মাহে রমজানে ডায়াবেটিক রোগীদের ৭ করণীয়
প্রকাশিত : ২২:৪৯, ৭ মে ২০১৮ | আপডেট: ১৪:১৩, ১৭ মে ২০১৮
বর্তমানে ডায়াবেটিস একটি বহুল পরিচিত নাম হয়ে উঠেছে। আর ক্রমান্বয়ে দেশে ডায়াবেটিসের রোগীর সংখ্যা ক্রমেই বেড়ে যাচ্ছে। তবে একটু সচেতনতায় পারে ডায়াবেটিস রোগীদের জীবনকে সহজ করে তুলতে।
১. ডায়াবেটিসে আক্রান্ত ব্যক্তিরাও অন্য দশজনের মতো রোজা রাখতে পারেন।
২. ডায়াবেটিক রোগীদের অন্য সময়ের মতো রমজানেও নিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন করা উচিত।
৩. ডায়াবেটিক রোগীরা ডায়াবেটিক খাদ্য তালিকা অনুসরণ করে রমজানেও খাবার গ্রহণ করবেন।
৪. যাদের ওষুধ ছাড়াই খাদ্য নিয়ন্ত্রণ ও ব্যায়ামের সাহায্যে সুগার নিয়ন্ত্রণে থাকে তাদের রমজানে খুব একটা অসুবিধা হয় না। তবে যারা ইনসুলিন বা ওষুধ নিয়ে সুগার নিয়ন্ত্রনে রাখেন তাদের ক্ষেত্রে ইফতার ও সেহরির সময় নির্দেশনা অনুযায়ী ইনসুলিনের ডোজ ঠিক করতে হবে।
৫. ইনসুলিন বা ওষুধ নিয়ে যারা সুগার নিয়ন্ত্রনে রাখেন তাদের সর্বদা ‘হাইপোগ্লাইসিমা’ সর্ম্পকে সচেতন থাকতে হবে। ‘হাইপোগ্লাইসিমা’ এমন একটি অবস্থা যেখানে রক্তের সুগার কমে রোগী হঠাৎ ঘেমে যাওয়া, কাঁপুনি লাগা, বুক ধড়ফর করা, অতিরিক্ত ক্ষুধা লাগা, অশান্তি, অস্থিরতা, ঘুম ঘুম ভাব, কথা বলতে কষ্ট হওয়া, মনযোগের অভাব, সমন্বয়হীনতা, বমি বমি ভাব, ক্লান্তি লাগা, মাথাব্যথা ইত্যাদি সমস্যা হতে পারে। এক্ষেত্রে রোগীকে দ্রুত এক গ্লাস গ্লকোজ বা চিনির শরবত খেতে দিতে হবে যেন দ্রুত রক্তের সুগার স্বাভাবিক মাত্রায় চলে আসে। এ জন্য প্রতিটি ডায়াবেটিক রোগী যারা ওষুধ বা ইনসুলিন নেন তাদের পকেটে সবসময় অল্প পরিমান গ্লুকোজ বা চিনি থাকা উচিত।
৬. সেহরিতে গমের লাল আটার রুটি, সবজি থাকতে পারে। রুটির বদলে অল্প পরিমাণ ভাত খেতে পারেন। মিষ্টি বা চিনির তৈরি খাবার খাবেন না।
৭. খেজুর ও পানি খেয়েই নামাজ পড়ে রাতের খাবার খেয়ে নিন। ইফতারিতে তৈলাক্ত, ভাজা-পোড়া খাবার বা জিলাপি, মিষ্টান্ন না খাওয়া উচিত। রুটি বা ভাতের সঙ্গে সবজি, ডাল, মাছ বা মুরগীর মাংস খাওয়া যেতে পারে।
একমাস সিয়াম সাধনার পর আসে ঈদ। ঈদের আনন্দ সমস্ত দুঃখ কষ্ট ব্যথা বেদনা দূর করে দেয়। ছোট-বড়, ধনী- গরিব নির্বিশেষে সকলেই মেতে উঠে ঈদের আনন্দে। এই আনন্দ যেন আপনার সংযমের বাঁধ ভেঙ্গে না দেয় সেদিকে খেয়াল রাখুন। নিয়ন্ত্রিত খাবার খাওয়ার যে অভ্যাস গড়ে উঠেছিল তা ধরে রাখুন। তবেই বছরের বাকি ১১ মাস আপনি ভাল থাকবেন, সুস্থ থাকবেন।
একে/ এমজে