মুক্তিযুদ্ধের প্রথম সশস্ত্র প্রতিরোধ দিবস পালিত
প্রকাশিত : ১৭:৩৯, ১৯ মার্চ ২০১৯ | আপডেট: ১৩:০১, ২১ মার্চ ২০১৯
মহান মুক্তিযুদ্ধের প্রথম সশস্ত্র প্রতিরোধ দিবস ১৯ মার্চ উপলক্ষে রাজধানীর বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিল মিলনায়তনে ১৯ মার্চ সকালে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
প্রথম সশস্ত্র প্রতিরোধ দিবস উদযাপন কমিটির উদ্যোগে এবং বঙ্গবন্ধু গবেষণা পরিষদ ও সাংবাদিক অধিকার ফোরামের সহায়তায় এই আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যান বিচারপতি মোহাম্মদ মমতাজ উদ্দিন আহমেদ।
বিচারপতি মোহাম্মদ মমতাজ উদ্দিন আহমেদ বলেন, ১৯ মার্চ মুক্তিযুদ্ধের প্রথম সশস্ত্র দিবস বাংলাদেশের ইতিহাসের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। তিনি এই বিষয়টি পাঠ্যপুস্তকে অন্তর্ভূক্ত করার দাবি করেন।
অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন, উদযাপন কমিটির সদস্য সচিব ও বঙ্গবন্ধু গবেষণা পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি লায়ন মো. গনি মিয়া বাবুল।
মূল প্রবন্ধে তিনি বলেন, বাঙালি জাতির ইতিহাসের একটি বড় অর্জন গাজীপুরের প্রথম সশস্ত্র প্রতিরোধ আন্দোলন। এই আন্দোলনের ইতিহাস সঠিকভাবে সংরক্ষণ করা জরুরি। মহান মুক্তিযুদ্ধের প্রথম সশস্ত্র প্রতিরোধ দিবস ১৯ মার্চকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় জাতীয়ভাবে পালন করা উচিত। এতে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস আরো সমৃদ্ধ হবে। ১৯ মার্চ প্রথম সশস্ত্র প্রতিরোধকে চিরঞ্জীব রাখতে গাজীপুরে একটি যাদুঘর প্রতিষ্ঠা করা আবশ্যক।
এছাড়াও এই আন্দোলনের শহীদ ও শহীদ পরিবারদের তালিকা করে তাদেরকে রাষ্ট্রীয়ভাবে স্বীকৃতি দেওয়া আবশ্যক। উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক আতাউর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, সংসদ সদস্য শামসুন্নাহার ভূইয়া, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ফরিদা ইয়াসমিন, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ ও বাংলা একাডেমির সাবেক মহাপরিচালক সামসুজ্জামান খান।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক অরুন সরকার রানা, জাতীয় গণতান্ত্রিক লীগের সভাপতি এম এ জলিল, ন্যাপ ভাসানী এর চেয়ারম্যান এম এ ভাসানী, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের নির্বাহী সদস্য নূরে জান্নাত আক্তার সীমা, মাই টিভির সিনিয়র রিপোর্টার মানিক লাল ঘোষ, ঢাকা সাব এডিটরস কাউন্সিলের সাবেক সভাপতি নাসিমা আক্তার সোমা, সিনিয়র সাংবাদিক মো. আশরাফ খান, শিক্ষা পর্যবেক্ষক সোসাইটির চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ শরিফুল ইসলাম, বঙ্গবন্ধু গবেষণা পরিষদের নির্বাহী সদস্য মো. মাসুদ আলম, বঙ্গ টিভির চেয়ারম্যান কবি মায়ারাজ, বঙ্গবন্ধু গবেষণা পরিষদের সদস্য মাওলানা শামসুল হক হাবিবী প্রমুখ।
সভায় বক্তাগণ বলেন, ১৯ মার্চ প্রথম সশস্ত্র দিবস মুক্তিযুদ্ধের প্রেরণা হিসেবে কাজ করেছে। এই দিবসটি জাতীয় স্বীকৃতি পেলে নতুন প্রজন্ম মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস জানতে পারবে। ১৯ মার্চ ১৯৭১ এর ইতিহাস-ঐতিহ্য, সংরক্ষণ ও প্রসার করতে হবে।
কেআই/