মালয়েশিয়ায় প্রবাসীর মৃত্যু, লাশ আনার আকুতি পরিবারের
প্রকাশিত : ০৯:৫৩, ২০ জুন ২০২৩
কলারোয়ার প্রবাসী সিরাজুল ইসলাম (২৪) মালয়েশিয়ায় কনস্ট্রাকশনের কাজের সময় বিল্ডিং থেকে পড়ে মারা যান। কিন্তু তার মরদেহ দেশে আনতে নানা জটিলতা দেখা দিয়েছে। নিহতের পরিবারের আকুতি যে কোনো উপায়ে তার মরদেহ দেশে আনা হউক।
কলারোয়ার সোনাবাড়ীয়া ইউনিয়নের মাদরা গ্রামের রফিকুল ইসলামের ছেলে মালয়েশিয়া প্রবাসী সিরাজুল ইসলাম (২৪) গত ১২ জুন বাংলাদেশ সময় বেলা ১২টার দিকে কনস্ট্রাকশনের কাজের সময় ৩ তলা বিল্ডিং থেকে পড়ে মারাত্মকভাবে মাথায় আঘাতপ্রাপ্ত হোন। এরপর রাত ১১টার দিকে স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
নিহতের মেঝো ভাই মালয়েশিয়া প্রবাসী মফিজুল ইসলাম বলেন, “আমার ছোট ভাইকে হাসপাতালে ভর্তি করানোর পর জরুরি চিকিৎসা সহায়তা পাইনি। ভাইয়ের বৈধ্য কাগজপত্র না থাকায় তার কোম্পানী কোনোরকম সহায়তার হাত বাড়ায়নি। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ভাইয়ের করোনা পজেটিভ রিপোর্ট দিয়েছে। আমাদের ধারণা, কোম্পানীটি যোগসাজশ করে এমন রিপোর্ট বের করেছে। যাতে লাশ দেশে নিয়ে যেতে না পারি, কোম্পানীও যাতে কোনো ধরণের ঝামেলায় না জড়ায়।
নিহতের মামা মনিরুল ইসলাম বলেন, “লাশ দেশের আনার জন্য আমরা মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশ হাইকমিশনে যোগাযোগ করেছি। কিন্তু এখনও ফলপ্রসূ কোনো আশ্বাস পাইনি। নিহত সিরাজুল যে কোম্পানীতে কর্মরত ছিল সেখান থেকে আমরা কোনো সহযোগিতা পাচ্ছি না।”
এদিকে ছেলের শোকে বাবা-মায়ের কান্নার আহাজারি যেন থামছেই না। ছেলের লাশ দেশে আনতে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক
কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় সহযোগিতার আকুতি জানিয়েছেন নিহত সিরাজুলের বাবা-মা।
এ বিষয়ে সোনাবাড়ীয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বেনজির হোসেন হেলাল বলেন, “বিষয়টি আমি অবগত আছি। বিষয়টিতে সরকারের সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।”
এএইচ
আরও পড়ুন