মৎস্যজীবীদের জাতীয় সম্মেলনে ৫ দফা দাবি
প্রকাশিত : ২০:০৩, ৩ জানুয়ারি ২০১৮
পাঁচ দফা দাবিতে অনুষ্ঠিত হলো বাংলাদেশ ক্ষুদ্র মৎস্যজীবী জেলে সমিতির ‘৯ম জাতীয় সম্মেলন-২০০৮’। রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত সম্মেলনে সরকারের কাছে এ দাবি জানানো হয়।
বাংলাদেশ ক্ষুদ্র মৎস্যজীবী জেলে সমিতির সভাপতি ইসরাইল পণ্ডিতের সভাপতিত্বে সম্মেলনে বিশেষ অতিথি হিসেবে সংসদ সদস্য মীর শওকত আলী বাদশা, বীর মুক্তিযোদ্ধা একে এম এ আউয়াল, পঙ্কজ নাথ, অ্যাড. টিপু সুলতান প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
সম্মেলনে সমিতির লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, মৎস্য সম্পদ ও মৎস্যজীবী জেলেদের রক্ষায় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে মৎস্য বিভাগ প্রচেষ্টা চায়িয়ে যাচ্ছে, কিন্তু কিছু কুচক্রী মহলের চক্রান্তের কারণে তা বাস্তবায়ন হচ্ছে না। তাই কুচক্রীদের সব চক্রান্ত রুখে দিয়ে প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমাদের ৫ দফা দাবি তুলে ধরা হলো। মা ইলিশ, ঝাটকা, ছোট মাছ ও বিভিন্ন অভয় আশ্রম রক্ষাকালীন সময় প্রতি জেলে পরিবারকে প্রতি মাসে ৬০ কেজি করে চাল ৬ মাস ও দুই হাজার করে টাকা প্রতিমাসে দিতে হবে। জলমহলের গডফাদারদের উচ্ছেদ করে সব জলমহলের অধিকার জেলে সমিতির হাতে দিতে হবে। জলমহলের মোহনা খনন করতে হবে। ভিজিএফ কার্ড বিতরণে অনিয়ম বন্ধ করতে হবে। জেলে প্রতিনিধি ছাড়া জেলেদের কোনো তালিকা বা মাস্টার রোল গ্রহণ করা যাবে না। জেলেদের জীবনবীমা ও মৃত্যু পরবর্তী প্রতি পরিবারকে ৩ লাখ টাকা দিতে হবে। জাল পোড়ানোসহ বিভিন্ন কারণে ক্ষতিগ্রস্থ জেলে পরিবারকে পুনর্বাসন করতে হবে।
এতে সংসদ সদস্য মীর শওকত আলী বাদশা বলেন, দেশের ক্ষুদ্র মৎস্যজীবী জেলেদের ভাগ্যের উন্নয়নে বর্তমান সরকার খুবই আন্তরিক। বাংলাদেশ ক্ষুদ্র মৎস্যজীবী জেলে সমিতি দেশের জেলেদের উন্নয়নে যেসব দাবি উত্থাপন করেছে সেগুলো যাচাই-বাছাই সাপেক্ষে সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে সরকার তা বিবেচনায় নিবে বলে আমি আশা করি। আমার বিশ্বাস সরকার জেলেদের যৌক্তিক দাবি পূরণে পিছিয়ে থাকবে না।
সম্মেলনে বাংলাদেশ ক্ষুদ্র মৎস্যজীবী জেলে সমিতির সাধারণ সম্পাদক এর এক লিখিত বক্তব্যে বিদায়ী বছরে সমিতির বিভিন্ন কার্যক্রমের প্রতিবেদন তুলে ধরা হয়। প্রতিবেদনে বলা হয়, গত বছর সমিতিরি ১২টি কার্যনির্বাহী পরিষদের সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে যেসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে তার আংশিক বাস্তবায়ন হয়েছে। বাকি সব বাস্তবায়নের চেষ্টা চলছে। সমিতির কেন্দ্রীয় কমিটির নেতারা ৪৭ জেলা, ৮৬টি উপজেলা, ১০৫টি ইউনিয়নের মৎস্যজীবী জেলে সদস্যদের বিভিন্ন সমস্যা নিরসনে মৎস্য আইন জাটকা সহ বিভিন্ন প্রজাতির মা মাছ, ছোট মাছ সংরক্ষণে আলোচনা সভা করে সিদ্ধান্তগুলো বাস্তবায়নে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে পাঠিয়েছে।
আরকে/টিকে
আরও পড়ুন