মা দিবসে নারীর প্রতি সহিংসতা বন্ধের দাবি
প্রকাশিত : ০০:১০, ১২ মে ২০১৮
মায়ের প্রতি ভালোবাসা জানাতে সারা বিশ্বে প্রতিবছর ‘আন্তর্জাতিক মা দিবস’ পালিত হয়ে থাকে। মে মাসের দ্বিতীয় রোববার ‘মা দিবস’ । এ বছর ১৩ মে, মা দিবস পালিত হবে।
মা দিবস উপলক্ষে সমাজতান্ত্রিক মহিলা ফোরাম এর উদ্যোগে রোববার সকাল ১১টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে নারী সমাবেশ ও র্যালি অনুষ্ঠিত হয়। মা দিবসে নারীর প্রতি সহিংসতা বন্ধের দাবি জানানো হয়।
সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি রওশন আরা রুশোর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক শম্পা বসুর পরিচালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন মহিলা ফোরাম এর কেন্দ্রীয় উপদেষ্টা মণ্ডলীর সদস্য সামসুন নাহার জ্যোৎস্না, নারীনেত্রী জেসমিন আক্তার, সুলতানা আক্তার, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট ঢাকা নগর শাখার সাধারণ সম্পাদক মুক্তা প্রমুখ।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, সারাদেশে অব্যাহতভাবে বেড়ে চলেছে নারী-শিশু নির্যাতন-ধর্ষণ-হত্যা। ঘরে-বাইরে, বাস-ট্রেন-লঞ্চে, স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে, অফিসে-কারখানায় কোথাও নারী নিরাপদ নন। আবার নির্যাতনের ক্ষেত্রে নারীর বয়সও কোন বাঁধা নয়। যেকোন বয়সী নারীই নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন। বৃদ্ধা মা বা শিশু কন্যা কেউই রেহাই পাচ্ছেন না নির্যাতনের হাত থেকে। যেখানে নারী মর্যাদাই পাচ্ছেন না, সেখানে একজন মা কিভাবে সম্মানিত হবেন? সমাজে মায়েরা অবহেলিত, কন্যা শিশু অবাঞ্ছিত, কিশোরী অপাংক্তেয়, তরুণী লাঞ্ছিত, বিবাহিতা নারী যৌতুকের জন্য নিগৃহীতা, কন্যা সন্তান জন্ম দিলে অপয়া, বৃদ্ধ বয়সে মা সন্তানের কাছে বোঝা। কিছু ব্যতিক্রম বাদ দিলে বেশিরভাগ নারীর জীবন বেদনা, উপেক্ষা, চোখের জল আর দীর্ঘ নিঃশ্বাসে ভরা নারীর অন্তর।
ঘরের কাজে মায়ের অবদান আছে, মূল্য নেই। সন্তান ধারনের ব্যাপারে, সন্তানের শিক্ষা, বিয়ে কোন বিষয়েই কি মায়ের মতামতের মূল্য আছে? ওয়াজের নামে, ফতোয়ার নামে যখন নারীকে হেয় করা হয় তখন কি মায়েরও মর্যাদা ভূলণ্ঠিত হয় না? ছোটবেলায় বাবার সংসারে, বিবাহিত জীবনে স্বামী ও শেষ বয়সে সন্তানের মুখাপেক্ষী থাকাই যেন নারী জীবনের নিয়তি! এই বাস্তবতায় মা দিবস শুধু মাত্র একটি আনুষ্ঠানিকতা নয়; মায়েদের শ্রম ও অবদানের স্বীকৃতি ও মায়েদের অধিকার আদায়ের লড়াই হোক এ দিবসের প্রত্যাশা।
কেআই/টিকে
আরও পড়ুন