মেডিটেশন ।। ধূমপান বর্জন
প্রকাশিত : ১৬:১৮, ৭ আগস্ট ২০২১ | আপডেট: ১৬:৩১, ৭ আগস্ট ২০২১
১. নিয়মমাফিক মনের বাড়ির দরবার কক্ষে গিয়ে বসুন।
২. এবার ৩-২-১-০ গণনা করে হিলিং সেন্টারে প্রবেশ করুন। আরাম করে বসুন আপনার হিলিং চেয়ারে।
৩. এবার আপনার ধূমপান-সংক্রান্ত চিত্র পর্যালোচনা করুন। একে একে দেখুন, ধূমপানের ফলে শারীরিক, মানসিক ও আর্থিক দিক থেকে আপনি কী পরিমাণ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। দৈহিক ও মানসিক ক্ষতিপূরণের জন্যে যা করতে হবে, তা নিজেকে বলুন। ধূমপান কীভাবে আপনার হৃৎপিন্ডের ক্ষতি করছে, করোনারি ধমনীকে সংকুচিত করে রক্তপ্রবাহ ব্যাহত করছে তা অবলোকন করুন। ধূমপানের অন্যান্য শারীরিক ক্ষতিগুলোও দেখতে চেষ্টা করুন। পুরো বিষয়টি বার বার ভিজুয়ালাইজ করুন। (ধূমপানের ক্ষতিকর দিকগুলো মনকে পুরোপুরি বোঝাতে যে ধরনের কল্পনা বা ছবি ব্যবহার করা প্রয়োজন মনে করেন, সেভাবে নিজের ইচ্ছেমতো ছবি বা প্রতীক ব্যবহার করুন।)
তারপর দেখুন, এসব জীবননাশী ক্ষতি থেকে বাঁচার জন্যে আপনি ধূমপান ছেড়ে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। আপনি ধূমপান ছেড়ে দিয়েছেন। ছেড়ে দেয়ার ফলে আপনার কোনো অসুবিধা হচ্ছে না, কোনো ধরনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হয় নি। বরং আপনি পরিপূর্ণ সুস্থ হয়ে উঠেছেন। নিকোটিনের প্রভাব কেটে যাওয়ায় আপনার প্রাণপ্রাচুর্য বৃদ্ধি পেয়েছে, চেহারায় এসেছে একটা আলাদা ঔজ্জ্বল্য। সিগারেটের ধ্বংসাত্মক প্রভাব থেকে মুক্তি লাভ করায় আপনি স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছেন। বাস্তবে এ ঘটনা ঘটলে যে আনন্দ-অনুভূতি হতো, সবগুলো ইন্দ্রিয় দিয়ে আপনি তা অনুভব করুন। পূর্ণ আবেগ দিয়ে আপনার ধূমপানমুক্ত সত্তার সাথে নিজেকে সম্পৃক্ত করুন।
৪. নিয়মমাফিক হিলিং সেন্টার ও মনের বাড়ি থেকে স্বাভাবিক জাগ্রত অবস্থায় ফিরে আসুন।
একনাগাড়ে ৪০ দিন এ অনুশীলন করে যান। এ পর্যন্ত যারাই এটি অনুশীলন করেছেন—দেখা গেছে, ধূমপানের প্রতি তাদের আগ্রহ কয়েকদিনের মধ্যেই কমতে শুরু করেছে।
এ-ছাড়াও ধোঁয়া জাতীয় ড্রাগে কারো আসক্তি থাকলে তারাও একই প্রক্রিয়া অনুসরণ করতে পারেন। একই ছবি অবলোকন করুন। আপনার শরীরই একসময় ড্রাগ প্রত্যাখ্যান করবে।
লেখাটি ডা. মনিরুজ্জামান ও ডা. আতাউর রহমান এর লেখা এনজিওপ্লাস্টি ও বাইপাস সার্জারি ছাড়াই ‘হৃদরোগ নিরাময় ও প্রতিরোধ’ শীর্ষক বই থেকে নেয়া।
আরকে//