মুন্নি হত্যার রহস্য উদঘাটন, গ্রেপ্তার ২
প্রকাশিত : ১৭:০২, ১৬ নভেম্বর ২০২৪
চুয়াডাঙ্গার চাঞ্চল্যকর খালেদা আক্তার মুন্নি হত্যার রস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। অনৈতিক সম্পর্কের কারণে নিহত মুন্নি হত্যায় জড়িত থাকার অভিযোগে দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
আজ শনিবার দুপুরে পুলিশ সুপার কার্যালয়ে প্রেসব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো: রিয়াজুল ইসলাম।
এ ঘটনায় গ্রেপ্তারকৃত দুই আসামী আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী প্রদান করেছেন।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার হাজরাহাটি গ্রামের টোকন আলীর ছেলে মানিক আলী মুন্সি (২২) ও মইদুল ইসলামের ছেলে পারভেজ মুন্সি স্বপন (১৯)।
পুলিশ জানায়, গত ৯ নভেম্বর চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার ভাংবাড়ীয়া গ্রামের খোয়াজ আলী শেখের মেয়ে ভিকটিম খালেদা আক্তার মুন্নি (১৮) দুপুরে হাটবোয়ালিয়া বাজারে কেনাকাটা করার উদ্দেশ্যে বাড়ী থেকে বের হয়। ভিকটিম একই দিন সন্ধ্যায় তার মাকে জানায় কেনাকাটা করতে রাত হয়েছে আলমডাঙ্গা খালার বাসায় থাকবে।
এরপর থেকে মুন্নি নিখোঁজ ছিলেন।
পরবর্তীতে গত ১৪ নভেম্বর সকাল ৮টায় অজ্ঞাতনামা মহিলার অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করে ভিকটিমের পরিবারকে সংবাদ দিলে ভিকটিমের পরিবার ঘটনাস্থলে পৌছে ভিকটিমের শরীরের বিভিন্ন জায়গায় ট্যাটু দেখে লাশটি ভিকটিম খালেদা আক্তার মুন্নি’র বলে শনাক্ত করে।
বর্ণিত ঘটনার প্রেক্ষিতে ভিকটিমের মা বাদী হয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর থানা একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
পুলিশ আরও জানায়, ৯ নভেম্বর সন্ধ্যায় মুন্নি সদর উপজেলার নীলমনিগঞ্জ পিটিআই মোড়ে পৌঁছালে মানিক মুন্সি তার অপর সহযোগী আসামি পারভেজ মুন্সি ওরফে স্বপন (১৯)র মোটরসাইকেলে তাকে নিয়ে আসতে বলে। আসামি পারভেজ মুন্সি ওরফে স্বপন পিটিআই মোড় থেকে ভিকটিমকে রিসিভ করে বোয়ালমারি শ্বশানের ফাঁকা জায়গায় মানিক মুন্সির নিকট নিয়ে আসে।
আসামিদ্বয় পানেবরজের পেছনে জঙ্গলে ভিকটিমের সাথে পালাক্রমে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করে। আসামী পারভেজ মুন্সি ওরফে স্বপন ঘটনাস্থল থেকে চলে গেলে আসামি মানিক মুন্সি একাধিকবার শারীরিক সম্পর্ক করে ভিকটিমকে পাঁচ হাজার টাকা দিলে ভিকটিম ২০ হাজার টাকা দাবি করে।
এক পর্যায়ে চিৎকার করলে ভিকটিমের গলাটিপে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে ওড়না দিয়ে হাত বেধেঁ জঙ্গলের ফেলে রেখে ভিকটিমের শপিং ব্যাগ ও জুতা নদীতে ফেলে দেয় মানিক।
এএইচ
আরও পড়ুন