যাত্রী ভোগান্তি কমছে না শাহজালালে (ভিডিও)
প্রকাশিত : ১২:১৮, ১১ জানুয়ারি ২০২২
নানা উদ্যোগেও হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিশৃঙ্খলা ও যাত্রী ভোগান্তি কমছে না। একজন যাত্রীকে ৮ থেকে ৯ ঘণ্টারও বেশি সময় এয়ারপোর্টে থাকতে হচ্ছে। বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী বলেছেন, যাত্রীসেবা বাড়াতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে সরকার।
বেশ কিছুদিন ধরেই শাহজালাল আর্ন্তজাতিক বিমানবন্দরে যাত্রী হয়রানি চরম আকার ধারণ করেছে। তৃতীয় টার্মিনাল নির্মাণ কাজের জন্য প্রতিদিন ৮ ঘণ্টা করে ফ্লাইট অপারেশন বন্ধ আছে বিমানবন্দরে। যা চলবে আগামী মে মাস পর্যন্ত। এরফলে যাত্রীদের অতিরিক্ত চাপে ভোগান্তি বেড়েছে এয়ারপোর্টে।
একইসঙ্গে মধ্যপ্রাচ্যগামী যাত্রীদের বিমানবন্দরে করোনা টেস্ট করতেও অনেক সময় ব্যয় হচ্ছে। ফলে একজন যাত্রীকে এয়ারপোর্টে থাকতে হচ্ছে ৮ থেকে ৯ ঘণ্টারও বেশি সময়। বিমানবন্দরে নেমে লাগেজ পেতে সময় লেগে যায় ২ থেকে ৩ ঘণ্টা।
ভোগান্তির বিষয়ে এয়ারলাইন্সগুলো বলছে, ২৪ ঘন্টার কার্যক্রম ১৬ ঘণ্টায় করলে মান নিয়ে প্রশ্ন উঠবেই। এমন একটি সিদ্ধান্ত নেয়ার আগে সামর্থ নিয়ে আগে ভাবা উচিত ছিলো বলেও জানান এই কর্মকর্তা।
ইউএস বাংলার মহাব্যবস্থাপক (জনসংযোগ) কামরুল ইসলাম বলেন, ‘শতভাগ সার্ভিস চালু রেখে ৮ ঘণ্টা কমিয়ে দিবেন, তার মানে ২৪ ঘণ্টার সার্ভিস আপনাকে ১৬ ঘণ্টায় দিতে হবে। এই লোডটা নেয়ার মতো উপযুক্ত ছিল কিনা এয়ারপোর্ট। সেই জায়গাটায় প্রেসার পড়েছে।’
এয়ারপোর্টের বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি নিয়ে বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী বলেন, যাত্রীদের ভোগান্তি রোধে সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাচ্ছে সরকার।
বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মোঃ মাহবুব আলী বলেন, যত দ্রুত সম্ভব ইমিগ্রেশন করা যায় সেজন্য আমি নিজেও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহোদয়ের কাছে জানিয়েছি। যে ৪৮টি ডেক্স আছে, অন্তত আরও ২০টি বাড়িয়ে দেয়ার জন্য। আরটিপিসিআর করতে গিয়ে যাত্রীদের সাময়িক অসুবিধা হচ্ছে, এগুলো দূর করার জন্য আমরা সর্বাত্মক চেষ্টা করছি।
ভোগান্তি জন্য দুঃখ প্রকাশ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, রাতারাতি সক্ষমতা বাড়ানো সম্ভব না।
এএইচ/