ঢাকা, সোমবার   ১৩ জানুয়ারি ২০২৫

মৃত্যুপুরী লিবিয়া, ২০ হাজার মানুষের প্রাণহানীর আশঙ্কা

আশরাফ শুভ

প্রকাশিত : ১১:৩৩, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | আপডেট: ১১:৩৬, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩

দীর্ঘদিন রক্ষণাবেক্ষণের অভাবেই লিবিয়ায় বাঁধ ভেঙ্গে প্রলয়কারী বন্যার সৃষ্টি হয়েছে। দেরনা শহর কর্তপক্ষও স্বীকার করেছে শহররক্ষা বাঁধগুলো প্রায় দুই দশক ধরে সংস্কার করা হয়নি। আর এর অন্যতম কারণ লিবিয়ায় গত এক দশকেরও বেশি সময় ধরে চলা গৃহযুদ্ধ এবং রাজনৈতিক বিভক্তি। এছাড়া শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় সরকারের প্রস্তুতির অভাবে প্রাণহানি বেশি হয়েছে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। 

পথের পাশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে মরদেহ। সাগর থেকে ভেসে আসছে একের পর এক লাশ। এই দৃশ্য লিবিয়ার দেরনা শহরের। রোববার উপকূলে আঘাত হানা ঘূর্ণিঝড় ড্যানিয়েল থেকে সৃষ্ট বন্যায় মৃত্যুপুরীতে পরিণত দেশটির পূর্বাঞ্চল। 

স্মরণকালের ভয়াবহ এই বিপর্যয়ে এ পর্যন্ত কয়েক হাজার মানুষের প্রাণহানি হয়েছে। নিখোঁজ আরও কয়েক হাজার। এ অবস্থায় ২০ হাজার মানুষের মৃত্যুর আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা।

ঘূর্ণিঝড় ও বন্যায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ভূমধ্যসাগরের গা ঘেঁষে দাড়িয়ে থাকা বন্দরনগরী দেরনা। শহরটিতে প্রায় ১ লাখ মানুষের বাস। শহর এবং জনপদের মানুষদের রক্ষায় সাগরের পাড়ে কয়েকটি বাঁধ তৈরি করা হয়েছিল বহুবছর আগে। তবে শক্তিশালী ঝড় ড্যানিয়েলকে রুখতে পারেনি বাঁধগুলো। 

তীব্র ঝড় এবং পানির প্রবল স্রোতে গুরুত্বপূর্ণ দুটি বাঁধ ধসে পড়ে। এতে মুহূর্তেই প্রায় ৩ কোটি কিউবিক মিটার পানি শহরে প্রবেশ করে ভাসিয়ে নিয়ে যায় সবকিছু। 

দেরনা শহরের ডেপুটি মেয়র আহমেদ মাদরুদ জানান, দীর্ঘদিন ধরে চলা অভ্যন্তরীণ সংঘাত এবং রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে প্রায় দুই দশক ধরে গুরুত্বপূর্ণ এই বাঁধগুলোর সংস্কারের কাজ করা হয়নি। এছাড়া বড় বিপর্যয় মোকাবিলায় সক্ষম নতুন কোন অবকাঠামোও নির্মাণ করা হয়নি।

এছাড়া ঝড় মোকাবেলায় পূর্বপ্রস্তুতি নেয়ার ক্ষেত্রে কর্তৃপক্ষের গাফিলতি রয়েছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। পূর্বাভাস পাওয়ার পর ঝুঁকিপূর্ণ উপকূল থেকে বাসিন্দাদের আগেভাগে সরিয়ে নিলে প্রাণহানি আর কম হতো বলে মত অনেকের।

এএইচ


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি