ঢাকা, সোমবার   ০৬ মে ২০২৪

ম্যান্ডেলার স্মরণসভায় ওবামার ৫ উক্তি 

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ২০:৪৬, ১৮ জুলাই ২০১৮

আজ বুধবার নেলসন ম্যান্ডেলার মরনত্তোর ১০০-তম জন্মদিন। আফ্রিকার এই অবিসংবাদিত নেতার জন্মদিনে দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানেসবার্গে আয়োজিত এক স্মরণসভায় বক্তব্য দেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। তাঁর বক্তব্যে বর্তমান মার্কিন প্রশাসনের বিষয়ে খানিকটা সমালোচনাও বেরিয়ে আসে। অনুষ্ঠানে বলা বারাক ওবামার গুরুত্বপূর্ণ পাঁচ উক্তি থাকছে এই প্রতিবেদনে।   

১) বিষয় গুরুত্বপূর্ণ

“আপনাকে বিষয়টির ওপর বিশ্বাস রাখতে হবে। বিষয় ছাড়া সাহায্যের কোন ভিত্তি নেই। আমি যদি বলি যে, এটা একটা মঞ্চ আর আর আপনারা যদি বলেন এটা হাতি তাহলে একে অপরকে সহায়তা করা আমাদের দুই পক্ষের জন্যই কঠিন হয়ে পরবে”।

ওবামা বলেন, “প্যারিস সম্মেলনে যারা বৈশ্বিক আবহাওয়া পরিবর্তন নিয়ে দ্বিমত পোষণ করেন তারা যদি সাধারণ বিষয়গুলোতে আলোকপাত করতেন তাহলে এমনটা করতেন না”।

প্যারিস চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে বের করে আনতে চান বর্তমান মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তার প্রতি ইঙ্গিত করে ওবামা আরও বলেন, “আমি কোন যুক্তি খুঁজে পাই না যখন কেউ একজন বলে যে, পৃথিবীর জলবায়ু, আবহাওয়া পরিবর্তিত হচ্ছে না যখন পুরো বিশ্বের প্রায় সব বিজ্ঞানী বলছেন যে, এটা হচ্ছে। আপনি যদি শুরুতেই একধরনের গোঁ ধরে থাকেন তাহলে আমরা আলোচনা কীভাবে শুরু করব?”

২) ইমিগ্রেশন একটা শক্তি 

বারাক ওবামা বলেন, সবার প্রতি সমান বিচারের মাধ্যমে আমরা এমন এক সমাজ গঠন করতে পারি যা এমন একটি সমাজ গঠন করতে পারে যেখানে মানুষদের গুণ ও শক্তির বহিঃপ্রকাশ ঘটবে।

এসময় ফ্রান্স ফুটবল দলের বিশ্বকাপ জয়ের সূত্র টেনে তিনি বলেন, “ফ্রেঞ্চ ফুটবল দলের দিকে দেখেন। দলের সবাইকে দেখে কিন্তু ফ্রান্সের আদিবাসী মনে হয় না। কিন্তু তারা সবাই ফ্রেঞ্চ”। 

“কিন্তু এটা নিরেট সত্য যে, যুক্তরাষ্ট্রে এখনও বর্ণবৈষম্য দেখা যায়”-মন্তব্য ওবামা’র।

৩) ধনকুবেররা সাধারণ মানুষদের থেকে দূরে থাকে

বারাক ওবামা বলেন যে, বিশ্বের ধনী ব্যক্তিরা জনবিচ্ছিন্ন। তিনি বলেন, “ব্যবসায়িক লেনদেন করতে গিয়ে, অনেক ধনকুবেরই জাতীয় জীবন থেকে বিচ্ছিন্ন। তারা এমন এক নিঃসঙ্গ জীবন যাপন করেন যা সাধারণ মানুষদের থেকে অনেকখানি দূরে।

৪) মৌখিক গণতন্ত্র!

বারাক ওবামা দাবি করেন যে, বর্তমান সময়ে গণতন্ত্র অনেকটা মুখের ভাষাই হয়ে রয়েছে। রাজনীতিবীদেরা তাদের স্বার্থ চরিতার্থে ‘ভয়, বিরক্তি এবং জনগণকে দূরে রাখার মতো রাজনৈতিক ভাষা’ ব্যবহার করেন।

তিনি বলেন, “গণতন্ত্র একটি ‘হযবরল’ ধারণা। তবে এর জন্য একনায়কতন্ত্রকে সমর্থন করা ভুল সিদ্ধান্ত”।

“এখন আমাদের জন্য সময় এসেছে যে, আমরা শুধু পৃথিবীর রাজধানীগুলোর দিকে মনযোগ দেওয়া বন্ধ করি এবং একদম প্রান্তিক পর্যায়ের উন্নয়ন নিয়ে চিন্তা করি। কারণ সেখান থেকেই সত্যিকার গণতন্ত্রের সূত্রপাত হয়”-বলেন ওবামা।

৫) বেঁচে থাকতে আশা বাঁধুন

“বিশ্বাস রাখুন। সামনে এগিয়ে যান। তৈরি করতে থাকুন। নিজের আওয়াজ বাড়াতে থাকুন। প্রতিটি প্রজন্মের ক্ষমতা আছে পৃথিবীকে নতুন করে সাজানোর”-বক্তব্যের শেষ দিকে এসে বলেন বারাক ওবামা।

তিনি বলেন, “আমাদের শুধু একজন নেতা হলে হবে না। আমাদের সম্মিলিত প্রচেষ্টা দরকার। ম্যান্ডেলা বলতেন যে, যুবক মানুষেরা জেগে উঠতেন তখন তারা শোষণের দেয়াল ভেঙ্গে সেখানে স্বাধীনতার পতাকা ঝুলিয়ে দিতে পারে। এখনই দারুণ এক সময় এমন জেগে ওঠার”। 

জোহানেসবার্গে প্রায় ১৫ হাজার দর্শকের সামনে এই বক্তব্য দেন শান্তিতে নোবেল বিজয়ী বারাক ওবামা।

সূত্রঃ বিবিসি

//এস এইচ এস//এসি   

       


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি