মাহে রমজানে যা খাবেন
প্রকাশিত : ০৯:১৮, ৫ মে ২০১৮ | আপডেট: ১৬:২৯, ৬ মে ২০১৮
রমজান আত্মশুদ্ধির মাস, আত্মসংযমের মাস। তাই খাবার গ্রহণেও সংযম প্রদর্শন করুন।
সেহেরি
সেহেরিতে মাঝারি খাবার গ্রহণ করুন। প্রোটিন বা আমিষজাতীয় খাবার কম খান। গবেষণায় দেখা গেছে, সেহেরীতে যত আমিষজাতীয় খাবার বেশি খাবেন ততো বেশি পিপাশা লাগবে। তাই পরিমিত ভাত বা লাল আটার রুটির সঙ্গে পর্যাপ্ত সবজি খান। পরিমিত ডাল খান। মাছ, মাংস, ডিম, দুধ পরিহার করুন। এতে সারাদিন পানির পিপাসা কম লাগবে।
সেহেরিতে প্রচুর পানি পান না করে স্বাভাবিক পানি পান করুন। কেননা প্রয়োজনের অতিরিক্ত পানি কিছুক্ষণের মধ্যেই প্রস্রাব হয়ে বের হয়ে যায়।
ইফতার
ইফতারে ভাজা পোড়া তৈলাক্ত খাবার পরিহার করুন। এগুলো যেমন স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর তেমনি ওজন বৃদ্ধি করে। এছাড়া এটি রোজার মূল উদ্দেশ্যের পরিপন্থী। ভাজা-পোড়া খাবার পেটে গ্যাস তৈরি করে যা রোজাদারের জন্য দারুণ অস্বস্থিকর। এছাড়া এগুলো আলসার তৈরি করতে পারে।
তাই নবীজী (স.) এর মত, খেজুর দিয়ে ইফতার করে মাগরিবের নামাজ পড়ে নিন। খেজুরে পর্যাপ্ত সুক্রোজ থাকে যা কিছুক্ষণের মধ্যে গ্লুকোজে রুপান্তরিত হয়ে রক্তে প্রবেশ করে আপনাকে চাঙ্গা করে তোলে।
রাতের খাবার
নামাজ পড়ে রাতের খাবার খেয়ে নিন। রাতের খাবারে রুটি বা ভাতের সঙ্গে শাক-সবজি, ডাল, মাছ বা মুরগীর মাংস খাওয়া যেতে পারে। প্রয়োজনে রাতে এক গ্লাস দুধ খেতে পারেন। ইফতারির পর বিরতি দিয়ে পর্যাপ্ত পানি পান করুন। যাদের কৌষ্ঠকাঠিন্য রযেছে তারা প্রচুর শাক-সবজি ও পানি পান করুন। প্রয়োজনে ইসুবগুলের ভুসি খেতে পারেন। এতেও কাজ না হলে ল্যাকটুলজ সিরাপ ৩/৪ চামুচ করে দিনে ২ বার খেতে পারেন।
এছাড়া ৪ গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ-
১. বোতল বা প্যাকেটজাত ফ্রুট জুস না খেয়ে তাজা ফল খান। কোমল পানীয় বর্জন করুন।
২. যাদের ওজন বেশি, রমজান তাদের জন্যে ওজন কমানোর এক সুবর্ণ সুযোগ ।
৩. যারা বিভিন্ন অসুখে ভুগছেন তারা সেহেরি ও ইফতারের পর প্রয়োজনীয় ওষুধ গ্রহণ করুন।
৪. হোটেলের খোলা খাবার ও পানি খাবেন না। কেননা তা থেকে পেটের পীড়া এবং জন্ডিস হতে পারে।
একে/ এসএইচ/