ঢাকা, রবিবার   ২৪ নভেম্বর ২০২৪

যেভাবে আলোর মুখ দেখে নিরাপদ সড়কের আন্দোলন

প্রকাশিত : ২০:৪৭, ১৪ অক্টোবর ২০১৮

সড়ক দুর্ঘটনা জাতীয় জীবনে বড় সমস্যা হলেও এদেশে বেসরকারিভাবে এর বিরুদ্ধে প্রতিনিয়ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়া একমাত্র সংগঠন `নিরাপদ সড়ক চাই`। এর প্রধান উদ্যোক্তা ও চেয়ারম্যান চিত্রনায়ক ইলিয়াস কাঞ্চন।

এক সময় তিনি পর্দার নায়ক থাকলেও বর্তমানে কেউ কেউ তাকে বাস্তবের নায়ক বলেও উল্লেখ করছেন। `নিরাপদ সড়ক চাই` তাদের পথচলার ২৫ বছর পূর্ণ করল। এই দীর্ঘ যাত্রার প্রতিবন্ধকতা, অর্জনসহ নানা বিষয় নিয়ে সংগঠনটির চেয়ারম্যান ইলিয়াস কাঞ্চন মুখোমুখি হয়েছিলেন একুশে টিভি অনলাইনের। তার সাক্ষাৎকারটি নিয়েছেন একুশে টেলিভিশন অনলাইনের প্রতিবেদক আলী আদনান।

একুশে টেলিভিশন অনলাইন: `নিরাপদ সড়ক চাই` আন্দোলনের ২৫ বছর পূর্ণ হলো। আপনি এর আগেও এ আন্দোলনের শুরুর দিকগুলো নিয়ে বেশ কয়েকবার বলেছেন। এ প্রজন্মের পাঠক- দর্শকদের জন্য আবার কিছু বলুন।

ইলিয়াস কাঞ্চন: ১৯৯৩ সালে আমি বান্দরবান শুটিং করছিলাম। আমার স্ত্রী ( জাহানারা কাঞ্চন),  আমার সন্তান, ও এটিএম শামসুজ্জামানসহ ঢাকার সোনারগাঁ হোটেলের এখান থেকে মাইক্রোতে করে বান্দরবান যাচ্ছিল আমার সঙ্গে দেখা করার জন্য। পথিমধ্যে একটি ট্রাকের সঙ্গে মাইক্রোটির মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। চালক তাৎক্ষণিকভাবে মাইক্রোটি ঘুরিয়ে ফেলে। ফলে চালক বেঁচে যায়। কিন্তু আমার স্ত্রী মারাত্মকভাবে আহত হয় ও কিছুক্ষণ পরে মারা যায়। 

ঐ প্রেক্ষাপটে আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম, আমি আর সিনেমায় অভিনয় করবো না। আমার সন্তানদের বাবা মায়ের স্নেহ ভালবাসা দিয়ে মানুষ করব। ঐ সময় বিভিন্ন রাজনীতিবিদ, লেখক, সাংবাদিক ও সমাজের প্রতিষ্ঠিত ব্যক্তিবর্গ আমার বাসায় এসেছিলেন আমাকে সান্তনা দেওয়ার জন্য। তার মধ্যে একজন সাংবাদিক আমাকে বললেন, ইলিয়াস সাহেব, আপনি নাকি বলছেন, আপনি আর সিনেমায় অভিনয় করবেন না। কিন্তু আপনি কী জানেন, আজকেও অনেক লোক সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত - আহত হয়েছেন। আমরা কিন্তু তাদের বাসায় যাইনি। আপনার বাসায় এসেছি। কেন এসেছি? কারণ, আপনি ইলিয়াস কাঞ্চন, জনপ্রিয় অভিনেতা। আপনি জনপ্রিয় হয়েছেন কারণ, এদেশের কোটি মানুষ আপনাকে ভালবাসে। আপনার স্ত্রীকে আপনি ভালবাসতেন। তাকে আপনি বাঁচাতে পারেন নি। কিন্তু এদেশের কোটি কোটি মানুষ যারা আপনাকে ভালবাসে, যারা প্রতিনিয়ত পঙ্গুত্ব বরণ করছে, প্রতিনিয়ত মারা যাচ্ছে, তাদের বাঁচানোর জন্য তো আপনি কোন উদ্যোগ নিতে পারেন। আপনি তো এ বিষয় নিয়ে কাজ করতে পারেন।

তখন আমি পনের দিন সময় নিলাম। ভাবলাম, এমন একটা আন্দোলন দাঁড় করালে কেমন হয়। সে আন্দোলন মানুষ নিবে কি না, জনসমর্থন মিলবে কিনা, চলচ্চিত্রে আমার যে অবস্থান তা টিকবে কিনা। পনের দিন পর আমি সিদ্ধান্ত নিলাম, আমি আন্দোলন করব। আমি আমার সকল শুভাকাঙ্খীদের জানালাম, `নিরাপদ সড়ক চাই` নামে আমি একটা আন্দোলন করব।

একুশে টেলিভিশন অনলাইন: নিরাপদ সড়ক চাই` আন্দোলনটি মূলত কার বিরুদ্ধে? আপনি কাকে প্রতিপক্ষ মনে করছেন?

ইলিয়াস কাঞ্চন: এ আন্দোলন কারো বিরুদ্ধে নয়। সড়ক দুর্ঘটনা নানা কারণে হয়। এটি মানুষের দ্বারা সৃষ্ট। মানুষের অজ্ঞতার জন্য এই দুর্ঘটনা ঘটে। এই অজ্ঞতা যদি দূর করা যায়, মানুষকে সচেতন করা যায়, মানুষ যদি সড়কে চলার নিয়মকানুন মেনে চলে তাহলে অবশ্যই সড়ক দুর্ঘটনা রোধ করা সম্ভব।

 

একুশে টেলিভিশন অনলাইন: তারপর?

ইলিয়াস কাঞ্চন: ঐ বছরের ২৭ নভেম্বর আমি একটা প্রেস কনফারেন্স করি। সেখানে ঘোষণা দিলাম, ডিসেম্বরের ১ তারিখে এফডিসি থেকে প্রেসক্লাব পর্যন্ত একটা র ্যালী করব। ডিসেম্বর মাসটা এজন্যই বেছে নিলাম কারণ, ডিসেম্বর মাস বিজয়ের মাস। আমরা মহান মুক্তিযুদ্ধে এ মাসেই বিজয় লাভ করেছিলাম। ঠিক তেমনি সড়ক দুর্ঘটনা আমাদের জন্য একটা যুদ্ধ। এ যুদ্ধেও আমাদের বিজয় লাভ করতে হবে।

 

একুশে টেলিভিশন অনলাইন: এ দীর্ঘ পথচলায় কেমন প্রতিবন্ধকতা এসেছে?

ইলিয়াস কাঞ্চন: এ দীর্ঘপথ চলায় প্রচুর মানুষের অকুণ্ঠ ভালবাসা পেয়েছি। সমর্থন পেয়েছি। ঠিক তেমনি প্রতিবন্ধকতাও অনেক এসেছে। প্রথমদিকে কেউ এ জিনিসটা মেনে নিতে পারেন নি। কারণ, এদেশের মানুষের বিশ্বাস ছিল, সড়ক দুর্ঘটনা নিয়ে কারো কিছু করনীয় নাই। এটা নিয়তির লিখন। আল্লাহর হুকুমেই হচ্ছে। হতে থাকবে। এজন্য  আমাকে বাঁকা চোখে দেখত। বলতো, আমি পাগল হয়ে গেছি। আমার বৌয়ের মৃত্যুতে আমি পাগল হয়ে গেছি। আমি নাকি আল্লাহর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করছি। আবার রাজনীতিবিদরা ভিন্ন চোখে দেখত। তারা বলতো, আমি এটা দিয়ে রাজনীতি করতে চাচ্ছি কিনা। অর্থাৎ, কেউ জিনিসটা সহজভাবে নেয়নি। যারা সড়কে ব্যবসা করে মালিক ও চালক তারা আমাকে প্রতিপক্ষ ভাবা শুরু করলো। এমনো হয়েছে, আমার ছবির মধ্যে জুতার মালা পড়ানো হয়েছে।

অনেকে হয়তো জানে না, রমিজ উদ্দিন স্কুল এন্ড কলেজে যখন বাচ্চারা মারা গেল, বাচ্চারা রাস্তায় নেমে আন্দোলন করছিল তখনো বিভিন্ন টার্মিনালে আমার ছবি পোড়ানো হয়েছে। টার্মিনালে আমাকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হয়েছে। এই প্রতিবন্ধকতা নিয়েই আমি কাজ করছি। তবে আমি বলব, এর অজ্ঞ, এরা জানেনা। কারো বিরুদ্ধে আমি কাজ করছি না। কারো বিরুদ্ধে আমার এ আন্দোলন নয়। আমার আন্দোলন সড়ক দুর্ঘটনার বিরুদ্ধে। এদেশের মানুষকে সড়ক দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষার জন্য আমি, আমার সহকর্মীরা ও শাখা সংগঠনগুলো মিলে বাংলাদেশের সড়ক দুর্ঘটনা রোধ করার জন্য কাজ করে যাচ্ছি। আমি বিশ্বাস করি আমাদের এ আন্দোলনের ফলে সড়ক দুর্ঘটনার বিরুদ্ধে অনেকের প্রাণ রক্ষা করা সম্ভব হয়েছে। মানুষের পুরনো ধ্যান ধারনা, পুরনো চিন্তা চেতনা দূর করতে আমরা পেরেছি। দেশের অন্য কোন সংগঠন এভাবে কাজ করেনি। মুখের কথায় আমরা বিশ্বাস করিনা। আমরা বিশ্বাস করি কাজে।

 

একুশে টেলিভিশন অনলাইন: `নিরাপদ সড়ক চাই` এ আন্দোলনের উল্লেখযোগ্য অর্জনগুলো কী কী?

ইলিয়াস কাঞ্চন: মানুষের যে ধারণা ছিল, সড়ক দুর্ঘটনা ভাগ্যের ব্যাপার, আমরা সেই ধারণা থেকে মানুষকে বের করে আনতে পেরেছি। মানুষকে বুঝাতে পেরেছি, সড়ক দুর্ঘটনা মানুষের দ্বারা মানুষের অজ্ঞতার জন্য তৈরি। মানুষের অদক্ষতার জন্য, সড়ক ব্যবহারে নিয়মকানুন না মানার জন্য তৈরি। আইন না মানার জন্য তৈরি। সড়কের ডিজাইন ভুল হওয়ার জন্য তৈরি। আনফিট গাড়ী, আনফিট চালক এর জন্য দায়ি। এমনকী যারা গাড়ির মালিক, যারা পরিচালনা করেন, তাদের পরিচালনার ব্যর্থতাও এর জন্য দায়ি। এবিষয়গুলো মানুষ এখন বুঝে। ফলে দেশের বেশীরভাগ মানুষ আমাদেরকে সমর্থন করছে। সরকারও তা বুঝতে পারছে। তাই সড়ক দুর্ঘটনা রোধের জন্য তারা নানা কার্যক্রম গ্রহণ করছে। আমাদের আন্দোলনে আমরা হাইওয়ে ট্রাফিক পুলিশ দাবি করেছিলাম। সেটি বাস্তবায়িত হয়েছে। আমরা ন্যাশনাল রোডস কাউন্সিল দাবি করেছিলাম। সেই দাবি পূরণ হয়েছে। আমাদের আন্দোলনে নতুন আইন প্রনয়ণ হয়েছে। আমাদের আন্দোলনের সবচেয়ে বড় সাফল্য আমাদের সন্তানরা রাস্তায় নেমে আমাদের আন্দোলনকে বেগবান করেছে।

 

একুশে টেলিভিশন অনলাইন: নিরাপদ সড়ক আমরা সবাই চাচ্ছি। কিন্তু এর প্রধান অন্তরায়গুলো কী বলে মনে করছেন আপনার অভিজ্ঞতার জায়গা থেকে?

ইলিয়াস কাঞ্চন: আমাদের মধ্যে এখনো অজ্ঞতা রয়ে গেছে। পুরনো ধ্যান ধারণা রয়ে গেছে। সড়কে যারা ব্যবসা করে, গাড়ি চালায় তাদের মধ্যে পুরনো ধ্যান ধারণা রয়ে গেছে। এখনো পর্যন্ত তারা উদার হতে পারছে না। তারা ভাবছে, আইন মানেই শাস্তির বিষয়। দেশে অনেক আইন আছে। খুনের মামলার আইনতো সবার জন্যই সমান। তাই বলে আমরা সবাই কী ফাঁসির দড়ি গলায় পড়ছি?  আমার যদি লাইসেন্স বিহীন আর্মস থাকে তাহলে কী সরকার আমাকে এ্যারেস্ট করবে না? ঠিক তেমনি একটি গাড়ীর চালকের যদি লাইসেন্স না থাকে তাহলে তাকে পুলিশ এ্যারেস্ট করবে না কেন? একজন গাড়ী মালিক আনফিট গাড়ি রাস্তায় নামাবে এটা কীভাবে সম্ভব? তার কারণে যদি কারো জীবন চলে যায়, তার বারণে যদি কাউকে পঙ্গুত্ব বরণ করতে হয় তাহলে কী তাকে শাস্তি পেতে হবে না?  সে অন্যায় করবে আর অন্যায়ের শাস্তি পাবেনা? তাছাড়া আমরা শুধু একপক্ষকে দোষারোপ করছি তা না। বরং বলছি, যে দায়ি, যার জন্য দুর্ঘটনা ঘটবে শাস্তি তাকেই পেতে হবে। সে পথচারী হতে পারে, যাত্রী হতে পারে, মোটর সাইকেল চালক হতে পারে, যারা সড়কের ডিজাইন করছেন তারাও দায়ি হতে পারে। বিআরটি- এর যারা লাইসেন্স প্রদান করছেন তারাও দায়ি হতে পারে। যারা আইন প্রয়োগ করছেন তাদের কারণে হতে পারে।

 

একুশে টেলিভিশন অনলাইন: সড়ক পরিবহন আইন নিয়ে আপনার প্রতিক্রিয়া কী?

ইলিয়াস কাঞ্চন: আমাদের যে দাবি দাওয়া ছিল তা পরিপূর্ণভাবে সড়ক পরিবহন আইনে বাস্তবায়িত হয়নি। মূল কিছু দাবি পরিপূর্ণভাবে বাস্তবায়ন করতে পারিনি। আমরা চেয়েছিলাম আইনের নাম হোক `সড়ক পরিবহন ও সড়ক নিরাপত্তা আইন`। আমরা চেয়েছিলাম দশ বছরের শাস্তির বিধান। আমরা চেয়েছিলাম যারা অবৈধ লাইসেন্সে, বিনা লাইসেন্সে গাড়ী চালায়, আনফিট গাড়ী রাস্তায় তোলে তাদের কারণে যদি কেউ আহত বা নিহত হয় তাহলে ধারায় মামলা করার জন্য। কিন্তু তাও বাস্তবায়িত হয়নি। কিন্তু এছাড়াও আরো অনেকগুলো বিষয় আছে যেগুলো পূরণ হয়নি। কিন্তু তারপরও আমরা এ আইনকে সাধুবাদ জানিয়েছি। দীর্ঘদিন এ আইন আলোর মুখ দেখছিল না। বর্তমান সরকারের চেষ্টায় অন্তত একটি আইন আলোর মুখ দেখছে। এই আইনে বেশকিছু ভাল দিক আছে। যেমন চালকের পয়েন্ট সিস্টেম, একটা ট্রাস্টি বোর্ড গঠন করা, যেটার মাধ্যমে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর সাহায্য, চিকিৎসা ও ক্ষতিপূরণ দেওয়া - এসব এ আইনের অন্তর্ভুক্ত। যার জন্য আমরা মনে করছি, আমাদের সব দাবি হয়তো পূরণ হয়নি। কিন্তু কিছু ভাল দিকও রয়েছে। ফলে আপাতদৃষ্টিতে আমরা এ আইনকে স্বাগত জানাচ্ছি। ভবিষ্যতে পরিস্থিতি বুঝে আমরা শাস্তির বিধান বাড়ানোর জন্য দাবি জানাব।

