যুক্তরাষ্ট্রের ডালাস-হিউস্টনে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
প্রকাশিত : ১২:০৫, ১০ মে ২০২৪ | আপডেট: ১২:৪১, ১০ মে ২০২৪
যুক্তরাষ্ট্রের শিল্প-সাহিত্য তখন এতোটা অর্থনীতিকেন্দ্রিক হয়নি; নামজাদা কবি সাহিত্যিক দেশটিতে গেলে বিশেষ সমাদার পেতেন। পারস্পরিক আলোচনা হতো শিল্প ও জীবনের সৌন্দর্যতত্ত্ব নিয়ে। বক্তৃতায় উঠে আসতো বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে শান্তির দর্শনসহ সমসাময়িক ইস্যু। কবি আর তাত্ত্বিকদের ঘিরে ঘরোয়া সংসদ, সামাজিক সভা আর কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাবগুলোতে হৈ চৈ লেগেই থাকতো। আলোচক হতেন প্রশংসিত, পত্রপত্রিকায় ফলাও করে খবরও প্রকাশ হতো। অথচ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জুটেছিল অসম্মান, হয়েছিলেন কটাক্ষের শিকার। বলছিলাম, তৃতীয়দফায় বিশ্বকবির আমেরিকা সফরের আদ্যোপান্ত। সময় ১৯২০ সালের অক্টোবর থেকে ১৯২১ সালের ফেব্রুয়ারি।
২৯ অক্টোবর নিউ ইয়র্কের ‘হোটেল অ্যালকুইন’ এ ওঠার পর থেকে অনাদর, অবজ্ঞা ও অম্লমধুর অভিজ্ঞতার কারণে নিউ ইয়র্ক ছেড়ে কবি পাড়ি জমিয়েছিলেন টেক্সাসে। যেখানে কিছুটা হলেও স্বস্তির সন্ধান পেয়েছিলেন নোবেলজয়ী। ১২ ফেব্রুয়ারি ১৯২১। কবির কাছে অন্য দু’বারের মতো লাগেনি মার্কিনিদের। ১৯১৩ সালে নোবেল পাওয়ার পর দ্বিতীয়বার যখন যুক্তরাষ্ট্রে পৌঁছেছিলেন তখন ২৫ টি শহরে তাঁকে বক্তৃতা করতে হয়েছিল। প্রত্যেকবার সম্মানী মিলেছিল ৭০০ থেকে ১০০০ ডলার। আলাস্কা থেকে বোস্টন কিংবা লসএঞ্জেলস হতে নিউ জার্সি-সবখানেই তখন রবীন্দ্র উন্মাদনা। নিউ ইয়র্কে সাংবাদিকদের বলেই বসলেন ‘আমেরিকার এখন যৌবন। পশ্চিমাসভ্যতা ও মানবতার বিকাশ এখানেই ঘটবে।’ সফরটি মারাত্মকভাবে সফল হওয়ায় কবি শান্তিনিকেতনের জন্য আরও বেশি তহবিল যোগার করতে মরিয়া হন এবং যার ক্ষেত্র হিসেবে আমেরিকাকে মনে করেছিলেন।
কবির এ আশায় ছন্দপতন ঘটে ১৯২০ এ। জোটেনি কাঙ্খিত আদর-আত্তি। যা আশা করেছিলেন তার চেয়ে অধিক মন:কষ্ট পেলেন। নিউ ইয়র্কে ধনীদের কাছে হাত পেতেও নিরাশ হলেন নোবেল লরিয়েট। ধনী শিল্পপতিদের মনোযোগ আকর্ষণের চেষ্টা করে ব্যর্থ হন। এমনকি আমেরিকার বিজনেস টাইকুন জন পিয়ারপন্ট মরগান (১৭ এপ্রিল ১৮৩৭-৩১ মার্চ ১৯১৩) বা জে.পি. মরগানের প্রতিষ্ঠান সমীপে সহায়তা চেয়েও কাক্সিক্ষত ফল পান নি।
জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহ থেকে ১০ তারিখ পর্যন্ত নিউ ইয়র্ক ও আশপাশে সাহিত্যবোদ্ধাদের নিমন্ত্রণ রক্ষা করেন কবি। বক্তৃতা-ভাষণে ‘এডুকেশন ইন ইন্ডিয়া’ কিংবা প্রায় অভিন্ন ছোট ছোট প্রবন্ধ পাঠ করেন। নিউ ইয়র্ক স্টেটের ধনীদের কাছে হৃদয়গ্রাহী হলো না তাঁর বক্তৃতা। বিশেষ করে ধনাঢ্য নারীদের অসৌজন্যমূলক আচরণ কবিকে ক্রমাগত ক্ষুব্ধ করে তোলে। বিশ্বকবির কাছে আমেরিকা ধরা দিলো অচেনা-অজানা এক ভিঁনদেশ হয়ে। চেনা মানুষগুলোকেও তাঁর চিনতে কষ্ট হচ্ছিল। যা তিনি প্রকাশও করেছেন তাঁর সম্মানে দেয়া বিদায়ী ডিনার পার্টিতে। যেটির আয়োজক ছিল পোয়েট্রি সোসাইটি। সে আড্ডায় ক’দিন ধরে সঞ্চিত তিক্ত অভিজ্ঞতা গরল মনে করে ঢেলে দেন কবি। সম্বর্ধনাসভায় তাঁর এমন বক্তৃতা অনেকের কাছেই কাঙিক্ষত ছিল না। কবিকে জার্মান এজেন্ট হিসেবে চিহ্নিত করে যে সকল উদ্ভট ও অনাকাঙ্খিত গল্প বানানো হয়েছিল তাও উল্লেখ করেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। তাঁর প্রতি বিরূপ আচরণসমূহ অভিযোগের মতো করে উত্থাপন করেন ভোজসভায়।
আগের দু’বার কবিকে যেভাবে গ্রহন করেছিল আমেরিকা তৃতীয় সফরে ছিল তার উল্টো। কারণ ১৯১৬ সালের পর যুক্তরাষ্ট্রে ম্লান হতে বসেছিল রবীন্দ্র উন্মাদনা। বিশ্বরাজনীতিতে পরিবর্তন আসায় আমেরিকা তখন ব্রিটেনের অন্যতম বন্ধুরাষ্ট্র। ইতোমধ্যে ইংরেজদের দেয়া নাইট উপাধি ছুঁড়ে ফেলায় খোদ আমেরিকানরাও রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ওপর বিশেষভাব ক্ষুব্ধ ছিল। কবিকে ঘিরে অনুষ্ঠানসমূহের বেশিরভাগই ছিল খাপছাড়া-নিরস কিংবা দায়সারা। তাঁকে ঘিরে শিল্পবোদ্ধাদের টানাটানি খুব একটা ছিল না। যে কারণে নিউ ইয়র্কে পৌঁছে কবিকে হোটেলে উঠতে হয়। আগের দু’বারে আহ্লাদিত কবি তৃতীয়বারের অনাদর আর যেনো সইতে পারছিলেন না। আর সেই ম্লানতায় স্বস্তির আলো ফেলেছিল টেক্সাস যাত্রা। লাগাতার উপেক্ষার ভার উতরে ডালাস আর হিউস্টন সিটি শান্তির পরশ এঁকেছিল কবিপ্রাণে।
ঐ সময়ে আমেরিকানদের গ্রেট ডিপ্রেসন ছিল। মিনেসোটার বিখ্যাত পত্রিকা ‘মিনিয়াপোলিস ট্রিবিউন’ কবিকে কটাক্ষ করে খবরও প্রকাশ করে। লিখেছিল‘আগে কখনও ওনার চেয়ে বড় কোনো ভারতীয় ব্যবসায়ী আমাদের এদিকে আসেননি।’ এসব কারণে বিশ্বভারতী গড়ে তোলার চলমান দুর্বার গতি কিছুটা হলেও মিইয়ে পড়ে। প্রভাব আসে তহবিল সংগ্রহে। ব্রিটিশ শাসনের পাশাপাশি আমেরিকান যুদ্ধনীতির বিপক্ষে সোচ্চার রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কড়া সমলোচনা করেছিল আরও কিছু পত্রিকা। শিল্পবোদ্ধাদের অনাদর, কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানগুলোর মুখ ফিরিয়ে নেয়া ও সর্বোপরি অনাকাক্সিক্ষত আমেরিকান কালচার যে নিরঙ্কুশভাবে তিনি মেনে নিয়েছিলেন তা কিন্তু নয়। বিশ্বকবি সেসব ব্রিবতকর আচরণ সম্পর্কে তাঁর বন্ধু সিএফ অ্যান্ড্রুজকে লেখা চিঠিতে উল্লেখও করেন।
১৯২১ সালের ১ জানুয়ারি তিনি লিখেছেন ‘আজ নতুন বছর। কিন্তু বাতাসে তা আমি অনুভব করছি না। কারণ এটি আমার কাছে কোনো বার্তা নিয়েও আসেনি। এই দেশগুলোতে নতুন বছর উদযাপন, নতুন রাজনৈতিক সামঞ্জস্য ও অর্থনৈতিক পরিবর্তনের সম্ভাবনা নিয়ে আসে। তবে শান্তিনিকেতনে আমরা যে নতুন বছরটি জানি তা আসে আমাদের ভেতরের সংস্কার সরিয়ে আত্মার পরিস্ফুটনের জন্য। গত রাতে সমস্ত শহর ছিল প্রচন্ড ফুর্তি আর উল্লাসে উন্মত্ত। আজ সকালে তারা এতো ক্লান্ত যে, হৃদয় উন্মুক্ত করে চমৎকার সূর্যের আলো তারা দেখতে পারছে না। আমার হৃদয় সব সময় এই ভেবে বেদনাক্রান্ত যে, শান্তিনিকেতনে সকালের সূর্য আমার জন্য আশির্বাদ নিয়ে আসবে ........।’
সিএফ অ্যান্ড্রুজ ছাড়াও রবীন্দ্রনাথের অন্যতম বন্ধুদের মধ্যে ছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের ৩০ তম অঙ্গরাজ্য উইসকনসিন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. রিচার্ড থিওডোর এলি (১৩ এপ্রিল ১৮৫৪- ৪ অক্টোবর ১৯৪৩)। যিনি ছিলেন আমেরিকান অর্থনীতিবিদ, লেখক ও প্রগতিশীল আন্দোলনের নেতা এবং পুঁজিবাদের অন্যায়ের বিরুদ্ধে স্ফুলিঙ্গ। ২০২১ সালে রবি ঠাকুর যুক্তরাষ্ট্রে গেলে তাঁকে ঘিরে বড়দিনের আয়োজন করেন রিচার্ডসহ আরও ক’জন। নিউ ইয়র্কের অদূরে ক্যাটস্কিল এলাকার ইয়ামা ফার্মসের অতিথিশালায় অনুষ্ঠিত হয়েছিল সে আড্ডা। কবিকে নিয়ে ক’দিন নিরিবিলি ক্যাটস্কিলে অবকাশ যাপনও করেন তাঁরা। ২৫ ডিসেম্বর সেখান থেকে সিএফ অ্যান্ড্রুজকে লেখেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। ‘আজ বড়দিন। আমরা প্রায় ৫০ জন মানুষ যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন জায়গা থেকে এখানে একত্রিত হয়েছি। এই পবিত্র দিনে খৃষ্টের কথা মনে হওয়াটাই স্বাভাবিক। কিন্তু কোথায় মানুষের অন্তরে খৃষ্টের বাণী। আজ নরনারীরা অতিরিক্ত ভোজন পানে ব্যস্ত, অতি উচ্চহাসি-তমসায় উন্মত্ত। এদের আমোদ আহ্লাদের মধ্যে অনন্তের স্পর্শ কোথায় ভক্তির চিহ্ন কোথায়?....’
