ঢাকা, রবিবার   ১৯ জানুয়ারি ২০২৫

মৌলভীবাজারে ছুরিকাঘাতে যুবদল নেতাকে খুন

মৌলভীবাজার প্রতিনিধি

প্রকাশিত : ১৪:৩৩, ১৯ জানুয়ারি ২০২৫ | আপডেট: ১৪:৩৫, ১৯ জানুয়ারি ২০২৫

মৌলভীবাজারের বড়লেখায় ছুরিকাঘাতে এক যুবদল নেতাকে হত্যা করা হয়েছে। আসামি ধরতে অভিযানে নেমেছে পুলিশের একাধিক টিম।

শনিবার রাতে উপজেলার সুজানগরের বাড্ডা জহিরগঞ্জ বাজারে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত নোমান আহমদ (২৮) বড়লেখা সুজানগর ইউনিয়নের এক নম্বর ওয়ার্ড যুবদলের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।

সুজানগর ইউনিয়ন যুবদলের আহ্বায়ক সাবুল আহমদ জানান, শনিবার রাতে উপজেলার সুজানগরের বাড্ডা জহিরগঞ্জ বাজারে তাকে উপর্যুপুরি ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায় দুই যুবক। নিহত নোমান উপজেলার সুজানগর ইউনিয়নের রাঙ্গিনগর গ্রামের লেচু মিয়ার ছেলে। নোমান দীর্ঘদিন ধরে যুবদলের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন। 

তিনি বলেন, তারা জানতে পেরেছেন তাকে হত্যা করেছে মারজান আহমদ গং।

সুজানগর ইউনিয়নের এক নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আব্দুস শহীদ জানান, শনিবার রাতে নোমান উপজেলার বাড্ডা বাজারে দাঁড়িয়ে ছিলেন। এসময় হঠাৎ মোটরসাইকেল যোগে দুই যুবক এসে নোমানের বুকে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করতে থাকে। 

এ সময় তার চিৎকারে মানুষজন আসার পূর্বে ঘাতকরা দ্রুত পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা নোমানকে গুরুতর আহত অবস্থায় প্রথমে উপজেলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং পরে সিলেট ওসমানী হাসপাতালে নেওয়া হয়।

সিলেট ওসমানী হাসপাতালে পৌঁছার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তবে কী কারণে নোমানকে ছুরিকাঘাত করা হয়েছে, তা এখনও সঠিকভাবে জানা যায়নি।

ইউপি সদস্য শহীদ আরও বলেন, পালিয়ে যাওয়া দুই যুবককে এলাকাবাসী চিনেছেন। এদের একজন সুজানগর ইউনিয়নের দশঘরি গ্রামের সবির মিয়ার ছেলে মারজান আহমদ ও অপরজন একই ইউনিয়নের কালাইউরা গ্রামের আব্দুস শহীদের ছেলে রেহান আহমদ।

বড়লেখা থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) জহিরুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে রাতেই আমরা ঘটনাস্থলে যাই। লেনদেন সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে নোমানকে অভিযুক্তরা ছুরিকাঘাত করতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। এছাড়া হত্যার পেছনে অন্য কোনো কারণ আছে কিনা সেটি নিয়েও তদন্ত চলছে বলে জানান তিনি।

এ ব্যপারে বড়লেখা থানা অফিসার ইনচার্জ মো. আব্দুল কায়ূম জানান, ধারণা করা হচ্ছে পূর্বশত্রুতার জেরে তাকে হত্যা করা হয়েছে। নোমান ইউরোপে যাওয়ার জন্য চেষ্টা করছিলেন ও মাঝেমধ্যে তিনি সিএনজি অটো চালাতেন এবং পারিবারিক কৃষি কাজও করতেন।

তিনি জানান, নোমানের পরিবার থেকে এখনও কোন এজহার আসেনি। লাশ এখনো সিলেটে রয়েছে। তবে এজহার না আসলেও আসামি ধরতে মাঠে কাজ করছে পুলিশের একাধিক টিম।

এএইচ


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি