মিল্কভিটা কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারছে না
প্রকাশিত : ১৩:০৪, ১০ ফেব্রুয়ারি ২০১৮
দেশে দুধ উৎপাদনে ঘাটতির কারণে আমদানি করা হয় গুঁড়ো দুধ। এই সুযোগে অনেক সময় মানহীন দুধও সরবরাহ করা হয় বাজারে। অথচ, দেশে খামারিদের দুধ নষ্ট হয় প্রায়ই; তারা বঞ্চিত ন্যায্যমূল্য থেকেও। দুগ্ধ খামারিদের সুরক্ষা দিতে, স্বাধীনতার পরপরই সমবায়ভিত্তিক প্রতিষ্ঠান মিল্কভিটা গড়ে তোলা হলেও, কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারছে না প্রতিষ্ঠানটি।
দেশে দুগ্ধ শিল্পের অন্যতম স্থান সিরাজগঞ্জ। সরকারি- বেসরকারি উদ্যোগে অসংখ্য খামার গড়ে উঠেছে এখানে। তবে, খামারিরা বলছেন, দুধের ন্যায্যমূল্য পান না তারা। সেই সঙ্গে মিল্কভিটার কোটা পদ্ধতি ভোগান্তি আরও বাড়িয়েছে।
সময়ের সঙ্গে সঙ্গে দাম বেড়েছে, খড়, ভূষি, খৈলসহ সব ধরনের গোখাদ্যের। দিনে রাতে হাড়ভাঙ্গা পরিশ্রম শেষে খামারির প্রতি লিটার দুধের দাম মিলছে মাত্র ৩০ থেকে ৩৫ টাকা। রয়েছে অব্যবস্থাপনাও। মাঝে মাঝেই মিল্কভিটার প্ল্যান্ট বন্ধের কথা বলে দুধ কেনা বন্ধ রাখে কর্তৃপক্ষ। এর সুযোগ নেয় স্থানীয় ঘোষ ও বে-সরকারি কোম্পানিগুলো। পানির দামে দুধ বিক্রি করতে হয় খামারিদের।
এ’সব কারণে খামারের ব্যবসা ছেড়ে দেওয়ার কথাও জানিয়েছেন কেউ কেউ। তবে, মিল্কভিটা কর্তৃপক্ষ বলছে, সক্ষমতার অভাবে বাড়তি দুধ কেনার সুযোগ থাকে না। খামারিদের অভিযোগ, বেসরকারি কোম্পানিগুলোকে সুযোগ দিতেই এসব করে মিল্কভিটা।
ভিডিও লিংক- যঃঃঢ়ং://িি.িুড়ঁঃঁনব.পড়স/ধিঃপয?া=ংঢবইটঝমঊুঃড়
আরও পড়ুন