ঢাকা, শুক্রবার   ২৯ নভেম্বর ২০২৪

মিসির আলি চ্যালেঞ্জিং চরিত্র : চঞ্চল

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৩:৪২, ১ অক্টোবর ২০১৮

আসছে জয়া-চঞ্চল চৌধুরী অভিনীত নতুন সিনেমা ‘দেবী’। মুক্তির অনেকদিন আগে থেকেই সিনেমার প্রচারণা শুরু হয়েছে বেশ জোরেসোরে। অক্টোবরেই দেশের প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেতে চলেছে বহুল প্রতীক্ষিত এই সিনেমা। সরকারি অনুদান ও অভিনেত্রী জয়া আহসানের প্রযোজনা সংস্থা ‘সি তে সিনেমা’র প্রথম চলচ্চিত্র এটি। অভিনব কৌশলে প্রচারণার জন্য ইতিমধ্যে চলচ্চিত্রপ্রেমীরা সিনেমাটি নিয়ে তীব্র প্রতীক্ষায় আছেন।

প্রয়াত কথা সাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদ-এর ‘দেবী’ উপন্যাসের অনুপ্রেরণায় নির্মিত চলচ্চিত্রটি মুক্তির আগে চলচ্চিত্রের চরিত্র এবং নানা অনুষঙ্গ নিয়ে সম্প্রতি আয়োজন করা হয় ‘দেবী মঞ্চ’। সিনেমায় মিসির আলি চরিত্রে অভিনয় করেছেন চঞ্চল চৌধুরী। মাথায় সাদা চুল। চোখে চশমা। দৃষ্টি তার এতই প্রখর যে তাকালেই মনে হবে আপনার ভেতরটা পড়তে পারছেন। এক কথায়, এমনটাই মিসির আলি। হুমায়ুন আহমেদের সৃষ্ট চরিত্র। পর্দায় এই মিসির আলীর নির্মাতা অনম বিশ্বাস। আসন্ন ‘দেবী’ সিনেমার জন্য মিসির আলিকে এ ভাবেই দেখা যাবে।

মিসির আলি চরিত্রে অভিনয় প্রসঙ্গে চঞ্চল বলেন, ‘চ্যালেঞ্জিং চরিত্র। সাধারণ চিত্রনাট্যের চরিত্র হলে এত চিন্তা করতাম না। মিসির আলি এত জনপ্রিয় যে প্রত্যেকে নিজের মনে ইমেজ তৈরি করেন। সবার ইমেজ তো সমান নয়। সেটা মেলানো কঠিন ছিল। দর্শক উপন্যাসে কী ভাবে পড়েছেন, আর পর্দায় কী ভাবে দেখছেন, সেটা কিন্তু ভাববেন। ফলে অনেক গবেষণা করে তৈরি করতে চেষ্টা করেছি আমরা। তবে সিনেমার ক্ষেত্রে বইয়ের চরিত্র ১০০ শতাংশ আনা সম্ভব হয় না নানা কারণে।’

তিনি আরও বলেন, ‘প্রথম যখন মিসির আলির লুক প্রকাশ্যে আসে, তা নিয়ে দর্শকদের মধ্যে উত্তেজনা তৈরি হয়েছিল। কারণ মিসির আলিকে এতদিন বড় পর্দায় দেখেননি দর্শক। এ উপন্যাসের প্রচুর পাঠক রয়েছেন। তাই ‘দেবী’ নিয়েও প্রচন্ড আগ্রহ আছে দর্শকদের। আমি সাধারণত যে চরিত্রই করি, সেটায় ডুবে থাকি। সাধনা করি। সবাই সহযোগিতা করেছেন। সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি, বাকিটা দর্শকদের হাতে।’

এই সিনেমার প্রযোজক জয়া আহসান। তিনিও সিনেমার অন্যতম চরিত্রের অভিনেত্রী। জয়া প্রসঙ্গে চঞ্চল বলেন, ‘কোআর্টিস্ট ভালো হলে বিশ্বাস করি কাজের মান বেড়ে যায়। রানুর চরিত্রটা জয়ার থেকে ভালো কেউ করতে পারত না। এই চ্যালেঞ্জটা নিতে ভালো লাগে। তাই কোনও চাপ মাথায় নিইনি। আনন্দ করে কাজ করেছি। আমি তো জয়াকে কোআর্টিস্ট হিসেবেই দেখেছি। ও এখানে প্রোডিউসার হিসেবে পরিচিতও হয় না। আমি মিসির আলি, ও রানু। এ ভাবেই দেখেছি ওকে। প্রোডাকশনকে কখনও প্রভাবিত করতে দেখিনি। প্রোডিউসার হিসেবে নিজেকে জাহির করার মানসিকতা ওর নেই, করেওনি।’

এসএ/


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি