মিয়ানমারের ছোড়া মর্টার শেল বাংলাদেশে, নিহত ২
প্রকাশিত : ১৫:৩৫, ৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
মিয়ানমার সীমান্তে রাতভর মর্টার শেল ও গোলাগুলি শব্দ শোনা গেছে। আর চলমান সংঘর্ষের জেরে প্রাণ বাঁচাতে এ’পর্যন্ত বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছেন দেশটির বর্ডার গার্ড পুলিশের ৯৫ সদস্য। তাদের মধ্যে ৯ জনকে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। এদিকে তমব্রু সীমান্তের জলপাইতলীতে মিয়ানমারের ছোড়া মর্টার শেলের আঘাতে ১ বাংলাদেশী ও ১ রোহিঙ্গা নিহত হয়েছে।
সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউপির ৪ নম্বর ওয়ার্ডের জলপাইতলি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত হাছিনা বেগম (৫২) ওই এলাকার বাদশা মিয়ার স্ত্রী। এছাড়া নিহত রোহিঙ্গা পুরুষের (৫৫) পরিচয় জানা যায়নি।
বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার তুমব্রু সীমান্তের ওপারে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে চলমান সংঘাতের জেরে দেশটির সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিপির ৯৫ জন সদস্য পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছেন। বিজিবি জানায়, নাইক্ষ্যংছড়ির তুমব্রু বিজিবি ক্যাম্প ও কক্সবাজারের উখিয়ায় নিরস্ত্রীকরণ করে রাখা হয়েছে জান্তা বাহিনীর সদস্যদের।
এদিকে রোববার সারারাত নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম সীমান্তের ডেকুবনিয়া অংশে থেমে থেমে গোলাগুলির শব্দ শোনা যায়। চলে সকাল ৬টা পর্যন্ত। এরপর থেকে আর কোন গোলাগুলির শব্দ শুনতে পায়নি স্থানীয়রা।
সতর্ক অবস্থায় বিজিবি সদস্যরা
এদিকে গতকাল রোববার আরাকান আর্মি ও সামরিক জান্তা বাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষে ছোড়া মর্টারশেল, রকেট লাঞ্চারসহ গুলি এসে পড়ে ঘুমধুম-তুমব্রু এলাকার বসতঘরের উপর। এসময় গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হয় ৩ বাংলাদেশী নাগরিক। তবে গেলো রাতে গোলাগুলি হলেও এখনও পর্যন্ত কোন হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
এদিকে কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল কর্মকর্তা জানান, মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিপির দুই সদস্য রি লি থাইন ও জা নি মং হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তাদের অবস্থা আশংকাজনক।
জেলা প্রশাসক জানান, সীমান্তে উত্তেজনা থাকায় সাময়িক সময়ের জন্য ৬টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করা হয়েছে। নিরাপত্তার কারণে জনগণের যাতায়াত সীমিত করণের পাশাপাশি বেশ কয়েকটি সড়কে যান চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। এছাড়াও ঝুকিপূর্ণ এলাকায় বসবাসকারী বাসিন্দাদের নিরাপদে সরিয়ে নিতে জনপ্রতিনিধিদেরকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
এএইচ
আরও পড়ুন