ময়মনসিংহে ৩ ছাত্রী ধর্ষণের শিকার
প্রকাশিত : ১০:১৭, ১ অক্টোবর ২০১৭ | আপডেট: ১৫:১২, ১ অক্টোবর ২০১৭
প্রতিকী ছবি
ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ ও নান্দাইল উপজেলায় তিন ছাত্রী ধর্ষণের শিকার হয়েছে। এর মধ্যে একজন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের (১২), একজন মাদরাসার (১৫) ও আরেকজন কলেজছাত্রী (১৮)।
নান্দাইলে ধর্ষণের ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। তবে নান্দাইল ও ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার অন্য দুই ঘটনায় সালিস হয়েছে। আজ রোববারের মধ্যে অভিযুক্ত দুই ধর্ষককে ওই দুই ছাত্রীকে বিয়ে করতে বলা হয়েছে। তা না হলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেছেন সালিসকারীরা।
নান্দাইলের ধর্ষণের শিকার কলেজছাত্রী জানিয়েছেন, তিনি স্থানীয় একটি কলেজে উচ্চ মাধ্যমিক দ্বিতীয় বর্ষে পড়ছেন। বছরখানেক আগে উপজেলার চণ্ডীপাশা গ্রামের আবদুর রহমানের ছেলে মোস্তাফিজুর রহমান ওরফে রাব্বির (২১) সঙ্গে তাঁর পরিচয় হয়। মোস্তাফিজুর রাজধানীর একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ছে। একপর্যায়ে বিয়ের কথা বলে মোস্তাফিজুর ওই ছাত্রীকে একাধিকবার ধর্ষণ করে। শুক্রবার রাতে মোস্তাফিজুর ওই ছাত্রীর বাড়িতে যায়। তখন ছাত্রী তাঁকে বিয়ে করতে বললে মোস্তাফিজুর বেকে বসেন।
পরে এলাকার লোকজন মোস্তাফিজুরকে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। ওই ছাত্রীকেও পুলিশ হেফাজতে দেয় এলাকাবাসী। তবে পুলিশ অভিযুক্তের বিরুদ্ধে আপাতত ব্যবস্থা না নিয়ে বিয়ে করতে সময় দিয়েছে।
অভিযুক্ত ধর্ষককে হেফাজতে পেয়েও আটক বা গ্রেফতার না করার ব্যাপারে জানতে চাইলে নান্দাইল থানার ওসি ইউনূস আলী বলেন, ধর্ষণের শিকার কলেজছাত্রী ও অভিযুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রকে তাদের নিজ নিজ পরিবারের জিম্মায় দেওয়া হয়েছে। আজকের মধ্যে ফয়সালা না করলে মামলা হবে।
নান্দাইল পৌরসভা এলাকার একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণের ঘটনায় থানায় মামলা করেছেন ছাত্রীর বাবা।
মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে, ওই ছাত্রীর প্রতিবেশী যুবক বাদল মিয়া (২২) গাজীপুরে একটি পোশাক কারখানার কর্মী। কোরবানির ঈদের কয়েক দিন পর বাদল মিয়া ওই ছাত্রীকে বাড়িতে ডেকে নিয়ে ধর্ষণ করে। তখন ঘটনাটি প্রকাশ করে দেওয়ার কথা জানালে বাদল ওই ছাত্রীকে বিয়ে করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে কর্মস্থলে চলে যায়।
সম্প্রতি ঘটনাটি জেনে ওই ছাত্রীর বাবা গত শুক্রবার মেয়েকে নিয়ে থানায় গিয়ে বাদল মিয়াকে অভিযুক্ত করে মামলা করেন।
//এআর
আরও পড়ুন