মূল্যস্ফীতি বসে আনা নতুন সরকারের বড় চ্যালেঞ্জ (ভিডিও)
প্রকাশিত : ১৫:১৭, ১৩ জানুয়ারি ২০২৪ | আপডেট: ১৫:৪৮, ১৩ জানুয়ারি ২০২৪
উৎপাদন খাতকে পুরোদমে গতিশীল করতে শিল্পের কাঁচামালের স্বাভাবিক যোগান নিশ্চিত করা নতুন সরকারের জন্য হবে অন্যতম চ্যালেঞ্জ। পাশাপাশি শিল্পখাতে নিরবিচ্ছিন্ন ও মানসম্মত জ্বালানি সরবরাহ করাও চ্যালেঞ্জিং হয়ে উঠতে পারে। এছাড়া নতুন বাজারে রপ্তানি সম্প্রসারণ, ডলার সংকট কাটানো সাথে রাজস্ব আদায় বাড়াতে হবে বলে মনে করছেন ব্যবসায়ী ও অর্থনীতিবিদরা। আর অর্থনীতির এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় বিশেষজ্ঞ টিম গঠনের পরামর্শ তাদের।
পদ্মা সেতু, মেট্রোরেল, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, ফোরলেন সড়ক ও সারাদেশে ছোট-বড়, মাঝারি সড়ক এবং সেতুতে বদলে গেছে দেশের যোগাযোগ অবকাঠামো। পাশাপাশি বাঁশখালী, পায়রা ও রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র চালু হয়েছে; রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের কাজও প্রায় শেষ। এছাড়া ঢাকা থেকে পদ্মাসেতু হয়ে বেনাপোল এবং ঢাকা-কক্সবাজার রেলযোগাযোগও খুলে দিয়েছে নতুন দিগন্ত। যমুনায় রেলসেতু, পায়রা বন্দর, বঙ্গবন্ধু টানেলের মতো উন্নয়ন প্রকল্পগুলো চোখে পড়ার মত।
করোনা মহামারির অভিঘাত ও বৈশ্বিক অস্থিরতার মধ্যে ব্যয়বহুল এসব প্রকল্প চালিয়ে নেয়ার কঠিন পরীক্ষায় ইতোমধ্যেই উত্তীর্ণ সরকার। তবে বাস্তবায়নাধীন প্রকল্পগুলো দ্রুত শেষ করা এবং বিদেশি ঋণ পরিশোধে টানা চতুর্থ মেয়াদের জন্য দায়িত্ব নেয়া নতুন সরকারকেও কিছুটা চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হবে।
বর্তমান সময়টা ভোক্তাদের জন্য দুর্ভোগের। উচ্চ মূল্যস্ফীতির চাপ সামাল দিতে হিমশিত খাচ্ছেন তারা। সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর নানা কর্মসূচির মাধ্যমে স্বস্তি দেয়ার চেষ্টায় থাকলেও সরকারকে গুনতে হচ্ছে ব্যাপক ভর্তুকি। আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহারেও প্রতিশ্রুতি রয়েছে পণ্যমূল্য নিয়ন্ত্রণের। ভর্তুকি ব্যয় সামাল দিয়ে বা কমিয়ে কিভাবে মূল্যস্ফীতিকে বসে আনা সম্ভব, সেটিও বড় চ্যালেঞ্জ।
অর্থনীতিবিদ ড. আহসান এইচ মনসুর বলেন, “রোডম্যাপ তৈরি করতে হবে কিভাবে এ বিষয়গুলোকে মোকাবেলা করা যায়।”
আমদানিনির্ভর কাঁচামালের যোগান নিশ্চিতকরণ ও নিরবচ্ছিন্ন জ্বালানি সরবরাহ স্বাভাবিক রেখে উৎপাদন খাতকে গুরুত্ব দিচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। ডলার সংকট কাটিয়ে এলসি খোলা স্বাভাবিক দেখতে চান তারা।
এফবিসিসিআই সভাপতি মাহবুবুল আলম বলেন, “বাংলাদেশ ব্যাংক ৫ টাকা করে এক ডলারের বিপরীতে দিচ্ছে এটা যদি প্রবাসীদের মধ্যে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে দেয়া যায় তাহলে ডলারের সমস্যাটা কিছুটা হলেও স্বস্তিতে থাকবে।”
ডলারের বিপরীতে টাকার মূল্যমান ধরে রাখা জরুরি। নতুন সরকারকে রেমিট্যান্স, রপ্তানি ও বিদেশি বিনিয়োগ বাড়ানোর পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।
বাংলাদেশ সিকিউরিট একচেঞ্জ কমিশন চেয়ারম্যান ড. শিবলী রুবাইয়ত-উল ইসলাম বলেন, “এখানে যখন বিদেশি বিনিয়োগগুলো বাড়বে তখন আমাদের রপ্তানি বাড়বে। যখন এক্সপোর্ট বাড়বে তখন ফরেন কারেন্সি আরও বেশি আসা শুরু হবে। ফরেন কারেন্সি যখন আসবে তখন আমাদের দেশের রিজার্ভের আরও উন্নতি ঘটবে।”
সার্বিক অর্থনীতি এগিয়ে নিতে একটি সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনার কথা বলছেন অর্থনীতিবিদরা। আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন নতুন সরকারকে জিডিপি অনুপাতে রাজস্বকে যৌক্তিক পর্যায়ে নেয়ার পরামর্শ তাদের।
এএইচ