 

একুশে টেলিভিশন অনলাইন: তরুণদের জন্য কিছু বলুন।

ইলিয়াস কাঞ্চন: তরুণরাই বাংলাদেশ। তরুনদের জন্যই একটি দুর্ঘটনামুক্ত বাংলাদেশ গড়ে দিতে আমি চেষ্টা করছি। তরুণদের যে এ্যানার্জী আছে তা আমরা সঠিকভাবে কাজে লাগাতে পারছি না। সঠিক পন্থায় যদি আমরা তারুণ্যকে কাজে লাগাতে পারি তাহলে আমাদের রাষ্ট্রে যে অনিয়মগুলো আছে তা দূর করা সম্ভব। সাম্প্রতিক সময়ে নিরাপদ সড়কের দাবিতে তরুণরা একটি বড় ধরনের আন্দোলন করেছে। তারপরও দেখা যাচ্ছে অনেক তরুণ পথ চলতে, রাস্তা ক্রস করতে ট্রাফিক নিয়ম মানছে না। মটরসাইকেল চালাতে নিয়ম মানছে না। তাদেরকে আমি অনুরোধ করব, তোমাদেরই দেশ। তোমাদেরকেই গড়তে হবে। আইন মানার সংস্কৃতি তোমাদের মধ্যে গড়ে না উঠলে আমাদের আর জায়গা থাকবে না। তোমরা নিজেরা আইন মানবে। পাশাপাশি তোমরা নেতৃত্ব দিবে যাতে অন্যরা আইন মানে, নিয়ম মানে। একটা সুস্থ সুশৃংখল জাতি তৈরীতে নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য আমি তরুণদের আহবান জানাচ্ছি।

 

একুশে টেলিভিশন অনলাইন: সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে আওয়াজ উঠেছে "নায়ক ইলিয়াস কাঞ্চন- কে সিটি মেয়র হিসেবে দেখতে চাই"। আবার কেউ কেউ বলছেন, আপনি আগামীতে নির্বাচন করবেন। এ ব্যাপারে আপনার পরিকল্পনা কী?

ইলিয়াস কাঞ্চন: না, আমি কখনো রাজনীতি ও নির্বাচন করব না। রাজনীতি বা নির্বাচন করার জন্য আমি ` নিরাপদ সড়ক চাই` আন্দোলন করিনি। আমি ` বেদের মেয়ে জ্যোৎস্না` ছবির নায়ক। আমি জানি আমার জনপ্রিয়তা কোন পর্যায়ে ছিল। নির্বাচন করার খেয়াল থাকলে ২৫ বছর আগেই করতাম। আমি চেষ্টা করছি পরিবহন মালিক, চালক, পরিবহন শ্রমিক, যাত্রী, পথচারী- সকলকে সচেতন করে একটা নিরাপদ সড়ক ব্যবস্থা আমাদের দেশে বাস্তবায়ন করতে।

 

একুশে টেলিভিশন অনলাইন: আপনাকে ধন্যবাদ।

ইলিয়াস কাঞ্চন: আপনাদের জন্যও শুভ কামনা।


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি