ঢাকা, মঙ্গলবার   ২৬ নভেম্বর ২০২৪

ম্যাপড ইন বাংলাদেশে ৩৬৩০ পোশাক কারখানার তথ্য

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৭:৩১, ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২২ | আপডেট: ২৩:২৮, ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২২

দেশজুড়ে কারখানা শুমারির মাধ্যমে ২০২২ সালের জানুয়ারি মাস পর্যন্ত ৩,৬৩০টি রপ্তানিমুখী তৈরি পোশাক কারখানার তথ্য ম্যাপড ইন বাংলাদেশ (এমআইবি)-এর ডিজিটাল ম্যাপের আওতায় এসেছে। 

ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার ফর অন্ট্রেপ্রেনরশিপ ডেভেলপমেন্ট (সিইডি) এই পাঁচ বছর মেয়াদী প্রকল্পটির বাস্তবায়নের কাজ করছে, যা ব্র্যাক-এর তত্ত্বাবধানে পরিচালিত হচ্ছে এবং এমআইবি প্রকল্পটি লডেস ফাউন্ডেশন এবং নেদারল্যান্ডস সরকারের আর্থিক সহায়তা প্রাপ্ত। বাংলাদেশ গার্মেন্টস অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিজিএমইএ) এবং বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারারস অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিকেএমইএ) প্রকল্পের কৌশলগত অংশীদার (স্ট্র্যাটেজিক পার্টনার) হিসেবে কাজ করছে এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের অধীনে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর (ডিআইএফই/উওঋঊ) প্রকল্পটিতে প্রয়োজনীয় কৌশলগত সহায়তা প্রদান করছে। 

এমআইবি’র উদ্দেশ্য হল, দৃঢ়ভাবে তথ্য যাচাইকরণের এবং তথ্যের সত্যতা সমর্থনের বিধিমালা অনুসরণ করে, এই সেক্টরের সকল অংশীদারদের পোশাক কারখানাগুলোর সঠিক, বিশ্বাসযোগ্য এবং হালনাগাদ করা তথ্য প্রদান করা যাতে আরও বেশি দক্ষতা, উৎপাদনশীলতা, জবাবদিহিতা এবং স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা যায়। 

ডিজিটাল ম্যাপিং এর মাধ্যমে অর্জিত পোশাক কারখানার ডাটাবেইজ দিয়ে এমআইবি এখন পর্যন্ত বিভিন্ন গবেষণা করেছে। ম্যাপড ইন বাংলাদেশের গবেষকরা সাম্প্রতিক একটি প্রকাশনায় দেখিয়েছেন যে, দেশের ৩ হাজার ২১২টি রপ্তানিমুখী তৈরি পোশাক কারখানায় ২৫ লাখ ৬৫ হাজার ৭৬১ জন শ্রমিকের মধ্যে ৪২ শতাংশ পুরুষ শ্রমিক এবং ৫৮ শতাংশ নারী শ্রমিক। এছাড়া মহামারী চলাকালীন সময়ে ২০২০ সালের জুন মাসে এমআইবি ডাটাবেজ থেকে তথ্য নিয়ে ২ হাজার ৩৩৪ টি কারখানার সাথে যোগাযোগ করে পরিচালিত তড়িৎ জরিপে জানা যায়, মহামারীর সময়ে বিকেএমইএ ও বিজেএমইএ এর সদস্যপদ থাকা কারখানাগুলো উৎপাদন ক্ষমতার ৭০.৫৫ শতাংশ ব্যবহারে সক্ষম ছিল, যেখানে সদস্যপদবিহীন কারখানার এই সক্ষমতা ছিল ৫৯.৮৩ শতাংশ। 

ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার ফর অন্ট্রেপ্রেনরশিপ ডেভেলপমেন্ট (সিইডি)-এর উপদেষ্টা ও ম্যাপড ইন বাংলাদেশ (এমআইবি) প্রকল্পের দলনেতা অধ্যাপক ড. রহিম বি তালুকদার জানান, “আমাদের পোশাক শিল্পে এমন অনেক কারখানা অবদান রাখছে যারা বিজিএমইএ এবং বিকেএমইএ-এর মতো বাণিজ্য সংগঠনের সদস্য নয়। এই সদস্যপদবিহীন কারখানাগুলোরও রপ্তানি খাতে এবং দেশের অর্থনীতিতে অবদান রয়েছে।”

৫৫৫টি সদস্যপদবিহীন পোশাক কারখানার নমুনা নিয়ে এমআইবির একটি ত্বরিত জরিপে দেখা যায়, দেশে করোনাকালীন অতিমারির শুরুর সময়ে এ কারখানাগুলোয় ৮৬,৬৯৭ জন শ্রমিক নিয়োজিত ছিলেন এবং এ সকল কারখানা হতে ছাঁটাই হয়েছে ৫৮,০০০ জন শ্রমিক যা কিনা কারখানা প্রতি ২২৬ জন শ্রমিক। 

ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার ফর অন্ট্রাপ্রেনরশিপ ডেভেলপমেন্টের (সিইডি) যুগ্ন পরিচালক ও ম্যাপড ইন বাংলাদেশ (এমআইবি) প্রকল্পের লিড অপারেশন্স অফিসার মিস আফসানা চৌধুরী বলেন, “একদিকে যেমন এমআইবি ডাটাবেজের তথ্য নিয়ে অধিকতর গবেষণা করার সুযোগ রয়েছে, অন্যদিকে এই তথ্য সরকারের নীতিমালা গঠনে ও পোশাক খাত নিয়ে বিভিন্ন উন্নয়ন কার্যক্রমের পরিকল্পনায় ব্যবহার করা যেতে পারে।”

ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার ফর অন্ট্রাপ্রেনরশিপ ডেভেলপমেন্টের (সিইডি) যুগ্ন পরিচালক ও ম্যাপড ইন বাংলাদেশ (এমআইবি) প্রকল্পের লিড অপারেশন্স অফিসার মিস আফসানা চৌধুরী বলেন, “একদিকে যেমন এমআইবি ডাটাবেজের তথ্য নিয়ে অধিকতর গবেষণা করার সুযোগ রয়েছে, অন্যদিকে এই তথ্য সরকারের নীতিমালা গঠনে ও পোশাক খাত নিয়ে বিভিন্ন উন্নয়ন কার্যক্রমের পরিকল্পনায় ব্যবহার করা যেতে পারে।”  

আরকে//


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি