ঢাকা, সোমবার   ২৫ নভেম্বর ২০২৪

মিথ্যা শনাক্তে ইসরায়েলের নতুন পদ্ধতি

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৩:৫৯, ১ ফেব্রুয়ারি ২০২২ | আপডেট: ১৪:৫৫, ১ ফেব্রুয়ারি ২০২২

মিথ্যা শনাক্তকরণের একটি নতুন পদ্ধতি উদ্ভাবন করেছে ইসরায়েলের তেল আবিব বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষক। লাই ডিটেকশন অর্থাৎ মিথ্যা শনাক্তকরণের এ পদ্ধতিতে প্রথমে মুখের বাঁ-পাশে কয়েকটি ইলেকট্রোড সেঁটে দিতে হয়। 

গবেষক দলটির নেতৃত্ব দিচ্ছেন অধ্যাপক হানেইন এবং তার সহযোগী অধ্যাপক দিনো লেভি।

তারা বলছেন, মিথ্যাবাদী আছে দুরকম। এক দল আছেন মিথ্যা বলার সময় নিজের অজান্তেই যাদের চোখের ওপরের ভ্রু নড়াচড়া করতে থাকে। আরেক দল আছেন, মিথ্যা বলার সময় যাদের ঠোঁটের খুব সামান্য একটা নড়াচড়া নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন না।

হানেইন বলেন, “তারা যে সফটওয়্যার এবং অ্যালগরিদম তৈরি করেছেন তা ৭৩ শতাংশ মিথ্যা শনাক্ত করতে পারে এবং এখন তারা কাজ করছেন এ পদ্ধতিকে আরও উন্নত করার জন্য।”

লেভি বলেন, “আপনি যখন মিথ্যে বলছেন এবং তা লুকানোর চেষ্টা করছেন, তখন আপনি চেষ্টা করেন যাতে আপনার শরীরে কোনও প্রতিক্রিয়া না হয়। কিন্তু এই প্রযুক্তির হাত থেকে একটা মিথ্যাকে গোপন রাখা খুবই, খুবই কঠিন।”

তেল আবিব বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা মনে করেন, একসময় এ ক্ষেত্রে ভিডিও ক্যামেরার জায়গা নেবে ইলেকট্রোড। তারা বলছেন, একসময় এমন সফটওয়্যার আসবে যার ফলে দূর থেকে বা এমনকি ইন্টারনেটে লিংকেও একজন মিথ্যাবাদীকে চিহ্নিত করা যাবে - তার মুখের পেশীর নড়াচড়া থেকে।

লেভি বলেন, “ব্যাংকে, বিমান বন্দরে, অনলাইনে চাকরির ইন্টারভিউ বা পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদের সময়, শক্তিশালী ক্যামেরা থাকবে যা মুখমণ্ডলের পেশীর নড়াচড়া দেখেই ধরা যাবে কোনটি সত্য বক্তব্য এবং কোনটি মিথ্যা।”

তবে লাই ডিটেক্টরের বৈধতার ক্ষেত্রে বিভিন্ন দেশের আইন বিভিন্ন রকম। যুক্তরাজ্যে যৌন অপরাধ এবং পারিবারিক সহিংসতার ক্ষেত্রে পলিগ্রাফকে পরীক্ষামূলকভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে। এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্রেও লাই ডিটেকটর সংক্রান্ত আইন একে অঙ্গরাজ্যে একেক রকম।

বিংশ শতাব্দীর প্রথম দিকে আবিষ্কৃত হয় প্রথম মিথ্যা ধরার যন্ত্র বা লাই-ডিটেকটর মেশিন। একে বলা হয় পলিগ্রাফ।

সবচেয়ে পরিচিত যন্ত্রটি হচ্ছে “এ্যানালগ পলিগ্রাফ”- যাতে তিন-চারটি কালি-ভরা সূঁচ থাকে যা একটি চলন্ত কাগজের ওপর দাগ-কাটতে থাকে।

অন্য প্রান্তে সন্দেহভাজন ব্যক্তিটির হাতের আঙুল, বাহু ও শরীরে লাগানো থাকে সেন্সর। তাকে অনেকগুলো প্রশ্নের জবাব দিতে হয় এবং সেই সময় তার শ্বাসপ্রশ্বাসের গতি, হৃৎস্পন্দন, রক্তচাপ কত এবং তার ঘাম হচ্ছে কিনা - এগুলো মাপা হয়।

তবে এসব মেশিন কতটা নির্ভুল এবং একে ফাঁকি দেয়া সম্ভব কিনা- এ নিযে অনেক দিন ধরেই উদ্বেগ আছে। সেকারণেই সারা বিশ্বের গবেষক এবং প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ করে যাচ্ছে আরো উচ্চ প্রযুক্তির পলিগ্রাফ তৈরির জন্য।
সূত্র: বিবিসি বাংলা
এসএ/
 


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি