যশোরে দৃষ্টি কেড়েছে ‘বয়কট’ আন্দোলন
প্রকাশিত : ১০:৫৪, ১৬ মার্চ ২০২৪
অতিরিক্ত দামের পণ্য বর্জন করে মুনাফাখোরদের রুখে দিতে যশোরে ব্যতিক্রমী উদ্যোগ নিয়ে এগিয়ে এসেছে যশোর নাগরিক সংঘ (যনাস) নামে একটি সংগঠন। সংগঠনটির উদ্যোগে চড়া দামে বিক্রি হওয়া সকল পণ্য বয়কটের জন্য ভোক্তাদের মধ্যে সচেতনতা তৈরিতে প্রচারণা চালানো ও বিকল্প পণ্য কিনতে আহ্বান জানানো হচ্ছে।
এ বিষয়ে যনাসের পক্ষ থেকে লিফলেট বিতরণ, মাইকিং ও পথসভা কর্মসূচি চলছে। যা অব্যাহত থাকবে পুরো রমজান মাস জুড়ে।
যশোর নাগরিক সংঘ (যনাস)র উদ্যোগে সম্প্রতি প্রেসক্লাবের সামনে থেকে মাইকিং ও গণসংযোগ চালানো হয়। দিনভর প্রচারণায় পেঁয়াজ, গরুর মাংস, তরমুজ, সয়াবিন তেল, চিনি, খেজুর, আলু, রুহ আফজাসহ যেসব পণ্যের দাম বেড়েছে সেগুলো বয়কটের আহ্বান জানানো হয় এ সংগঠনের পক্ষ থেকে।
মাইকিংয়ে সয়াবিন তেলের দাম ১০০ টাকা, চিনি ৬০ টাকা, খেজুর ১৫০ টাকা, রুহ আফজা ২০০ টাকা, পেঁয়াজ ৪০ টাকা, আলু ২০ টাকা এবং গরুর মাংস ৫০০ টাকা নির্ধারণের দাবি জানানো হয়। দাবি না মানলে এসব পণ্য বর্জনের ডাক দেওয়া হয়েছে যনাসের পক্ষ থেকে।
আগামীতে সচেতনতা তৈরিতে অব্যাহতভাবে সংগঠনটির পক্ষ থেকে লিফলেট বিতরণ, মাইকিং ও পথসভা করার বিষয়ে জানানো হয়েছে।
এ বিষয়ে যশোর নাগরিক সংঘের সদস্য সালমান হাসান রাজীব বলেন, ‘মানুষ মেনে নিচ্ছে বলেই এমন অনিয়ম চলছে। সবাই যদি একযোগে বাড়তি দামের পণ্য বর্জন শুরু করে তাহলে সিন্ডিকেটগুলোর কারসাজি বন্ধ হবে। বন্ধ হবে তাদের মুনাফা। আমরা কেন এটা করছি না, এটা করা প্রয়োজন। তাহলেই এসব সিন্ডিকেট বন্ধ হয়ে যাবে।’
যশোর নাগরিক সংঘের সমন্বয়ক আলী আযম টিটো বলেন, যখনই কোনো পণ্যর দাম বাড়ে ভোক্তারা তার দাম আরও বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কায় বেশি করে কিনতে থাকেন। এভাবে বাজার ব্যবস্থাটায় সিন্ডিকেটগুলোর হাতে চলে গেছে। এ সিন্ডিকেট ভাঙা প্রয়োজন। আর তা করতে গেলে ওই পণ্যটি কেনা যাবে না, যার দাম বেশি রাখা হচ্ছে। বিকল্প অনেক পণ্য আছে, আর সেগুলো দিয়েও কিন্তু দৈনন্দিন খাবারের চাহিদা ও পুষ্টির ঘাটতি পূরণ সম্ভব।
তিনি বলেন, আমরা সচেতনতা তৈরির কাজটি ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরকে সাথে নিয়ে করতে চাই। প্রশাসনকে আমাদের পাশে চাই। সবার সহযোগিতা নিয়ে আমরা আগামীতে আরও কর্মসূচি নিয়ে এগিয়ে যাবো। পুরো রমজান মাস জুড়ে লিফলেট বিতরণ, মাইকিং ও পথসভা কর্মসূচি চলবে।
এএইচ
আরও পড়ুন