মোবাইল ফোনের নাম্বার, সেটা সঠিক কি না, এটা আমার দেখার বিষয় নয়। আর তা আমার এখতিয়ারের মধ্যেও পড়ে না। এটা আসলে ছবির প্রযোজক, পরিচালক আর স্ক্রিপ্ট রাইটারের ব্যাপার। এটা তাঁদের উপর বর্তায়। আমার জায়গায় যদি অন্য কোনো হিরোর মুখ দিয়ে সংলাপটা যেত, তার তো কিছু করার ছিল না।’
আজ শনিবার দুপুরে রাজধানীর কাকরাইলের হোটেল রাজমনি ঈশা খাঁয় আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে কথাগুলো বলেন তিনি।
শাকিব খান বলেন, ‘‘খবরটি শুনে আমি খুব হেসেছি। আমি তো তখন ‘চালবাজ’ ছবির শুটিংয়ে কলকাতা ছিলাম। বিস্তারিত কিছু জানতাম না। দেশে এসে সব শুনলাম। এখনো আমি লিখিত কোনো অভিযোগ পাইনি। এটা আদৌ কোনো মামলার গ্রাউন্ডে পড়ে কি না, তা-ও আমার জানা নেই।’’
মামলায় এজাজুল মিয়া অভিযোগ করেন, ‘রাজনীতি’ সিনেমার একটি অংশে (সিনেমার ২৬ মিনিট ১২ সেকেন্ডর সময়) সংলাপ দিতে গিয়ে নায়িকা অপু বিশ্বাস বলেন, ‘এভাবে বারবার আর কোনো দিন চলে যেতে দেব না আমার স্বপ্নের রাজকুমার।’ জবাবে নায়ক শাকিব খান বলেন, ‘আমিও তোমাকে আর ছেড়ে যাব না আমার রাজকুমারী।’ অপু বিশ্বাস আবার বলেন, ‘‘আমার ফেসবুক আইডি যে ‘রাজকুমারী’ তুমি তা জানলে কী করে?’’ জবাবে শাকিব খান বলেন, ‘যেভাবে তুমি জানো, আমার মোবাইল নম্বর...।’ সিনেমায় ব্যবহৃত ফোন নম্বরের সঙ্গে কাকতালীয়ভাবে মিলে যায় হবিগঞ্জের বানিয়াচং উপজেলার যাত্রাপাশা গ্রামের এজাজুল মিয়ার ব্যক্তিগত মোবাইল নম্বর। গত ৭ জুলাই থেকে ২৫ জুলাই এজাজুলের ফোনে ৪৩২ বার কল আসে। ফোন করে তারা সবাই শাকিব খানকে খুঁজেছেন। শাকিব খান ভেবে খুলনা থেকে এক গৃহকর্মী এজাজুলের বানিয়াচং-এর বাড়িতেও চলে আসেন বলে এজাহারে বলা হয়।
দিন-রাত অনবরত মেয়েদের ফোন আসায় এক সন্তানের জনক এজাজুলের স্ত্রী চটে আছেন বলে মামলায় বলা হয়। এজাজুল বলছেন, এখন সংসার টিকিয়ে রাখতে হিমশিম খাচ্ছেন তিনি।
এদিকে হবিগঞ্জের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম শম্পা জাহান মামলাটি গ্রহণ করে ডিবি পুলিশকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দেওয়ার নির্দেশ দেন। এ মামলার পরবর্তী তারিখ নির্ধারণ করা হয় আগামী ১৮ ডিসেম্বর।
মামলার খবরটি দেশীয় গণমাধ্যমের বাইরে বিবিসিসহ একাধিক আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমেও উঠে এসেছে।
ডব্লিউএন