ফেব্রুয়ারির ৯ তারিখে কবি পিয়ার্সনের সঙ্গে রওনা হয়েছিলন টেক্সাসের উদ্দেশ্যে। ডালাস শহরে পৌঁছান দু’দিন পর ১২ ফেব্রæয়ারি। ‘দ্য লোন স্টার স্টেট’ টেক্সাসের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে মুগ্ধ করে। ক’দিন আগের বাজে অভিজ্ঞতাগুলো ক্রমশ: ভুলে যাওয়ার চেষ্টা করেন বিশ্বকবি। আশপাশের শহরগুলোতে বক্তৃতার জন্য আমন্ত্রণও পান তিনি। পার্শ্ববর্তী ইউনিটারিয়ান চার্চে দু’বার কথাও বলেন। সেখানে আন্তর্জাতিক বিশ্ববিদ্যালয়ের গুরুত্ব এবং উপযোগিতা ব্যাখ্যা করেন তিনি।
কবিকে সবচেয়ে আকৃষ্ট করেছিল মেয়েদের কলেজে কবিতা আবৃত্তির ঘটনাটি। সেদিন ছিল ২০২১ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি। পর পর ক’টি কবিতা শোনানোর পর ছাত্রীরা বিশ্বকবিকে আঁকড়ে ধরেন। নানান ধরণের প্রশ্নবাণে জর্জরিত হন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। তারুণ্যের সাহচর্যে কবি বরং খুশিই হলেন। সরস ভাষায় তিনি ছাত্রীদের প্রত্যেকটি প্রশ্নের উত্তর দেন।
ভ্রমণসঙ্গী ব্রিটিশ ধর্মযাজক, শিক্ষাবিদ ও রবীন্দ্রসাহিত্যের ইংরেজি অনুবাদক উইলিয়াম উইনস্টানলি পিয়ার্সন (৭ মে ১৮৮১-২৪ সেপ্টেম্বর ১৯২৪) বিশেষভাবে আপ্লুত হলেন ডালাসে কবির স্নিগ্ধতা দেখে। যদিও রবীন্দ্রনাথের জীবনদর্শনের অনুরাগী পিয়ার্সন ইতোপূর্বে জাপান ভ্রমণের সময় মেয়েদের কলেজে এমন অনন্য আড্ডার সঙ্গী হয়েছিলেন। তিনি বরং টেক্সাসের সঙ্গে জাপানের আড্ডার মিল খুঁজে পাওয়ার চেষ্টা করেন। কারণ যুক্তরাষ্ট্র ভ্রমণের এ যাত্রায় যে তিক্ততা জন্মেছিল তা অন্তত কিছুটা হলেও ম্লান হয়েছে ততোক্ষণে। আগের চেয়ে কবি তখন অনেক আনন্দময়। বিচিত্র এবং সৌন্দর্যপূর্ণ অনুভূতি নিয়ে এদিন বিকেলে শিকাগোর উদ্দেশ্যে ডালাস ত্যাগ করেন তাঁরা। সেখানে একজন আইরিশ কবির সঙ্গে সুসম্পর্ক গড়ে উঠলে বিশ্বভারতীর জন্য অর্থ সংগ্রহের তদ্বির করেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। ১৫ মার্চ শিকাগো ত্যাগ করার আগ পর্যন্ত তিনি সর্বান্তকরণে চেষ্টা চালিয়ে যান বিশ্বভারতীর অর্থসহায়তার জন্য। ১৯ মার্চ নিউ ইয়র্ক থেকে লন্ডনের উদ্দেশ্যে রওনা দেন তাঁরা।
