মৃত্যু সম্পর্কে রাসুলুল্লাহ’র হাদিস
প্রকাশিত : ১৫:৪৬, ১১ এপ্রিল ২০২০
দুনিয়ার অন্যায়-অপরাধ থেকে মুক্ত থেকে পরকালের শান্তির আবাস তৈরিতে মৃত্যুর স্মরণ মানুষের জন্য অত্যন্ত কার্যকরী। এ প্রসঙ্গে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের অসংখ্য হাদিস রয়েছে। যা থেকে কয়েকটি তুলে ধরা হলো-
হজরত ওমর রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে জিজ্ঞাসা করা হলো- হে আল্লাহর রাসুল! সবচাইতে বুদ্ধিমান লোক কে? তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, ‘যে ব্যক্তি অধিকহারে মৃত্যুকে স্মরণ করে এবং মৃত্যু পরবর্তী জীবনের প্রস্তুতি গ্রহণে ব্যস্ত থাকে।’ (ইবনে মাজাহ)
হজরত আনাস রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন- ‘সংকটময় মুহূর্তে বান্দা যখন মৃত্যুকে স্মরণ করে, তখন তার এ স্মরণ সংকটময়তাকে দূর করে দেয় আর সুখের কালে মৃত্যুকে স্মরণ করে তখন এ স্মরণ তার সুখ-স্বাচ্ছন্দ্যকে দূরে ঠেলে দেয়।’
হজরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, ‘রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন- হে মানব সম্প্রদায়! সুখ-শান্তি বিনাশকারী মৃত্যুকে বেশি বেশি করে স্মরণ করো। (তিরমিজি, নাসাঈ, ইবনে মাজাহ)
বিশ্বনবির উল্লেখিত হাদিসগুলো দ্বারা এ কথাই প্রমাণিত হয় যে, ‘মৃত্যুর স্মরণই মানুষকে আখিরাতের জন্য প্রস্তুত করে এবং নেক আমলের প্রতি উদ্বুদ্ধ করে। অন্যায়-অসত্য পথ পরিহার করতে সহায়তা করে।
সর্বোপরি দুনিয়ার সব ধরনের অন্যায়, জুলুম, অত্যাচার থেকে ফিরে থাকার মানসিকতা তৈরি করে দেয়। মানুষের দুনিয়ার জীবন ক্ষনস্থায়ী এ কথা স্মরণ করিয়ে দেয়। দুনিয়ার জীবনের কর্মকা-ই হবে আখিরাতের জীবনের সুখ-শান্তির মানদণ্ড। তাই দুনিয়াতে থাকতেই শাস্তি বা মুক্তির যে কোনো একটি সিদ্ধান্ত নিতে হবে। দুনিয়াতে উত্তম আমল করতে না পারলে পরকালে শেষ বিচারের দিন ভোগান্তি, অশান্তি, দুঃখ-কষ্টের সীমা থাকবে না।
এসএ/