আভিজাত্য ও পূর্ণতার সঙ্গে রবি ঠাকুরকে বৃহৎ পরিসরে প্রকাশ করেছে টেক্সাসের হিউস্টন শহরের বাঙালিরা। সেখানকার রে মিলার পার্কে বসানো হয়েছে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ব্রোঞ্জ মূর্তি। ১৯২১ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি টেক্সাসের ডালাস থেকে মহাকাশগবেষণার শহর হিউস্টন পরিদর্শন করেছিলেন তিনি। সেখানকার রাইস বিশ্ববিদ্যালয়ে বক্তৃতায় তুলে ধরেছিলেন তাঁর কবিতা-গল্প ও উপন্যাসের মানবপ্রেম ও সার্বজনীনতা সম্পর্কে। সর্বোপরি তাঁর সুচিন্তিত শিল্পসৌকর্য ও মানবতাবাদী শিক্ষাদর্শনে অনুপ্রাণিত হন হিউস্টনবাসী। শান্তিনিকেতন গড়ার ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি তহবিল সংগ্রহ হয়েছিল হিউস্টন থেকে। যুক্তরাষ্ট্র হতে প্রাপ্ত মোট তহবিলের ১৫ শতাংশই দান করেছিলেন হিউস্টনের মানুষ।
সাম্প্রতিক বিশ্বে হিউস্টনের এনার্জি করিডোর বিশেষভাবে পরিচিত। পার্শ্ববর্তী রে মিলার পার্কে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মূর্তি স্থাপনের পর এলাকাটি এখন ‘টেগোর গ্রোভ’ বা রবীন্দ্র কুঞ্জবন নামে পরিচিত। বিশ্বকবির জন্ম কিংবা প্রয়াণ দিবস ছাড়াও শিল্প-সাহিত্যের বহুমাত্রিক অনুষ্ঠান লেগেই আছে রবীন্দ্র কুঞ্জবনে।
২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে হিউস্টনের রে মিলার পার্ক বিশ্ববাসীর কাছে অতি পরিচিত হয়ে ওঠে। বছরজুড়েই সঙ্গীত, কবিতা, সভা- সেমিনার, আবৃত্তি ছাড়াও নানান ধরণের অনুষ্ঠান লেগেই থাকে নাসার শহর হিউস্টনে। আর এ সব আয়োজনকে শক্তিশালীভাবে তুলে ধরে টেগোর সোসাইটি। রবীন্দ্রনাথের আন্ত:মহাদেশিয় সাংস্কৃতিক বন্ধনকে গুরুত্ব দিয়ে অনুষ্ঠান আয়োজনের পাশাপাশি গবেষণাধর্মী কাজেও সন্নিবিষ্ট টেগোর সোসাইটি। কেনো না ২০১৩ সালে টেগোর গ্রোভ মেমোরিয়ালে রবি ঠাকুরের পূর্ণ উচ্চতার একটি ব্রোঞ্জ মূর্তি বসানো হয়। যেটি আমেরিকায় একেবারেই প্রথম। যুক্তরাষ্ট্রের বাইরে ভারত ছাড়া অন্যান্য দেশে কবিগুরুর এমন ৫টি মূর্তি রয়েছে। মহাকাশ গবেষণার শহর হিউস্টনের রে মিলার পার্ক যেনো সার্বজনীন আধ্যাত্মিক সচেতনার আরেক পীঠস্থান। আদি তপোবনকেন্দ্রিক শিক্ষা সংস্কৃতির বলয় হিসেবে ‘টেগোর গ্রোভ’ বাঙালি-আমেরিকানদের কাছে সবিশেষভাবে পরিচিত ও সম্মানিত স্থান।
(লেখক: ড. অখিল পোদ্দার, একুশে টেলিভিশনের প্রধান বার্তা সম্পাদক)
** লেখার মতামত লেখকের। একুশে টেলিভিশনের সম্পাদকীয় নীতিমালার সঙ্গে লেখকের মতামতের মিল নাও থাকতে পারে।